leadT1ad

পিডিপিও আইনে ডেটা লোকালাইজেশনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

বাসস
বাসস

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ২২: ৩১
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা অধ্যাদেশে (পিডিপিও) সব ধরনের ডেটা বা তথ্য দেশের ভেতরেই সংরক্ষণ (ডেটা লোকালাইজেশন) করার কোনো বাধ্যতামূলক বিধান রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য প্রত্যাখ্যান করে তিনি স্পষ্ট করে বলে, ‘সব ধরনের তথ্য দেশেই সংরক্ষণ করতে হবে’—এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে তিনি এ কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের সঙ্গে বিশদ আলোচনার পরই পিডিপিও প্রণয়ন করা হয়েছে। এই অধ্যাদেশে আন্তঃমন্ত্রণালয় তথ্যশাসন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন সমন্বয়ের জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, পিডিপিও কেবলমাত্র কিছু অতি সংবেদনশীল তথ্যকে বাংলাদেশি আইনের আওতায় আনে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র, বায়োমেট্রিক ও ভোটার তথ্য, জন্মতারিখ এবং ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য। তবে এই তথ্যগুলোও বিদেশে প্রক্রিয়াজাত করা যাবে, কিন্তু তা সব সময় বাংলাদেশি আদালতের এখতিয়ারের মধ্যেই থাকবে।

তৈয়্যব আরও বলেন, বাংলাদেশ ডেটা লোকালাইজেশন নয়, বরং ‘ক্লাউড-ফার্স্ট পলিসি’ গ্রহণ করেছে। অধ্যাদেশে আইনটি কার্যকরের জন্য ১৮ মাসের একটি রূপান্তরকাল রাখা হয়েছে এবং এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশন (জিডিপিআর) ও আসিয়ান মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি সম্মতিনির্ভর তথ্য সুরক্ষা কাঠামো।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জোর দিয়ে বলেন, নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষা, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং একটি বিশ্বস্ত ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়তে শক্তিশালী ও আধুনিক তথ্যশাসন অপরিহার্য।

Ad 300x250

সম্পর্কিত