বর্ষায় চেচুয়ার বিলে ফুটেছে অজস্র লাল শাপলা ফুল। ফাঁকে ফাঁকে ফুটে আছে সাদা ও বেগুনী শাপলা ফুলও। মনোরম সেই দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন বিলে ভিড় করছে সৌন্দর্যপিয়াসী লোকজন।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
প্রায় বিশ একর জায়গা জুড়ে দীঘল একটা বিল। বর্ষায় টইটুম্বুর পানি থাকে, শুষ্ক মৌসুমে এর বুকে হালচাষ করেন কৃষকরা। বিলের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে একটা গ্রামীণ পথ। এতে ভাগ হয়ে গেছে বিলটি। পথের একপাশে অধিকাংশ নিয়ে তৈরি বিলের নাম চেচুয়া, আরেক অংশের নাম গলহর বিল। সাধারণ এই বিলটি নিয়েই আছেন কিংবদন্তী।
চেচুয়া বিলের পানিতে নেমে গোসাল করলে জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধির নিরাময় হয়–
প্রায় দশ বছর আগে এমন একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। সেই খবর শুনে বিলে ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ। তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এখন মানুষের মধ্যে বিল নিয়ে অলৌকিক বিশ্বাস কমে এলেও ছড়িয়ে পড়ে চেচুয়ার বিলের পরিচিতি।
আলোচিত হয়েছিল চেচুয়া বিলটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে। বর্তমানে সেই বিল পরিণত হয়েছে শাপলার স্বর্গরাজ্যে। বর্ষায় সেখানে ফুটেছে অজস্র লাল শাপলা ফুল। ফাঁকে ফাঁকে ফুটে আছে সাদা ও বেগুনী শাপলা ফুলও। মনোরম সেই দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন বিলে ভিড় করছে সৌন্দর্য পিয়াসী লোকজন। পাশাপাশি অবস্থিত গলহর বিলও এখন শাপলা ফুলের সমাহারে ভরে উঠেছে।
অধিকাংশ লোকজনের কাছে জানা চেচুয়ার বিলটি স্থানীয়দের কাছে চেচুয়া-গলহর বিল নামে পরিচিত। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চেচুয়া বিলের পানিতে জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময় হয় বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশ বিভিন্নি স্থান থেকে ভিড় জমায় মানুষজন। প্রশাসনকে তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। পরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
সেই চেচুয়া-গলহর বিল বর্ষার পানিতে একাকার হয়ে গিয়েছে। লাল শাপলার সমারোহে ভরে উঠেছে বিলটি। সঙ্গে সাদা ও বেগুনি শাপলার সমাহার প্রকৃতিপ্রেমীদের চোখে ছড়িয়ে দিচ্ছে অপূর্ব আনন্দ।
অনেকের মতো চেচুয়ার বিল দেখতে এসেছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ভালো কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। চেচুয়া বিলকে একসময় আমরা গুজবের কারণে চিনতাম। এখন প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো অসংখ্য লাল শাপলার সৌন্দর্যের টানে এসেছি। এত কাছ থেকে এত শাপলা আগে কখনো দেখিনি। একসময়ের গুজবের বিলই এখন শাপলার স্বর্গরাজ্য।’
কেবল ইশরাত জাহান নন, প্রতিদিনই বিলে শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমছে শত শত মানুষ। কেউ নৌকায় ঘুরছেন ফুলের রাজ্যে, কেউবা পানিতে নেমে ছবি তুলছেন। জামাকাপড় ভিজলেও প্রকৃতির টানে পিছপা হচ্ছেন না কেউ। তবে অতিরিক্ত ফুল ছেঁড়ায় সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শাপলার টানে দর্শনার্থীদের অনেককে হাঁটতে হচ্ছে কাদামাখা পথ ধরে, আবার অনেকে নামছেন পানিতেও। নৌকা ভ্রমণের সুযোগ থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিলে শাপলার সমাহার দেখতে এভাবে মানুষ আসছে দেখে খুব ভালো লাগছে। আমরা চেষ্টা করছি নিরাপদ পরিবেশ রাখতে। ফুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অতিরিক্ত ফুল ছেঁড়া বন্ধ করা এবং নৌকার ভাড়া কমানোর চেষ্টা করছি। সরকার সহযোগিতা করলে এখানে স্থায়ী পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।’
ত্রিশাল সদর থেকে চেচুল বিলের যাওয়া বেশ সহজ। উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে চেচুয়ার বিলের অবস্থান। এ জন্য ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বালিপাড়া রোডে ঠাকুরবাড়ি মোড় পর্যন্ত যেতে হবে অটোভ্যানে। ভাড়া গড় পড়তা ১০ টাকা। সেখান থেকে হেঁটে বা ভ্যানে করেই পৌঁছে যাবেন চেচুয়া বিলে।
চেচুয়ার বিলের পর্যটন সম্ভাবনা বিষয় ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি বলেন, ‘চেচুয়ার শাপলা বিলে নিয়মিত ভ্রমণপিপাসু আসছেন। তবে জমিগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ায় সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সুযোগ নেই। তবুও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও ফুল সংরক্ষণে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা যায় কি না, তা বিবেচনা করা হবে।’
প্রায় বিশ একর জায়গা জুড়ে দীঘল একটা বিল। বর্ষায় টইটুম্বুর পানি থাকে, শুষ্ক মৌসুমে এর বুকে হালচাষ করেন কৃষকরা। বিলের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে একটা গ্রামীণ পথ। এতে ভাগ হয়ে গেছে বিলটি। পথের একপাশে অধিকাংশ নিয়ে তৈরি বিলের নাম চেচুয়া, আরেক অংশের নাম গলহর বিল। সাধারণ এই বিলটি নিয়েই আছেন কিংবদন্তী।
চেচুয়া বিলের পানিতে নেমে গোসাল করলে জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধির নিরাময় হয়–
প্রায় দশ বছর আগে এমন একটা গুজব ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। সেই খবর শুনে বিলে ভিড় করেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ। তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এখন মানুষের মধ্যে বিল নিয়ে অলৌকিক বিশ্বাস কমে এলেও ছড়িয়ে পড়ে চেচুয়ার বিলের পরিচিতি।
আলোচিত হয়েছিল চেচুয়া বিলটি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নে। বর্তমানে সেই বিল পরিণত হয়েছে শাপলার স্বর্গরাজ্যে। বর্ষায় সেখানে ফুটেছে অজস্র লাল শাপলা ফুল। ফাঁকে ফাঁকে ফুটে আছে সাদা ও বেগুনী শাপলা ফুলও। মনোরম সেই দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন বিলে ভিড় করছে সৌন্দর্য পিয়াসী লোকজন। পাশাপাশি অবস্থিত গলহর বিলও এখন শাপলা ফুলের সমাহারে ভরে উঠেছে।
অধিকাংশ লোকজনের কাছে জানা চেচুয়ার বিলটি স্থানীয়দের কাছে চেচুয়া-গলহর বিল নামে পরিচিত। ২০১৮ সালের অক্টোবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চেচুয়া বিলের পানিতে জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধি নিরাময় হয় বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেশ বিভিন্নি স্থান থেকে ভিড় জমায় মানুষজন। প্রশাসনকে তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। পরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
সেই চেচুয়া-গলহর বিল বর্ষার পানিতে একাকার হয়ে গিয়েছে। লাল শাপলার সমারোহে ভরে উঠেছে বিলটি। সঙ্গে সাদা ও বেগুনি শাপলার সমাহার প্রকৃতিপ্রেমীদের চোখে ছড়িয়ে দিচ্ছে অপূর্ব আনন্দ।
অনেকের মতো চেচুয়ার বিল দেখতে এসেছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান। স্ট্রিমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে ভালো কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। চেচুয়া বিলকে একসময় আমরা গুজবের কারণে চিনতাম। এখন প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো অসংখ্য লাল শাপলার সৌন্দর্যের টানে এসেছি। এত কাছ থেকে এত শাপলা আগে কখনো দেখিনি। একসময়ের গুজবের বিলই এখন শাপলার স্বর্গরাজ্য।’
কেবল ইশরাত জাহান নন, প্রতিদিনই বিলে শাপলার সৌন্দর্য দেখতে ভিড় জমছে শত শত মানুষ। কেউ নৌকায় ঘুরছেন ফুলের রাজ্যে, কেউবা পানিতে নেমে ছবি তুলছেন। জামাকাপড় ভিজলেও প্রকৃতির টানে পিছপা হচ্ছেন না কেউ। তবে অতিরিক্ত ফুল ছেঁড়ায় সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শাপলার টানে দর্শনার্থীদের অনেককে হাঁটতে হচ্ছে কাদামাখা পথ ধরে, আবার অনেকে নামছেন পানিতেও। নৌকা ভ্রমণের সুযোগ থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিলে শাপলার সমাহার দেখতে এভাবে মানুষ আসছে দেখে খুব ভালো লাগছে। আমরা চেষ্টা করছি নিরাপদ পরিবেশ রাখতে। ফুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে অতিরিক্ত ফুল ছেঁড়া বন্ধ করা এবং নৌকার ভাড়া কমানোর চেষ্টা করছি। সরকার সহযোগিতা করলে এখানে স্থায়ী পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।’
ত্রিশাল সদর থেকে চেচুল বিলের যাওয়া বেশ সহজ। উপজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড জুড়ে চেচুয়ার বিলের অবস্থান। এ জন্য ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড থেকে বালিপাড়া রোডে ঠাকুরবাড়ি মোড় পর্যন্ত যেতে হবে অটোভ্যানে। ভাড়া গড় পড়তা ১০ টাকা। সেখান থেকে হেঁটে বা ভ্যানে করেই পৌঁছে যাবেন চেচুয়া বিলে।
চেচুয়ার বিলের পর্যটন সম্ভাবনা বিষয় ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল বাকিউল বারি বলেন, ‘চেচুয়ার শাপলা বিলে নিয়মিত ভ্রমণপিপাসু আসছেন। তবে জমিগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ায় সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সুযোগ নেই। তবুও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও ফুল সংরক্ষণে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা যায় কি না, তা বিবেচনা করা হবে।’
রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের ১৯ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত প্রতিবেদনে আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণ হয়।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ’ নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের এডমিনকে তলব করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের এক বক্তব্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা এবং তাঁর ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট হলো এমন একটি সরকারি নথি, যা কোনো ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করে এবং তাঁকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ বা অ
২ ঘণ্টা আগেগত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন পাভেল।
৩ ঘণ্টা আগে