leadT1ad

নীলফামারীতে শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৩
নীলফামারীতে শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে এনসিপির বিক্ষোভ। স্ট্রিম ছবি

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে শ্রমিক নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অঙ্গসংগঠন শ্রমিক উইং৷

আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়৷ পরে একটি মিছিল নিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড় ঘুরে আবার বাংলামোটরে এসে শেষ হয়৷

এ সময় তাঁরা—‘দুনিয়ার মজদুর একও, এক হও এক হও’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রসাশন জবাব চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন৷

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়কারী মাজহারুল ইসলাম ফকির বলেন, ‘আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চেয়েছিলাম, যেখানে শ্রমিকের অধিকার হরণ হবে না, যেখানে সে নিরাপধ কর্মপরিবেশ পাবে, যেখানে সে তার ন্যায্য অধিকার পাবে৷ কিন্তু জুলাই আন্দোলনের পরে আমরা লক্ষ্য করলাম, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুরে তিনজন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করলো পুলিশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে সেনাবাহিনী চব্বিশ গণ-অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, সেই সেনাবাহিনীর গুলিতে আজকে আমাদের শ্রমিক ভাই মারা যায়৷ এটা আমাদের জন্য লজ্জা, লজ্জা এবং লজ্জা৷ আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই যে হত্যা, এই হত্যার আমরা বিচার চাই।’

এনসিপির যগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক রিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘শ্রমিকরা যখন তাদের ন্যায্য আন্দোলন নিয়ে রাজপথে দাঁড়াচ্ছে, কারখানার সামনে দাঁড়াচ্ছে, তখন সেনাবাহিনী তাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। আমার মনে হয়, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে বিভক্ত করার জন্য একটা গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই দেশের সিংহভাগ উৎপাদন শ্রমিক এবং কৃষক করে। আমরা চাই এমন একটা রাষ্ট্র গড়তে, যেখানে একজন শ্রমিক এবং কৃষক পাবে নাগরিক মর্যাদা। কিন্তু সেই নাগরিক মর্যাদা দিতে যেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, আমাদের সেনাবাহিনী এবং অন্তর্বর্তী সরকার সেদিকে আগাচ্ছে না৷ তাই আমরা মনে করি, জাতীয় নাগরিক পার্টি জনগণকে সাথে নিয়ে অবশ্যই এই ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করে একটা সুন্দর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে৷ যেখানে এভাবে করে আর শ্রমিককে মরতে হবে না।’

এর আগে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড বন্ধ ঘোষণা করা একটি কোম্পানির আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে হাবিবুর রহমান (২০) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। আজ সকাল ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর নীলফামারীর সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের দুলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি ভেনচুরা লেদার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কর্মী ছিলেন৷

Ad 300x250

কেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এক হলো

তারেক রহমানের দেশে ফেরা তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল

ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি, পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকতে পারবেন না শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরাও

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে জিডি করা লাগবে না

সম্পর্কিত