leadT1ad

চবিতে চলছে যৌথবাহিনীর টহল, থমথমে ক্যাম্পাস

স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম

চবি ক্যাম্পাসে চলছে যৌথবাহিনীর টহল। স্ট্রিম ছবি

স্থানীয়দের সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে পর আজ সোমবার সকাল থেকে টহল অব্যাহত রেখেছে যৌথবাহিনী। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এদিকে দুই দফায় সংঘর্ষের পর আজও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

সকালে সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট, জিরো পয়েন্ট, শহীদ মিনার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ক্যাম্পাস অনেকটাই ফাঁকা। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাস ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের বাহন শাটল স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে।

ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গতকালের পরিস্থিতি বিবেচনায় আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল ক্লাস চলবে কি না, এটি শিগগিরই জানানো হবে।’

এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে গতকাল বেলা ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য একাডেমিক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফসহ শিক্ষকেরা দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।

দুই পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল রড, পাইপ, কাঠের লাঠি ও পাথর। স্থানীয়দের হাতে ছিল রামদা, রড ও পাইপ। সংঘর্ষে ২ নম্বর গেট সংলগ্ন এলাকা রণক্ষেত্র হয়ে পড়ে।

সংঘর্ষ একপর্যায়ে গ্রামের অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক শিক্ষার্থী অলিগলিতে আটকে গেলে তাঁদের মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় একের পর এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টারে। একপর্যায়ে গতকাল বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তিন শিক্ষার্থী নগরের দুই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত