সাঁওতালপাড়ার ১২টি বাড়ির মধ্যে বর্তমানে কেবল একটিতে একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। বাকি বাড়িগুলোর কোনোটি তালাবদ্ধ। কোনো ঘরের হাড়িতে পড়ে আছে পচে যাওয়া ভাত। কয়েকটি বাড়িতে স্পষ্ট হামলার চিহ্ন রয়ে গেছে।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
রাজশাহীর পবায় একটি সাঁওতালপাড়ায় দুই দফা হামলা চালানো হয়েছে। আবারও হামলার আশঙ্কায় ফাঁকা হয়ে গেছে পাড়াটি। মো. বাবলু নামের একজন তাঁর লোকজন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে যে যেদিকে পেরেছেন চলে গেছেন পাড়ার বাসিন্দারা।
পাড়ার ১২টি বাড়ির মধ্যে বর্তমানে কেবল একটিতে একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। বাকি বাড়িগুলোর কোনোটি তালাবদ্ধ। কোনো ঘরের হাড়িতে পড়ে আছে পচে যাওয়া ভাত। কয়েকটি বাড়িতে স্পষ্ট হামলার চিহ্ন রয়ে গেছে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাগসারা গ্রামের ওই পাড়ায় গিয়ে এই অবস্থা দেখা যায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
বাগসারা গ্রামের ওই পাড়ার বাসিন্দা সবাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সদস্য। বারনই নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে প্রায় পাঁচ বছর আগে ঘর তোলেন তাঁরা। ১২টি পরিবারের মধ্যে সাতটি সাঁওতাল, চারটি ধাঙ্গড় (ওরাঁও) এবং একটি রবিদাস সম্প্রদায়ের সদস্য।
এদিকে পাড়ার পাশেই রয়েছে মো. বাবলু নামের এক বিএনপিকর্মীর জমি। ওই জমির সামনে ঘর তোলায় বাবলু আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করেই দুই দফা হামলা হয় সাঁওতালপাড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সপ্তাহের বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বাবলুর সঙ্গে সাঁওতালপাড়া কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দুপুরে ও সন্ধ্যায় দুই দফা হামলা হয় পাড়াটিতে। এরপর থেকেই ভয়ে সবাই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাড়িতে নেই মো. বাবুল। তাঁর ব্যক্তিগত ফোন নম্বরও দিতে চাননি স্ত্রী। বাবলু স্থানীয় বিএনপিকর্মী বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে পাড়াটি ঘুরে দেখা হয়েছে বাড়িগুলো। এতে দেখা যায়, পাড়ার সব বাড়ি ফাঁকা পড়ে আছে। কোথাও কোথাও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। কিছু বাড়ি তালাবদ্ধ, কিছু বাড়ির দেয়ালে হামলার চিহ্ন স্পষ্ট।
পাড়ার প্রথম বাড়িটিতে কেউ নেই। দ্বিতীয় বাড়িটি হিমেন রবিদাসের। বাড়িতে দেখা মেলে তাঁর শ্বাশুড়ি অমলা দাসীর। তিনি জানান, হাঁটতে পারেন না। চিকিৎসার জন্য নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে রাজশাহী এসেছে নাতনি। হামলার পর থেকে তিনি একাই বাড়িতে আছেন।
হিমেনের পরের বাড়ি ফাঁকা। ঘরের ভেতর ছড়িয়ে রয়েছে কাপড়-চোপড়, বাসনপত্র। দেয়ালে টানানো বিদ্যুৎ বিলের কাগজে দেখা যায়, এই বাড়ির মালিকের নাম শ্যামল মুরমু। তিনি এই সাঁওতালপাড়ার সর্দার হিসেবে পরিচিত।
শ্যামলের পরবর্তী বাড়িটির অবস্থাও একই রকম। তছনছ ঘর, দেয়ালে ঝোলানো বিদ্যুৎ বিলের একটি কাগজে লেখা মালিকের নাম অনুযায়ী, বাড়িটি বেরজন টুডুর।
বেরজন টুডুর পরের বাড়ির দরজা বন্ধ। বারবার ডাকলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এর ঠিক পরের বাড়িটির টিনের ঘরে দেখা যায় হামলার চিহ্ন। ফুটো হয়ে যাওয়া টিনের ফাঁক দিয়ে ভেতরে দেখা যায় বিছানার ওপর টাঙানো মশারি। ঘরের ভেতরে শুয়ে আছে দুটি কুকুর।
