খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। পুলিশ বাহিনী প্রধান (আইজিপি), বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন এবং ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতারা বড়দিনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তাব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, সবার সহযোগিতায় অন্যান্য বছরের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হবে। সভায় উপস্থিত খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের স্বাগত জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, বড়দিনের উৎসব সার্বজনীন। বড়দিনকে ঘিরে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের যে সক্ষমতা রয়েছে আমরা তা দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে পারব। বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে সভায় জানানো হয়।‘
বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনিব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হবে।
সভায় দেশের বিভিন্ন স্থানে গীর্জার নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আয়োজকদের ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ দেশের সব পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
কেউ উচ্চশব্দে গাড়ির হর্ন বাজালে বা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি অথবা মোটরবাইক চালালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশ কর্মকর্তার সহযোগিতা নেয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।