.png)

স্ট্রিম প্রতিবেদক

প্রতিটি মণ্ডপে মূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ। শিল্পীরা রাত জেগে প্রতিমায় রঙের শেষ ছোঁয়া দিচ্ছেন। মাটির গায়ে তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গা, মহিষাসুর বধের মহিমা। মণ্ডপসজ্জার জন্য ঝলমলে আলো, কাপড়, ফুল আর নানা রঙের সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত আয়োজন কমিটিগুলোও। কেউ মঞ্চের কারুকাজে শেষ হাত লাগাচ্ছেন, কেউ আবার সাউন্ড সিস্টেমের শেষ ট্রায়াল নিচ্ছেন।
এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ হাজার ৮৯৪টি বেশি মণ্ডপে দুর্গোৎসব আয়োজিত হচ্ছে।
দুর্গাপূজার আর মাত্র এক দিন বাকি। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার এখন রঙ, আলো আর উৎসবের গন্ধে মেতে ওঠা আলাদা দুনিয়া। আড়াইশ’ বছরের পুরোনো এই ঐতিহ্যবাহী বাজারের প্রতিটি গলি, প্রতিটি দোকান আজ ব্যস্ত পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। সকাল সকাল দোকানগুলো খুলেছে। রাত গভীর পর্যন্ত চলতে থাকবে কেনাকাটা। দুর্গাপূজার আগের এই ক’টা দিন শাঁখারীবাজারে পা না রাখলে যেন উৎসবটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এবারের দূর্গোৎসবে শাঁখারীবাজারে মণ্ডপ হয়েছে ১০টি। আর তাঁতীবাজারে মণ্ডপ হয়েছে ৩০টি।
শাঁখা বিক্রির ঐতিহ্য থেকেই শাঁখারীবাজারের নামকরণ। শাঁখা আজও দুর্গাপূজার কেনাকাটার মূল আকর্ষণ। দূর দূরান্ত থেকে শাঁখা কিনতে অনেকেই আসেন এখানে। লাল-সাদা শাঁখার সারি, রঙিন চুড়ি, শঙ্খের মালা, সোনালি ঝুমকো—সবকিছুতেই উৎসবের আমেজ। দোকানগুলোতে ভিড়। কারও হাতে নতুন শাঁখা, কারও ব্যাগ ভর্তি রঙিন টিপ, আলতা, চুড়ি।
দোকানিরাও সময়ের হিসাব ভুলে ব্যস্ত। শাঁখা ব্যবসায়ী সুজিত পাল বললেন, ‘দুর্গাপূজার আগের এই কয়েকটা দিন আমাদের সারা বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু এই ভিড় আর হাসিখুশি মানুষগুলোর জন্য কষ্টটা আনন্দ হয়ে যায়।’
শাঁখা-চুড়ির দোকান ছাড়াও বাজারের গলিতে গলিতে সাজানো রয়েছে পূজার নানা উপকরণ। বিক্রি হয় ধূপকাঠি, প্রদীপ, ঘটি, শোলার মালা, রঙিন কাপড়, প্রতিমা সাজানোর অলঙ্কার। সবকিছুর জন্য ক্রেতাদের লম্বা লাইন। মৃৎশিল্পীরা মাটির প্রদীপ আর ধূপদানি সাজিয়ে রাখছেন দোকানের এক কোণে। শেষ মুহূর্তে এসবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, কোলাহলে ভেসে আসছে শেষ প্রস্তুতির সুর। স্থানীয় মণ্ডপগুলোতেও চলছে প্রতিমা রঙের কাজের শেষ স্পর্শ।
বাজারে দেখা গেল কলেজছাত্রী মিথিলা রায়কে। থাকেন বাসাবোতে। হাতে লাল-সাদা শাঁখা নিয়ে হাসিমুখে বললেন, ‘প্রতিবছর মায়ের সঙ্গে এখানে আসি। শাঁখারীবাজারে না এলে পূজার আনন্দই অসম্পূর্ণ লাগে।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি দেখা গেল মুসলিম পরিবারগুলোকেও। তারা কিনছেন মিষ্টি বা দরকারি সামগ্রী।

শেষ মুহূর্তের ভিড় সামলাতে স্থানীয় পূজা উদ্যাপন কমিটি ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। গলির মুখে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, মোতায়েন রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল। ব্যস্ত বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও পরিচ্ছন্নতার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দিনের ভিড়ের পর রাত নামলেই শাঁখারীবাজার পরিণত হয় আলোর গলিতে। প্রতিটি দোকানের সামনে ঝুলছে লাল, সোনালি, সবুজ আলো। গলির দুই পাশে সাজানো রঙিন বাতি, এলইডি লাইটের ঝিকিমিকি। বাতাসে ধূপের গন্ধ বাতাসে মিশে তৈরি করে উৎসবের আবহ। মনে হয় পুরো বাজার দেবী দুর্গার আগমনের জন্য নিজেকে সজ্জিত করে অপেক্ষা করছে।
দুর্গাপূজার আগের এই ব্যস্ততা শুধু কেনাকাটার নয়। এটি পুরান ঢাকার সংস্কৃতি ও সহাবস্থানের প্রতীক। আধুনিক শপিং মল ও অনলাইন কেনাকাটার যুগেও শাঁখারীবাজারের এই ঐতিহ্য টিকে আছে সগৌরবে।
দেবীর আগমনের প্রহর যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস। এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বাজারের কোলাহল নয়। কাল দুর্গাপূজার প্রথম ঢাক বাজতেই শুরু হবে আনন্দ, প্রার্থনা আর ঐতিহ্যের মহোৎসব।

প্রতিটি মণ্ডপে মূর্তি তৈরির কাজ প্রায় শেষ। শিল্পীরা রাত জেগে প্রতিমায় রঙের শেষ ছোঁয়া দিচ্ছেন। মাটির গায়ে তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠছে দেবী দুর্গা, মহিষাসুর বধের মহিমা। মণ্ডপসজ্জার জন্য ঝলমলে আলো, কাপড়, ফুল আর নানা রঙের সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত আয়োজন কমিটিগুলোও। কেউ মঞ্চের কারুকাজে শেষ হাত লাগাচ্ছেন, কেউ আবার সাউন্ড সিস্টেমের শেষ ট্রায়াল নিচ্ছেন।
এ বছর সারা দেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ হাজার ৮৯৪টি বেশি মণ্ডপে দুর্গোৎসব আয়োজিত হচ্ছে।
দুর্গাপূজার আর মাত্র এক দিন বাকি। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার এখন রঙ, আলো আর উৎসবের গন্ধে মেতে ওঠা আলাদা দুনিয়া। আড়াইশ’ বছরের পুরোনো এই ঐতিহ্যবাহী বাজারের প্রতিটি গলি, প্রতিটি দোকান আজ ব্যস্ত পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। সকাল সকাল দোকানগুলো খুলেছে। রাত গভীর পর্যন্ত চলতে থাকবে কেনাকাটা। দুর্গাপূজার আগের এই ক’টা দিন শাঁখারীবাজারে পা না রাখলে যেন উৎসবটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এবারের দূর্গোৎসবে শাঁখারীবাজারে মণ্ডপ হয়েছে ১০টি। আর তাঁতীবাজারে মণ্ডপ হয়েছে ৩০টি।
শাঁখা বিক্রির ঐতিহ্য থেকেই শাঁখারীবাজারের নামকরণ। শাঁখা আজও দুর্গাপূজার কেনাকাটার মূল আকর্ষণ। দূর দূরান্ত থেকে শাঁখা কিনতে অনেকেই আসেন এখানে। লাল-সাদা শাঁখার সারি, রঙিন চুড়ি, শঙ্খের মালা, সোনালি ঝুমকো—সবকিছুতেই উৎসবের আমেজ। দোকানগুলোতে ভিড়। কারও হাতে নতুন শাঁখা, কারও ব্যাগ ভর্তি রঙিন টিপ, আলতা, চুড়ি।
দোকানিরাও সময়ের হিসাব ভুলে ব্যস্ত। শাঁখা ব্যবসায়ী সুজিত পাল বললেন, ‘দুর্গাপূজার আগের এই কয়েকটা দিন আমাদের সারা বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু এই ভিড় আর হাসিখুশি মানুষগুলোর জন্য কষ্টটা আনন্দ হয়ে যায়।’
শাঁখা-চুড়ির দোকান ছাড়াও বাজারের গলিতে গলিতে সাজানো রয়েছে পূজার নানা উপকরণ। বিক্রি হয় ধূপকাঠি, প্রদীপ, ঘটি, শোলার মালা, রঙিন কাপড়, প্রতিমা সাজানোর অলঙ্কার। সবকিছুর জন্য ক্রেতাদের লম্বা লাইন। মৃৎশিল্পীরা মাটির প্রদীপ আর ধূপদানি সাজিয়ে রাখছেন দোকানের এক কোণে। শেষ মুহূর্তে এসবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, কোলাহলে ভেসে আসছে শেষ প্রস্তুতির সুর। স্থানীয় মণ্ডপগুলোতেও চলছে প্রতিমা রঙের কাজের শেষ স্পর্শ।
বাজারে দেখা গেল কলেজছাত্রী মিথিলা রায়কে। থাকেন বাসাবোতে। হাতে লাল-সাদা শাঁখা নিয়ে হাসিমুখে বললেন, ‘প্রতিবছর মায়ের সঙ্গে এখানে আসি। শাঁখারীবাজারে না এলে পূজার আনন্দই অসম্পূর্ণ লাগে।’ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশাপাশি দেখা গেল মুসলিম পরিবারগুলোকেও। তারা কিনছেন মিষ্টি বা দরকারি সামগ্রী।

শেষ মুহূর্তের ভিড় সামলাতে স্থানীয় পূজা উদ্যাপন কমিটি ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। গলির মুখে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, মোতায়েন রয়েছে স্বেচ্ছাসেবক দল। ব্যস্ত বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকেও পরিচ্ছন্নতার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দিনের ভিড়ের পর রাত নামলেই শাঁখারীবাজার পরিণত হয় আলোর গলিতে। প্রতিটি দোকানের সামনে ঝুলছে লাল, সোনালি, সবুজ আলো। গলির দুই পাশে সাজানো রঙিন বাতি, এলইডি লাইটের ঝিকিমিকি। বাতাসে ধূপের গন্ধ বাতাসে মিশে তৈরি করে উৎসবের আবহ। মনে হয় পুরো বাজার দেবী দুর্গার আগমনের জন্য নিজেকে সজ্জিত করে অপেক্ষা করছে।
দুর্গাপূজার আগের এই ব্যস্ততা শুধু কেনাকাটার নয়। এটি পুরান ঢাকার সংস্কৃতি ও সহাবস্থানের প্রতীক। আধুনিক শপিং মল ও অনলাইন কেনাকাটার যুগেও শাঁখারীবাজারের এই ঐতিহ্য টিকে আছে সগৌরবে।
দেবীর আগমনের প্রহর যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে দেশজুড়ে উচ্ছ্বাস। এই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুধু বাজারের কোলাহল নয়। কাল দুর্গাপূজার প্রথম ঢাক বাজতেই শুরু হবে আনন্দ, প্রার্থনা আর ঐতিহ্যের মহোৎসব।
.png)

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে সিন্ডিকেট করে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায় করার মাধ্যমে ৩১০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে চারটি রিক্রুটিং এজেন্সির পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৮ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এই খবর বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা নেই এবং কোনো সংবেদনশীল মানুষ এটা বিশ্বাস করবে না।
৯ ঘণ্টা আগে
সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৬ সালের হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় আগামী বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এ ইন্টারনেট বন্ধের (শাটডাউন) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ বেশ কিছু যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
১০ ঘণ্টা আগে