leadT1ad

বিচারকদের ছবি ব্যবহার ও কটূক্তি প্রচার বন্ধের নির্দেশ, সেনা কর্মকর্তাদের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সংগৃহীত ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন ও পত্রিকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের ছবি ব্যবহার এবং তাঁদের নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার (২৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। বিচারকদের নিরাপত্তা ও বিচারিক কার্যক্রমের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশনা দেন।

আদেশে বলা হয়, বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন বা এর বাইরে বিচারকদের ছবি যত্রতত্র ব্যবহার এবং তাঁদের উদ্দেশ করে কুরুচিপূর্ণ বা অপমানজনক মন্তব্য কোনো মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। বিটিআরসি ও তথ্য মন্ত্রণালয়কে এ ধরনের কনটেন্ট মনিটরিং এবং অপসারণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা দুটি মামলায় গ্রেপ্তার ১৩ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে একটি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৩ ডিসেম্বর এবং অন্যটির শুনানি হবে ৭ ডিসেম্বর।

আজ সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ওই ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানিকালে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা নিরাপত্তা ও আদালতের সুবিধার্থে পরবর্তী ধার্য তারিখগুলোতে আসামিদের সশরীরে হাজির না করে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত রাখার আবেদন জানান। আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ নির্ধারণ করেন।

প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেল এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘর-এ বিরোধী মতাদর্শের মানুষদের আটকে রেখে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগে এই মামলা দুটি দায়ের করা হয়। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জন উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত