leadT1ad

শুধু শংকর জাতের দিকে ঝুঁকলে ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বাড়বে: ফরিদা আখতার

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৪
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

দেশি গরুর জাত সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের দেশি গরুর জাতগুলো দীর্ঘ সময় ধরে নিজস্ব পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকে আছে। তাই স্থানীয় গরুর জাতগুলোর অনন্য জেনেটিক বৈশিষ্ট্য ভবিষ্যতের টেকসই প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের জন্য মূল্যবান সম্পদ।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা স্থানীয় জলবায়ু-সহনশীল দেশি জাতের গবাদিপশুর সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘শুধু শংকর জাতের দিকে ঝুঁকলে ভবিষ্যৎ ঝুঁকির আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই দেশি জাত সংরক্ষণ করতে হবে।’

ফরিদা আখতার আরও বলেন, মাঠপর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ, আবহাওয়াজনিত অনিশ্চয়তা এবং উৎপাদন ব্যাহত হওয়া—এই বিষয়গুলো এখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে উঠে আসছে।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপদেষ্টা কপ-৩১-এর মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশি গবেষক, বিজ্ঞানী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়মিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য দায়ী। জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ দেশ হয়েও বাংলাদেশকে অনেক সময় অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হয়, কারণ আমাদের সেক্টরভিত্তিক সুনির্দিষ্ট তথ্য এবং পরিমাপ, প্রতিবেদন ও যাচাইকরণ ব্যবস্থা সেভাবে প্রতিষ্ঠিত নয়।’

‘স্কেলিং-আপ লাইভস্টক ক্লাইমেট অ্যাকশনস টু এনহ্যান্স ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনস–ফেজ টু’ শীর্ষক এই জাতীয় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।

কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গবেষক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250
সর্বাধিক পঠিত

সম্পর্কিত