leadT1ad

মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশে আমলাতন্ত্রের দখলদারত্ব: টিআইবি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৮
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ¬-২০২৫-এ আমলাতান্ত্রিক দখলদারত্ব প্রতিষ্ঠার অভিযোগ তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলছে, বাছাই কমিটিতে আমলাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্তি ও স্বাধীনতা খর্ব করার প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রভাবমুক্ত কমিশন গঠনের সম্ভাবনা সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়েছে।

আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

এতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গত ৯ নভেম্বর যখন গেজেট আকারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ প্রকাশ করা হয়, তখন টিআইবিসহ সব অংশীজন আশান্বিত হয়েছিল। আশা ছিল, আমলাতন্ত্রের জিম্মিদশা কাটিয়ে কমিশন এবার জনপ্রত‍্যাশা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে গঠিত হবে। কিন্তু ঠিক এক মাসের মাথায়, গত ৮ ডিসেম্বর বাছাই কমিটিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, তা সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। যে কমিটি কমিশনকে স্বাধীন করতে পারত, সেটিই এখন সরকারি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে।

এই পরিবর্তন ষড়যন্ত্রমূলক জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে মানবাধিকার কমিশনসহ অন্য কমিশনগুলোর অকার্যকরতার পেছনে দীর্ঘকাল ধরে রয়েছে সরকারি প্রভাব। বাছাই কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের অন্তর্ভুক্তি সেই অশুভ প্রক্রিয়ারই ধারাবাহিকতা। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কমিশনকে অকার্যকর রাখার সুগভীর চক্রান্ত।

আইনি মারপ্যাঁচ ও কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব

টিআইবি জানায়, মূল অধ্যাদেশে (৬২ নম্বর) বাছাই কমিটিতে আমলাতন্ত্রের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। কিন্তু সংশোধিত অধ্যাদেশে (৭৪ নম্বর) অংশীজনদের না জানিয়ে একতরফাভাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘শুধু কমিটি দখলই নয় আইনের ভাষাতেও নেতিবাচক পরিবর্তন আনা হয়েছে। কমিশনের আদেশ পালন না করলে আগে যেখানে গৃহীত পদক্ষেপ কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতা ছিল, সেখানে ‘অবহিত করা যাইবে’ শব্দগুচ্ছ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কমিশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আমলাতন্ত্রের অন্তর্ঘাতমূলক সংস্কারবিরোধী চক্রের কাছে সরকারকে আত্মসমর্পণ না করার আহ্বানও জানিয়েছে টিআইবি।

সংস্থাটির দাবি, অবিলম্বে অধ্যাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বিধান, বিশেষ করে বাছাই কমিটিতে মন্ত্রীপরিষদ সচিবের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ‍্যাদেশটি নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। অন্যথায়, জাতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিভাগ প্রতিষ্ঠার মতো প্রশংসনীয় উদ্যোগগুলোও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত