স্ট্রিম সংবাদদাতা
স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ধানক্ষেতে শিক্ষার্থীদের কুপিয়ে আহত করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিকমাধ্যমে, যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষা চালিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। এমনকি সকালে সেনাবাহিনীর টহল টিমও তাঁর ‘পরামর্শে’ ক্যাম্পাস ছাড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, সকাল থেকে সংঘর্ষের কারণে পুরো ক্যাম্পাস অচল হয়ে পড়লেও প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে উপাচার্যের সভাপতিত্বে নিয়োগ বোর্ড বসে। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই মৌখিক পরীক্ষা চালিয়ে যান উপাচার্য। বাইরে শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হলেও ভেতরে পরীক্ষা থামানো হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক টিমের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ঘটনাস্থলে ছুটছিলাম, কিন্তু একই সময়ে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এটা খুবই অস্বাভাবিক লেগেছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবিদ বলেন, ‘শনিবার রাতে সংঘর্ষের সময় আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমরা রাত ৩টায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে উপাচার্য মহোদয়ের পরামর্শে রোববার সকালে আমরা চলে যাই। সকালে আবার সংঘর্ষ শুরু হলে ফরমালি ডাকা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারি না। ফরমালি ডাকার পর ক্যাম্পাসে দুপুরের দিকে আবারো আমরা মুভ করি। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা যখন-তখন আসতে পারি না। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিই।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘আমাদের নিয়োগপ্রার্থী অনেক পরীক্ষার্থী গেস্ট হাউসে ছিল। অনেক দূর থেকে তারা এসেছেন। কেউ রাজশাহী, কেউ সিলেট থেকেও। আমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম পরীক্ষা স্থগিত করার। কিন্তু এরমধ্যে আমার পিএস বলল, সবাই দূর থেকে এসেছেন, পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়া যায় কি না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে নিজস্ব ফোর্স নিয়ে মুভ করি। যেখানে যেখানে শিক্ষার্থীরা আটকে থাকার খবর ছিল, সেখানে গিয়ে দেখা গেছে কেউ আটকা পড়েনি। সব ছিল গুজব। ৫ আগস্টের পর শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে না, পুরো দেশের ছাত্রসমাজই কিছু হলেই পদত্যাগ করো, শাহবাগে আন্দোলন, জানাজা পড়া— এসব সংস্কৃতি চলে এসেছে। তারা ভুল করতে পারে, আমরা তো পারি না।‘
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে তার আবাসিক ভবনে দারোয়ানের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার জেরে শনিবার রাত থেকে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। রোববার রাত পর্যন্ত চলা দফায় দফায় এই সংঘর্ষে ২০০ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। দুজনকে গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষকও আহত হয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ধানক্ষেতে শিক্ষার্থীদের কুপিয়ে আহত করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিকমাধ্যমে, যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিয়োগ বোর্ডের পরীক্ষা চালিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। এমনকি সকালে সেনাবাহিনীর টহল টিমও তাঁর ‘পরামর্শে’ ক্যাম্পাস ছাড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, সকাল থেকে সংঘর্ষের কারণে পুরো ক্যাম্পাস অচল হয়ে পড়লেও প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে উপাচার্যের সভাপতিত্বে নিয়োগ বোর্ড বসে। যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এই মৌখিক পরীক্ষা চালিয়ে যান উপাচার্য। বাইরে শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হলেও ভেতরে পরীক্ষা থামানো হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক টিমের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ঘটনাস্থলে ছুটছিলাম, কিন্তু একই সময়ে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এটা খুবই অস্বাভাবিক লেগেছে।’
এদিকে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবিদ বলেন, ‘শনিবার রাতে সংঘর্ষের সময় আমাদের ডাকা হয়েছিল। আমরা রাত ৩টায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরে উপাচার্য মহোদয়ের পরামর্শে রোববার সকালে আমরা চলে যাই। সকালে আবার সংঘর্ষ শুরু হলে ফরমালি ডাকা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারি না। ফরমালি ডাকার পর ক্যাম্পাসে দুপুরের দিকে আবারো আমরা মুভ করি। স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা যখন-তখন আসতে পারি না। আমরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিই।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘আমাদের নিয়োগপ্রার্থী অনেক পরীক্ষার্থী গেস্ট হাউসে ছিল। অনেক দূর থেকে তারা এসেছেন। কেউ রাজশাহী, কেউ সিলেট থেকেও। আমি সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম পরীক্ষা স্থগিত করার। কিন্তু এরমধ্যে আমার পিএস বলল, সবাই দূর থেকে এসেছেন, পরীক্ষা চালিয়ে নেওয়া যায় কি না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সকাল থেকে নিজস্ব ফোর্স নিয়ে মুভ করি। যেখানে যেখানে শিক্ষার্থীরা আটকে থাকার খবর ছিল, সেখানে গিয়ে দেখা গেছে কেউ আটকা পড়েনি। সব ছিল গুজব। ৫ আগস্টের পর শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে না, পুরো দেশের ছাত্রসমাজই কিছু হলেই পদত্যাগ করো, শাহবাগে আন্দোলন, জানাজা পড়া— এসব সংস্কৃতি চলে এসেছে। তারা ভুল করতে পারে, আমরা তো পারি না।‘
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে তার আবাসিক ভবনে দারোয়ানের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার জেরে শনিবার রাত থেকে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। রোববার রাত পর্যন্ত চলা দফায় দফায় এই সংঘর্ষে ২০০ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। দুজনকে গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থী নয়, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষকও আহত হয়েছেন।
সরকারঘোষিত সময় আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।’
১০ মিনিট আগেসোমবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ছিল। আগামী মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা স্থগিত করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর।
১৮ মিনিট আগেডাকসু নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী শিশির মনির ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২৭ মিনিট আগেডাকসুর নির্বাচন প্রক্রিয়া হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন, রুল জারি করেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই আদেশের বিরুদ্ধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চেম্বার জজের আদালতে আপিল মামলা দায়ের করব।
৩৫ মিনিট আগে