leadT1ad

নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ১৬
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য বিএনপি

নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম আমরা মাঠে দেখতে পাচ্ছি। আমরা চাইলে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে রাস্তায় নামতে পারতাম, কিন্তু আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকা পালন করছি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।’

তিনি বলেন, এখন দেশে কোথাও কোনো জবাবদিহিতা নেই। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষাঙ্গন, প্রশাসন—সবখানেই জবাবদিহির ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এ ঘাটতি কেউ অনুধাবন করতে না পারছে না। বর্তমান সরকারের কাছে জনগণের কোনো প্রত্যাশা নেই, কারণ তাদের ম্যান্ডেট নেই।

যত দ্রুত সম্ভব জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে বলে মনে করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকায় সব ক্ষেত্রেই এক ধরনের চাপ তৈরি হয়েছে। যাদের যাওয়ার কথা, তারা এখনও পদে বসে আছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই তত্ত্বাবধায়কের মুডে যেতে হবে বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, ‘যেহেতু বর্তমান সরকারই নির্বাচনের আগে অন্তবর্তী সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে, তাই তাদেরকে এখনই কেয়ারটেকার মুডে যেতে হবে। সরকারের ভেতরে বা বাইরে যাদের কারণে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে, তাদের সরিয়ে দিতে হবে। যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে, তারা থাকলে কেয়ারটেকার সরকারের চরিত্র বজায় থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে কেয়ারটেকার সরকারের চরিত্র ও ভূমিকা স্পষ্টভাবে বলা আছে। তাই এই সরকারকেও এখন থেকে সেই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কাজ করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ধীরে ধীরে দৈনন্দিন কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।’

আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাস্তার আন্দোলনের দিন শেষ। এখন সবাইকে জনগণের কাছে যেতে হবে। আপনার যদি কোনও দাবি থাকে, তাহলে সেটি ম্যানিফেস্টোতে নিয়ে জনগণের কাছে যান। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে পাস করুন। রাস্তায় নেমে জোর করে কিছু আদায় করতে গেলে সেটা গণতন্ত্র নয়।’

সরকারের প্রতি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, একটি শান্তিপূর্ণ ট্রানজিশন হোক। যারা সরকারের আছেন, বিশেষ করে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। তাঁকে সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব হস্তান্তরের সুযোগ দিতে হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত