leadT1ad

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ

চবি ক্যাম্পাসে সেনা-র‌্যাব মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। এ সময় ওই এলাকায় ৫ বা তার বেশি ব্যক্তির একত্রে অবস্থান বা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

স্ট্রিম সংবাদদাতাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫৩
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ৫৯
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারির পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর গাড়ি। স্ট্রিম ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজারের পূর্ব সীমা থেকে রেলগেট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত এই আদেশ জারি থাকবে।

দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন এ আদেশ জারি করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ওই উপজেলাধীন ফতেপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

এদিকে ১৪৪ ধারা জারির পর বেলা ৪টার দিকে ১০ থেকে ১২ গাড়ি সেনা, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।

আদেশে বলা হয়, স্থানীয় লোকজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরস্পর মুখোমুখি ও আক্রমণাত্মক হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় ৫ বা তার বেশি ব্যক্তির একত্রে অবস্থান বা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো ধরনের সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত করা যাবে না। ওই এলাকায় বিস্ফোরক দ্রব্য, সবধরনের দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ইত্যাদি বহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এর আগে রোববার শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘাত থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ও প্রক্টর। দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমাঝোতা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

তার আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয়রা। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে অনেকে চবি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর আহত প্রায় ৩০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

চবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান স্ট্রিমকে বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাঁদের চিকিৎসা দিয়েছি। যাঁদের অবস্থা খুবই গুরুতর, আমরা তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত