স্ট্রিম সংবাদদাতা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের মারধর ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ গাড়ি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় সংঘর্ষস্থলে।
গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। রাতভর সংঘর্ষের পরে আজ রোববার সকাল ১১ টায় ফের সংঘর্ষে জড়ার তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ক্যাম্পাসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
কী ঘটেছিল গতকাল রাতে
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। গতকাল রাতে তাঁর কক্ষে যেতে দেরি হওয়ায় দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল মারা শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সময় মতো বাসায় আসি। আজকেও দেরি করিনি। ১২টার মধ্যে চলে আসি। দারোয়ানকে দরজা খুলতে বলি। তবে তিনি দরজা খুলতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আমি জবাব দিতে গেলে হঠাৎ আমার গলায় চড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার রুমমেটরা নামলে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে আমার রুমমেট ও আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন।’
ফরহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় মাছ বাজারের সামনে একটি বাসায় এক ছাত্রীর ঢুকতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
পরে একটু দূরে গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে দারোয়ানকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আইন বিভাগের ২০-২১ সেশনের ইমতিয়াজকে পিটিয়ে আহত করে।
চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যাদের অবস্থা গুরুতর, আমরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিভাগগুলোর ক্লাস চলমান থাকবে।
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচিতে চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় যেসকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছিল এবং যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখন ভিসি অফিসে মিটিং করছি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ডাকা হয়েছে। ডিজিএফআই এনএসআইকে বলা হয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের মারধর ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬ গাড়ি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয় সংঘর্ষস্থলে।
গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। রাতভর সংঘর্ষের পরে আজ রোববার সকাল ১১ টায় ফের সংঘর্ষে জড়ার তাঁরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টিম ক্যাম্পাসে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
কী ঘটেছিল গতকাল রাতে
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। গতকাল রাতে তাঁর কক্ষে যেতে দেরি হওয়ায় দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল মারা শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন।
অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘আমি প্রতিদিন সময় মতো বাসায় আসি। আজকেও দেরি করিনি। ১২টার মধ্যে চলে আসি। দারোয়ানকে দরজা খুলতে বলি। তবে তিনি দরজা খুলতে রাজি হচ্ছিলেন না। পরে জোরে ডাক দিলে তিনি অকথ্য ভাষায় কথা বলেন। আমি জবাব দিতে গেলে হঠাৎ আমার গলায় চড় মারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার রুমমেটরা নামলে তিনি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং লাথি মারতে থাকেন। আমি আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে আমার রুমমেট ও আশপাশের স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন।’
ফরহাদ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় মাছ বাজারের সামনে একটি বাসায় এক ছাত্রীর ঢুকতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে দারোয়ানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে দারোয়ান ওই শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে তিনি পালিয়ে যান।
পরে একটু দূরে গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে দারোয়ানকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা আইন বিভাগের ২০-২১ সেশনের ইমতিয়াজকে পিটিয়ে আহত করে।
চবি মেডিকেলের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, বহু শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন। আমরা তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। যাদের অবস্থা গুরুতর, আমরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিভাগগুলোর ক্লাস চলমান থাকবে।
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের মাধ্যম শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচিতে চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় যেসকল শিক্ষার্থী বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছিল এবং যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখন ভিসি অফিসে মিটিং করছি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ডাকা হয়েছে। ডিজিএফআই এনএসআইকে বলা হয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করে এ বিষয়ে পরবর্তী সিন্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের জন্য আবার তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর হবে জকসু ও হল সংসদের ভোট।
১৪ মিনিট আগে
গাইবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা)। একই সময়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন বিদ্যালয়গুলোর সহকারী শিক্ষকেরা।
৩১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার সরকারি প্রক্রিয়াটি বড় ধরনের আইনি বাধার মুখে পড়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
২ ঘণ্টা আগে