পাড়ার ৭ ও ৮ নম্বর বাড়ির দরজা বাঁশের বাতা দিয়ে তৈরি। তাতে ছোট ছোট তালা ঝোলানো। ৯ নম্বর বাড়ির মাটির দেয়াল আংশিক ভাঙা। ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা হাড়ির ভাত ইতিমধ্যে পচতে শুরু করেছে। ১০ নম্বর বাড়ির বাইরে তালা নেই, কিন্তু ভেতরে ঘরের দরজা বন্ধ। বারান্দায় দড়িতে ঝুলছে কাপড়-চোপড়। শেষের দুটি বাড়িতেও তালা ঝোলানো। পাড়াজুড়ে নেই কোনো মানুষের কণ্ঠ, নেই শিশুদের কোলাহল।
ছোট্ট সাঁকোর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ভ্যানচালক জানান, ঘটনার দিন সকালে এই পাড়ার কয়েকজন বাড়ির সামনে বসে দেশীয় মদ পান করছিলেন। এ সময় বাবলু তাঁদের নিষেধ করলে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এক নারী বাবলুর শার্টের কলার চেপে ধরে। এরপর তাঁকে মারধর করা হয়। পরে বাবলু লোকজন নিয়ে এসে পাড়ায় হামলা চালান। তবে তিনি এর কিছুই দেখেননি, লোকমুখে এগুলো শুনেছেন।
পাড়ার কাছেই পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমকে। তিনি বলেন, ‘ওঁরা আমাদের জমির সামনে বাড়ি করেছে। খুব অত্যাচার করে। মদ খেতে নিষেধ করায় আমার স্বামীকে মেরেছে। পরে স্বামী লোকজন নিয়ে আসে, কিন্তু কাউকে মারেনি।’ ঘরবাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে ডলির দাবি, ‘ওরাই নিজেরাই ভেঙেছে।’
ডলি বেগম আরও বলেন, ‘পুলিশ এসে বলেছে, সাঁওতালরা থাকবে, কেউ কিছু বলবে না। এতই যদি দরদ হয়, তাহলে এদের নিয়ে গিয়ে বাড়ি করে দিক। এখানেই কেন ওদের থাকতে হবে?’
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় পাড়ার সর্দার শ্যামল মুরমুর সঙ্গে। তিনি জানান, আগে তাঁরা রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পাকড়ি এলাকায় থাকতেন। কৃষিকাজের সুবিধার্থে বাগসারা এলাকায় এসে বসতি গড়েন।
শ্যামল মুরমু বলেন, ‘ঘটনার দিন বাবলু পাড়ার এক নারীকে খারাপ ভাষায় গালি দিচ্ছিল। নিষেধ করায় ওই নারীকে মারধর করে। তখন আমাদের কয়েকজন যুবক তাঁকে প্রতিহত করে। এরপর বিকেলে বাবলু লোকজন নিয়ে এসে আমাদের তিনজনকে মারধর করে। বিকেলে পুলিশ এসে সবাইকে শান্ত থাকতে বললেও সন্ধ্যার আগে আবার হামলা চালায়। তখন তাদের হাতে হাঁসুয়া, বল্লম, ছোরা ছিল।’
শ্যামল অভিযোগ করেন, হামলা-ভাঙচুরের সময় ‘আমার ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা ও ২৫টি কবুতর লুট হয়েছে। আমরা কেউ কিছু নিতে পারেনি। হরি ও তাঁর বাড়ির নারী পালানোর সময় ১২ হাজার টাকা ও জিনিসপত্র ভর্তি বস্তা কেড়ে নেয়। আমরা এখনো আতঙ্কে আছি।’
হামলার পর সাঁওতালদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার মো. বাবলুর পক্ষ থেকেও থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ‘গতকালই (রবিবার) আমি বিষয়টি জানার পর থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ‘উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। সাঁওতালদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মামলা করতে বলা হয়েছে, কিন্তু কেউ এখনো মামলা করেনি। মামলা না করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
রাজশাহীর পবায় একটি সাঁওতালপাড়ায় দুই দফা হামলা চালানো হয়েছে। আবারও হামলার আশঙ্কায় ফাঁকা হয়ে গেছে পাড়াটি। মো. বাবলু নামের একজন তাঁর লোকজন নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে যে যেদিকে পেরেছেন চলে গেছেন পাড়ার বাসিন্দারা।
পাড়ার ১২টি বাড়ির মধ্যে বর্তমানে কেবল একটিতে একজন বৃদ্ধা রয়েছেন। বাকি বাড়িগুলোর কোনোটি তালাবদ্ধ। কোনো ঘরের হাড়িতে পড়ে আছে পচে যাওয়া ভাত। কয়েকটি বাড়িতে স্পষ্ট হামলার চিহ্ন রয়ে গেছে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাগসারা গ্রামের ওই পাড়ায় গিয়ে এই অবস্থা দেখা যায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
বাগসারা গ্রামের ওই পাড়ার বাসিন্দা সবাই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সদস্য। বারনই নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জমিতে প্রায় পাঁচ বছর আগে ঘর তোলেন তাঁরা। ১২টি পরিবারের মধ্যে সাতটি সাঁওতাল, চারটি ধাঙ্গড় (ওরাঁও) এবং একটি রবিদাস সম্প্রদায়ের সদস্য।
এদিকে পাড়ার পাশেই রয়েছে মো. বাবলু নামের এক বিএনপিকর্মীর জমি। ওই জমির সামনে ঘর তোলায় বাবলু আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে হাতাহাতিকে কেন্দ্র করেই দুই দফা হামলা হয় সাঁওতালপাড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত সপ্তাহের বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বাবলুর সঙ্গে সাঁওতালপাড়া কয়েকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দুপুরে ও সন্ধ্যায় দুই দফা হামলা হয় পাড়াটিতে। এরপর থেকেই ভয়ে সবাই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
এদিকে ঘটনার পর থেকে বাড়িতে নেই মো. বাবুল। তাঁর ব্যক্তিগত ফোন নম্বরও দিতে চাননি স্ত্রী। বাবলু স্থানীয় বিএনপিকর্মী বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে পাড়াটি ঘুরে দেখা হয়েছে বাড়িগুলো। এতে দেখা যায়, পাড়ার সব বাড়ি ফাঁকা পড়ে আছে। কোথাও কোথাও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ব্যবহৃত জিনিসপত্র। কিছু বাড়ি তালাবদ্ধ, কিছু বাড়ির দেয়ালে হামলার চিহ্ন স্পষ্ট।
পাড়ার প্রথম বাড়িটিতে কেউ নেই। দ্বিতীয় বাড়িটি হিমেন রবিদাসের। বাড়িতে দেখা মেলে তাঁর শ্বাশুড়ি অমলা দাসীর। তিনি জানান, হাঁটতে পারেন না। চিকিৎসার জন্য নওগাঁর নিয়ামতপুর থেকে রাজশাহী এসেছে নাতনি। হামলার পর থেকে তিনি একাই বাড়িতে আছেন।
হিমেনের পরের বাড়ি ফাঁকা। ঘরের ভেতর ছড়িয়ে রয়েছে কাপড়-চোপড়, বাসনপত্র। দেয়ালে টানানো বিদ্যুৎ বিলের কাগজে দেখা যায়, এই বাড়ির মালিকের নাম শ্যামল মুরমু। তিনি এই সাঁওতালপাড়ার সর্দার হিসেবে পরিচিত।
শ্যামলের পরবর্তী বাড়িটির অবস্থাও একই রকম। তছনছ ঘর, দেয়ালে ঝোলানো বিদ্যুৎ বিলের একটি কাগজে লেখা মালিকের নাম অনুযায়ী, বাড়িটি বেরজন টুডুর।
বেরজন টুডুর পরের বাড়ির দরজা বন্ধ। বারবার ডাকলেও কোনো সাড়া মেলেনি। এর ঠিক পরের বাড়িটির টিনের ঘরে দেখা যায় হামলার চিহ্ন। ফুটো হয়ে যাওয়া টিনের ফাঁক দিয়ে ভেতরে দেখা যায় বিছানার ওপর টাঙানো মশারি। ঘরের ভেতরে শুয়ে আছে দুটি কুকুর।
পাড়ার ৭ ও ৮ নম্বর বাড়ির দরজা বাঁশের বাতা দিয়ে তৈরি। তাতে ছোট ছোট তালা ঝোলানো। ৯ নম্বর বাড়ির মাটির দেয়াল আংশিক ভাঙা। ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা হাড়ির ভাত ইতিমধ্যে পচতে শুরু করেছে। ১০ নম্বর বাড়ির বাইরে তালা নেই, কিন্তু ভেতরে ঘরের দরজা বন্ধ। বারান্দায় দড়িতে ঝুলছে কাপড়-চোপড়। শেষের দুটি বাড়িতেও তালা ঝোলানো। পাড়াজুড়ে নেই কোনো মানুষের কণ্ঠ, নেই শিশুদের কোলাহল।
