leadT1ad

জুলাই আন্দোলনে দেশের ৪৩৮ স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে: ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা দেশের ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ। স্ট্রিম গ্রাফিক

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র নেতাকর্মীরা দেশের ৪১ জেলার ৪৩৮টি স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আন্দোলনকারীদের ওপর মারণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে ৫০টির বেশি জেলায়। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চলা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সবশেষ সাক্ষীর জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর।

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ দেওয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, শেখ হাসিনা তাঁর প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে ‘জঙ্গি নাটক, হত্যা, অপহরণ, পাতানো নির্বাচন, নির্যাতন’সহ যা কিছু করেছেন, তার মূলে ছিল ক্ষমতায় টিকে থাকা। মামলার তদন্তে তিনি এসব তথ্য পেয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার মো. আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য যত ধরনের অপকৌশল আছে সবই করেছে। এর ফলশ্রুতিতে ২০২৪ সালের আন্দোলনে সব শ্রেণির মানুষ অংশ নেয়।

সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও হামলা চালানো হয় বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এবং মোবাইল ট্র্যাকিং করে আন্দোলনকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে হত্যা, জখম, গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এই আন্দোলনে আক্রমণকারী ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র ক্যাডার। অপরদিকে, আন্দোলনকারীরা ছিল নিরীহ, নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা ছিল ব্যাপক মাত্রার, পদ্ধতিগত এবং সাধারণ মানুষের ওপর লক্ষ্যভিত্তিক নিপীড়ন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটিতে শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

এর আগে, গত রোববার প্রথম জবানবন্দি দেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর। ওই দিন তাঁর জব্দ করা ১৭টি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে দেখানো হয়। এসব ভিডিওতে জুলাই-আগস্টের নির্মমতা ফুটে ওঠে।

তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীরের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জেরা করবেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এরপরই শুরু হবে যুক্তিতর্ক।

Ad 300x250

সম্পর্কিত