leadT1ad

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ

চবির ৫০ শিক্ষার্থী চমেকে ভর্তি, বেশিরভাগেরই মাথায় আঘাত

হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, বারবার হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

স্ট্রিম সংবাদদাতাচট্টগ্রাম
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ২৫
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ২১: ১১
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী। স্ট্রিম ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৫০ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগেরই মাথায় আঘাত লেগেছে। কারও হাত-পা ভেঙেছে, অনেকে আবার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শয্যাশায়ী।

চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা জানান, আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত ৫০ শিক্ষার্থীকে চমেকের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন স্ট্রিমকে বলেন, ‘চবির ৫০ শিক্ষার্থী চমেকে ভর্তি আছেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই মাথায় আঘাত। সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’

চমেকে থাকা দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দনা রানি বলেন, সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁদের মাথা থেকে সবার প্রচুর রক্ত ঝরছে।

ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী শবনম বলেন, ‘আমাদের দিকে একসাথে ইট ছুড়তে থাকে স্থানীয়রা। মাথায় আঘাত পেয়ে চোখে অন্ধকার দেখি। পরে বন্ধুরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

চবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক মুহাম্মদ টিপু সুলতান বলেন, ‘শতাধিক শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের আমরা চমেকে পাঠিয়েছি। বেশির ভাগের মাথায় আঘাত লেগেছে।’

চমেক হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেন, শনিবার রাত ও রোববার দুপুর আহত হয়ে আসা শিক্ষার্থীদের ভিড়ে জরুরি বিভাগ কার্যত অচল হয়ে যায়। তাঁদের সবার দ্রুত সেলাই, এক্স-রে ও প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়।

এদিকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, বারবার হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ানের মারধর করেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান স্থানীয়রা। শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘাত থামাতে রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে গিয়ে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) ও প্রক্টর।

সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গেট বাজার থেকে রেলগেট পর্যন্ত আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত এই আদেশ জারি থাকবে।

Ad 300x250

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ এক হলো কেন

তারেক রহমানের দেশে ফেরা তাঁর নিজের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাবি শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল

ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি, পরিচয়পত্র ছাড়া ঢুকতে পারবেন না শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরাও

হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র তুলতে জিডি করা লাগবে না

সম্পর্কিত