leadT1ad

গাজাগামী ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’-য় যোগ দিচ্ছেন শহীদুল আলম

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিধ্বস্ত গাজায় যাচ্ছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁর স্ত্রী অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শহীদুল আলম বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে আগামীকাল রোববার ইতালি যাচ্ছেন। সেখানে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ‘মিডিয়া ফ্লোটিলা’-য় যুক্ত হয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে শহীদুল আলমের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান দৃক। সংস্থাটির আলোকচিত্রী ও নেটওয়ার্ক সমন্বয়ক পারভেজ আহমেদ রনি জানান, সারা পৃথিবীর মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধকে উপেক্ষা করে গাজাকে বহুকাল (২০০৭) ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজায় মানুষ নির্বিচার গণহত্যার শিকার, চলছে ইসরায়েল-সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ। এই অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে গত ৩১ আগস্ট ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্ত থেকে প্রায় ৫০০ জন নাগরিক গাজার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে ইতিমধ্যে দুবার আক্রমণ করেছে ইসরায়েল, এই মুহূর্তে নৌবহরটি গ্রিসে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে গাজাতে ইনফরমেশন বা মিডিয়া ব্ল্যাকআউট ভাঙার উদ্দেশ্যে একটা মিডিয়া ফ্লোটিলা আয়োজন করা হচ্ছে। আমাদের সহযোদ্ধা এবং দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম এই ফ্লোটিলাতে যোগ দেবেন এবং আগামী রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) গাজার উদ্দেশ্যে ইতালি রওনা দেবেন।

শনিবার বিকেলে দৃকপাঠ ভবনে সংবাদ সম্মেলন থেকে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়লিশন কর্মসূচির লক্ষ্য ও ফিলিস্তিনের সংগ্রামরত জনগণের প্রতি তার সংহতি বার্তা উপস্থাপন করবেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে কাজ করছেন শহীদুল আলম। এমনকি ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গতবছর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। আলোকচিত্রের মাধ্যমে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে শহিদুল আলমের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২২ সালে তাঁকে এই ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত