আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশনে (ডব্লিউএসও) একটি প্রকল্পে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন তরুণ চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ান। সেখানে তাঁর একটি গবেষণাপত্র সেরা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সেই সূত্রে ধরে সংস্থাটি বিনামূল্যে হৃদরোদ ও স্ট্রোকের ওষুধ দিতে চাইলে তা রামেক হাসপাতালের জন্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেন শীর্ষ শ্রেয়ান।
স্ট্রিম সংবাদদাতা
চিকিৎসা পেশার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এমবিবিএস উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র। এখন চাকরিপূর্ব প্রশিক্ষণ (ইন্টার্নশিপ) নিচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। এর মধ্যেই নিজ উদ্যমে আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসও) থেকে ১৭ কোটি টাকার ওষুধ সহায়তায় এনে দিয়েছেন শীর্ষ শ্রেয়ান। তরুণ চিকিৎসকের এনে দেওয়া এই ওষুধে সহায়তা পাচ্ছেন স্ট্রোক ও হৃদরোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টার্ন চিকিৎসক হয়েও উদ্যোগের দিক দিয়ে শীর্ষ শ্রেয়ান সবার থেকে এগিয়ে। এত বড় কাজ আগে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক করে দেখাতে পারেননি। বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে বিনামূল্যে রোগীদের ওষুধ প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
শীর্ষের উদ্যোগে সোমবার (২৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা থেকে রামেক হাসপাতালে পৌঁছেছে আড়াই হাজার ভায়াল আল্টেপ্লেস। থ্রম্বোলাইটিক ধরনের ওষুধ রক্তনালিতে জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনে। সাধারণত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ভায়ালের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বিনামূল্যে পাওয়া আড়াই হাজার ভায়ালের দাম পড়ছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
স্ট্রোক প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় কাজ করে ডব্লিউএসও। শীর্ষ শ্রেয়ান এমবিবিএসের পঞ্চম বর্ষে থেকেই তাদের একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেন সহকারী হিসেবে। তাঁর করা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হওয়ার পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেটি সেরা গবেষণা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এতেই আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা ডিরেক্ট রিলিফের নজরে আসেন তিনি।
চলতি বছরের মার্চে ডব্লিউএসওর এশিয়া প্যাশিফিক রিজিয়নের ডিরেক্টর গর্ডন উইলকক অস্ট্রেলিয়া থেকে শীর্ষকে একটি ই-মেইল বার্তায় প্রস্তাব দেয়। এতে সংস্থাটির পক্ষে উইলকক জানায়, তারা রামেক হাসপাতালে আল্টেপ্লেস সরবরাহ করতে চায়। বিষয়টি রামেক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আযাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শীর্ষ শ্রেয়াণ। পরে উইলককের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় তাদের।
অধ্যাপক ডা. আযাদ সংস্থাটিকে জানান, স্ট্রোক রোগীর পাশাপাশি হৃদরোগীদের জন্যেও যদি এ ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি মেলে, তবে বেশি কাজে লাগবে। কেননা রামেক হাসপাতালে সাধারণত রোগীরা আসতে বিলম্ব করেন। ইনজেকশনটি স্ট্রোকের রোগীদের সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হয়। আর হৃদরোগীদের দেওয়া যায় আক্রান্তের সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। তাঁর যুক্তিতে রাজি হন গর্ডন উইলকক।
নিয়মানুযায়ী দাতাসংস্থাটির ডিরেক্ট রিলিফ ও রামেক হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি হয়। প্রক্রিয়া শেষে চলতি আগস্টের ২০ তারিখ ঢাকায় আসে ওষুধ। ডিরেক্ট রিলিফের তত্ত্বাবধানে ২৫ আগস্ট ফ্রোজেন ভ্যানে করে তা পৌঁছায় রাজশাহী।
তরুণ চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে, তবে বেড়ে ওঠা সাভারে। তাঁর বাবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে শীর্ষ ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে। গত জুলাইয়ে এমবিবিএস সম্পন্ন করে এখন ইন্টার্নশিপ করছেন তিনি।
রামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়সাল আলম বলেন, ‘শিক্ষকেরা অনেক সময় বিদেশ থেকে ফান্ড এনেছেন। কিন্তু আমার জানা মতে কোনো শিক্ষার্থী আগে পারেননি। শীর্ষ শ্রেয়ান সেটা করে দেখিয়েছে। এটা অভাবনীয়। আমি তাঁকে নিয়ে গর্বিত।’
শীর্ষ শ্রেয়ানের মেন্টর অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদ বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য থ্রম্বোলাইটিকের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম। দামি হওয়ায় অনেকেই এই ওষুধ কিনতে পারেন না। এখন তারা একেবারে বিনামূল্যে পাচ্ছেন। আমরা সত্যিই শীর্ষকে নিয়ে গর্বিত।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানান, বুধবার থেকেই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৭০ ভায়াল ব্যবহার হয়েছে। এ কৃতিত্বের জন্য তিনি শীর্ষ শ্রেয়াণকে ধন্যবাদ জানান।
হৃদরোগী ও স্ট্রোকে আক্রান্তদের দ্রুত রামেক হাসপাতালে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ শ্রেয়ান। তিনি বলেন, ‘যদি কারও হাত-পা অবশ হয়ে যায়, মুখ বেঁকে যায়, চোখের পাতা পড়ে যায় বা কথা অস্পষ্ট হয়ে যায়, তবে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে। সময় মতো এলেই থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ কাজে দেবে।’
চিকিৎসা পেশার গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এমবিবিএস উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র। এখন চাকরিপূর্ব প্রশিক্ষণ (ইন্টার্নশিপ) নিচ্ছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। এর মধ্যেই নিজ উদ্যমে আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএসও) থেকে ১৭ কোটি টাকার ওষুধ সহায়তায় এনে দিয়েছেন শীর্ষ শ্রেয়ান। তরুণ চিকিৎসকের এনে দেওয়া এই ওষুধে সহায়তা পাচ্ছেন স্ট্রোক ও হৃদরোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, ইন্টার্ন চিকিৎসক হয়েও উদ্যোগের দিক দিয়ে শীর্ষ শ্রেয়ান সবার থেকে এগিয়ে। এত বড় কাজ আগে কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক করে দেখাতে পারেননি। বুধবার (২৭ আগস্ট) থেকে বিনামূল্যে রোগীদের ওষুধ প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
শীর্ষের উদ্যোগে সোমবার (২৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা থেকে রামেক হাসপাতালে পৌঁছেছে আড়াই হাজার ভায়াল আল্টেপ্লেস। থ্রম্বোলাইটিক ধরনের ওষুধ রক্তনালিতে জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনে। সাধারণত স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি ভায়ালের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বিনামূল্যে পাওয়া আড়াই হাজার ভায়ালের দাম পড়ছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
স্ট্রোক প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় কাজ করে ডব্লিউএসও। শীর্ষ শ্রেয়ান এমবিবিএসের পঞ্চম বর্ষে থেকেই তাদের একটি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেন সহকারী হিসেবে। তাঁর করা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হওয়ার পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেটি সেরা গবেষণা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এতেই আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা ডিরেক্ট রিলিফের নজরে আসেন তিনি।
