leadT1ad

ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা ১৫ সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক
সেনাসদরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) দেওয়া অভিযোগপত্রে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নিয়েছে সেনাবাহিনী । আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলাসংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান এ তথ্য জানান।

মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘৮ তারিখে আমরা জানতে পারি, ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমাদের হস্তগত হয়নি। আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অনুলিপি পাইনি। ৮ তারিখে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে সাবেক ও অনেকে কর্মরত। তাঁদের ৯ তারিখের মধ্যে ঢাকা ক্যান্টমেন্টে সেনা হেফাজতে আনার জন্য বলা হয়। এটা সেনাবাহিনীর প্র্যাকটিস, যাঁদের নামে অভিযোগ ওঠে, তাঁদের আমরা হেফাজতে নিই। এরপর বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।’

মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান আরও বলেন, ‘১৫ জনকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে মেজর জেনারেল কবির নামে এক কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন। তিনি যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সেনা কর্মকর্তা জানান, ‘পরোয়ানায় নাম থাকা ব্যক্তিদের ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এই পরোয়ানার বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। তাই আইনি নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বিচার প্রক্রিয়া এবং গুম কমিশন—উভয়কেই সেনাবাহিনী সমর্থন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, সেনাবাহিনী গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সব অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বুধবার (৮ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে ২২ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দেন আদালত।

Ad 300x250

সম্পর্কিত