ছোট্ট সাঁকোর ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ভ্যানচালক জানান, ঘটনার দিন সকালে এই পাড়ার কয়েকজন বাড়ির সামনে বসে দেশীয় মদ পান করছিলেন। এ সময় বাবলু তাঁদের নিষেধ করলে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে এক নারী বাবলুর শার্টের কলার চেপে ধরে। এরপর তাঁকে মারধর করা হয়। পরে বাবলু লোকজন নিয়ে এসে পাড়ায় হামলা চালান। তবে তিনি এর কিছুই দেখেননি, লোকমুখে এগুলো শুনেছেন।
পাড়ার কাছেই পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমকে। তিনি বলেন, ‘ওঁরা আমাদের জমির সামনে বাড়ি করেছে। খুব অত্যাচার করে। মদ খেতে নিষেধ করায় আমার স্বামীকে মেরেছে। পরে স্বামী লোকজন নিয়ে আসে, কিন্তু কাউকে মারেনি।’ ঘরবাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে ডলির দাবি, ‘ওরাই নিজেরাই ভেঙেছে।’
ডলি বেগম আরও বলেন, ‘পুলিশ এসে বলেছে, সাঁওতালরা থাকবে, কেউ কিছু বলবে না। এতই যদি দরদ হয়, তাহলে এদের নিয়ে গিয়ে বাড়ি করে দিক। এখানেই কেন ওদের থাকতে হবে?’
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয় পাড়ার সর্দার শ্যামল মুরমুর সঙ্গে। তিনি জানান, আগে তাঁরা রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পাকড়ি এলাকায় থাকতেন। কৃষিকাজের সুবিধার্থে বাগসারা এলাকায় এসে বসতি গড়েন।
শ্যামল মুরমু বলেন, ‘ঘটনার দিন বাবলু পাড়ার এক নারীকে খারাপ ভাষায় গালি দিচ্ছিল। নিষেধ করায় ওই নারীকে মারধর করে। তখন আমাদের কয়েকজন যুবক তাঁকে প্রতিহত করে। এরপর বিকেলে বাবলু লোকজন নিয়ে এসে আমাদের তিনজনকে মারধর করে। বিকেলে পুলিশ এসে সবাইকে শান্ত থাকতে বললেও সন্ধ্যার আগে আবার হামলা চালায়। তখন তাদের হাতে হাঁসুয়া, বল্লম, ছোরা ছিল।’
শ্যামল অভিযোগ করেন, হামলা-ভাঙচুরের সময় ‘আমার ঘর থেকে ১০ হাজার টাকা ও ২৫টি কবুতর লুট হয়েছে। আমরা কেউ কিছু নিতে পারেনি। হরি ও তাঁর বাড়ির নারী পালানোর সময় ১২ হাজার টাকা ও জিনিসপত্র ভর্তি বস্তা কেড়ে নেয়। আমরা এখনো আতঙ্কে আছি।’
হামলার পর সাঁওতালদের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আবার মো. বাবলুর পক্ষ থেকেও থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ‘গতকালই (রবিবার) আমি বিষয়টি জানার পর থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, ‘উভয় পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। সাঁওতালদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মামলা করতে বলা হয়েছে, কিন্তু কেউ এখনো মামলা করেনি। মামলা না করলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি না।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত বিষয় ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। অভ্যুত্থানের পরপরই বিষয়টি করা না হলেও বছরের শেষ দিকে এসে বিষয়টি নিয়ে জোরালো হতে দেখা যায় অভ্যুত্থানের নেতাদের।
৭ ঘণ্টা আগেসাংবাদিকদের জন্য ২০২৫ সালের নির্বাচনের জন্য করা নীতিমালা অবিলম্বে স্থগিত ও সংশোধন না করলে নির্বাচনের কোনো কাভারেজ না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
৮ ঘণ্টা আগেআজ বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, চিঠি পাঠানোর মধ্য দিয়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ইসিকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় কারাবন্দীর একটি তালিকা জুলাই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
১০ ঘণ্টা আগে