চলতি বছরের মার্চে ডব্লিউএসওর এশিয়া প্যাশিফিক রিজিয়নের ডিরেক্টর গর্ডন উইলকক অস্ট্রেলিয়া থেকে শীর্ষকে একটি ই-মেইল বার্তায় প্রস্তাব দেয়। এতে সংস্থাটির পক্ষে উইলকক জানায়, তারা রামেক হাসপাতালে আল্টেপ্লেস সরবরাহ করতে চায়। বিষয়টি রামেক মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আযাদের সঙ্গে আলোচনা করেন শীর্ষ শ্রেয়াণ। পরে উইলককের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় তাদের।
অধ্যাপক ডা. আযাদ সংস্থাটিকে জানান, স্ট্রোক রোগীর পাশাপাশি হৃদরোগীদের জন্যেও যদি এ ওষুধ ব্যবহারের অনুমতি মেলে, তবে বেশি কাজে লাগবে। কেননা রামেক হাসপাতালে সাধারণত রোগীরা আসতে বিলম্ব করেন। ইনজেকশনটি স্ট্রোকের রোগীদের সাড়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে দিতে হয়। আর হৃদরোগীদের দেওয়া যায় আক্রান্তের সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। তাঁর যুক্তিতে রাজি হন গর্ডন উইলকক।
নিয়মানুযায়ী দাতাসংস্থাটির ডিরেক্ট রিলিফ ও রামেক হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি হয়। প্রক্রিয়া শেষে চলতি আগস্টের ২০ তারিখ ঢাকায় আসে ওষুধ। ডিরেক্ট রিলিফের তত্ত্বাবধানে ২৫ আগস্ট ফ্রোজেন ভ্যানে করে তা পৌঁছায় রাজশাহী।
তরুণ চিকিৎসক শীর্ষ শ্রেয়ানের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে, তবে বেড়ে ওঠা সাভারে। তাঁর বাবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে শীর্ষ ভর্তি হন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে। গত জুলাইয়ে এমবিবিএস সম্পন্ন করে এখন ইন্টার্নশিপ করছেন তিনি।
রামেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়সাল আলম বলেন, ‘শিক্ষকেরা অনেক সময় বিদেশ থেকে ফান্ড এনেছেন। কিন্তু আমার জানা মতে কোনো শিক্ষার্থী আগে পারেননি। শীর্ষ শ্রেয়ান সেটা করে দেখিয়েছে। এটা অভাবনীয়। আমি তাঁকে নিয়ে গর্বিত।’
শীর্ষ শ্রেয়ানের মেন্টর অধ্যাপক আজিজুল হক আযাদ বলেন, ‘আমরা রোগীদের জন্য থ্রম্বোলাইটিকের ব্যবস্থা করতে চেয়েছিলাম। দামি হওয়ায় অনেকেই এই ওষুধ কিনতে পারেন না। এখন তারা একেবারে বিনামূল্যে পাচ্ছেন। আমরা সত্যিই শীর্ষকে নিয়ে গর্বিত।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ জানান, বুধবার থেকেই ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৭০ ভায়াল ব্যবহার হয়েছে। এ কৃতিত্বের জন্য তিনি শীর্ষ শ্রেয়াণকে ধন্যবাদ জানান।
হৃদরোগী ও স্ট্রোকে আক্রান্তদের দ্রুত রামেক হাসপাতালে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ শ্রেয়ান। তিনি বলেন, ‘যদি কারও হাত-পা অবশ হয়ে যায়, মুখ বেঁকে যায়, চোখের পাতা পড়ে যায় বা কথা অস্পষ্ট হয়ে যায়, তবে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে। সময় মতো এলেই থ্রম্বোলাইটিক ওষুধ কাজে দেবে।’
দাবি আদায় না হলে বিসিএস প্রকৌশলীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিএসসি ও ডিপ্লোমাধারীদের দাবিগুলো পর্যালোচনার জন্য ১৪ সদস্যের একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়া আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএসসি প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা এটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
১ ঘণ্টা আগেদেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কার্যকর রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে।
৩ ঘণ্টা আগেসাত মাস ব্যথার চিকিৎসা করতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এই ঘটনায় ফেনীর সিভিল সার্জন ও ফেনী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের প্রকৌশল খাতে দীর্ঘদিনের পুরোনো দ্বন্দ্ব—ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ার—আবার নতুন করে উত্তপ্ত রূপ নিয়েছে। প্রমোশন, পদমর্যাদা ও ‘প্রকৌশলী’ উপাধি ব্যবহারের প্রশ্নে দুই পক্ষের বিরোধ এখন দেশজুড়ে আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে