leadT1ad

আ. লীগের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার বাকপ্রতিবন্ধী সাইদ শেখের যেভাবে জামিন হলো

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
আদালতে বাকপ্রতিবন্ধী সাইদ শেখ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে ‘স্লোগান দেওয়ার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাকপ্রতিবন্ধী সাইদ শেখের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাইদের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাইদের আইনজীবী মোহাম্মদ লিটন মিয়া জানান, আসামির বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই ফলে তার কারামুক্তিতে কোনো বাধা নেই। আশা করি, জামিননামা দাখিলের পর আগামীকাল বুধবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে সাইদসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া অপর দুইজন হলেন রাজু আহমেদ ও শেখ মো. শাকিল।

মামলার বিবরণী অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৫টায় গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারে রাজু আহমেদ, শেখ মো. শাকিল ও সাইদ শেখসহ ২০০-২৫০ জন অজ্ঞাতনামা সদস্য সরকারের অনুমোদনবিহীন সংগঠনের মিছিলে অংশ নেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন ও সমাবেশ আয়োজনের চেষ্টা করেন। পুলিশ এই তিনজনকে আটক করলে অন্যরা পালিয়ে যায়। তারা রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল।

বাকপ্রতিবন্ধী সাইদ শেখের জামিন শুনানি

সাইদের পক্ষের আইনজীবী উম্মে হাবিবা বলেন, ‘সাইদ একজন বাকপ্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারে না। বাকপ্রতিবন্ধী কীভাবে মিছিলে স্লোগান দেবে? নিজে ভাতও খেতে পারে না। প্রশাসনকে ভাবতে হবে, একজন প্রতিবন্ধী এতদিন বন্দি থাকতে পারবে না। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য তার জামিন চাই।’

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন বলেন, ‘সাইদ প্রতিবন্ধী নয়, তিনি তোতলা বা অস্পষ্টভাষী। প্রতিবন্ধী ও তোতলার মধ্যে পার্থক্য আছে। ২৪ আগস্ট তারা মিছিল করেছে। সাইদকে আওয়ামী লীগের লোকজন টাকা দিয়ে মিছিলে পাঠিয়েছে। এখনো তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি, তাই তার জামিনের বিরোধিতা করছি।’

আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পরিপূর্ণ তথ্য থাকা জরুরি। এই মামলাটি তিনবার শুনানি হয়েছে, একবারও মানবিক কারণে জামিন খারিজ করা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা মিছিলের ভিডিও দেখিয়েছেন। যদিও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়, মানবিক দিক বিবেচনায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হলো।’

সাইদের মা সুমি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ও নিজে ভাত খেতে পারে না, কোনো কাজ করতে পারে না। দৌড়াতে গেলে পড়ে যায়, কথা বোঝা যায় না। জেলখানায় কিছু খায়নি। আমরা পুরো পরিবার দুশ্চিন্তায় আছি। আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটার মুক্তি চাই।’

Ad 300x250

সম্পর্কিত