স্ট্রিম প্রতিবেদক
রাজধানীর আদাবর-১০-এ চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘বেলচা মনির’সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন–বেলচা মনির (২৬), রাকিব হাওলাদার ওরফে ছোট রাকিব (২২), মো. গোলাম রব্বানি সাহস (২৩), মনির হোসেন ওরফে গুজা মনির (৩০) ও মো. আকাশ খাঁ (২২)।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি’র জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে রিপন ওরফে নিপুকে তার নিজ বাড়িতে মনির ও তার গ্রুপের সদস্যরা সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিপন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আরজু বেগম গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলার ছায়া তদন্তকালে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের গোয়েন্দারা খুনের ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করেন। পরে আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি সামুরাই, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি টি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খান স্ট্রিমকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার বেলচা মনিরের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। বর্তমানে আদাবর-১০, শ্যামলী, ও শেখেরটেক এলাকার সক্রিয় পেশাদার সন্ত্রাসীদের বস সে। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনের সব মাদকের স্পট। সে একাধিক ছিনতাইকারী চক্র নিয়ন্ত্রণ করে, যারা অন্ধকার ঘনিয়ে আসলেই ধারালো চাপাতি ও সামুরাই নিয়ে ওত পেতে থাকে। শুধু তাই নয়, এই বেলচা মনিরের নিয়ন্ত্রণে আছে একটি কিশোর গ্যাং।‘
ডিসি মোহাম্মদ রাকিব খান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি কবজি কাটা আনোয়ার ও টুণ্ডা বাবু গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই এলাকার অপরাধ জগতের পুরো নিয়ন্ত্রণভার বেলচা মনিরের হাতে চলে আসে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ৫টি মামলা আছে।‘
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, বেলচা মনিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করেন ‘কুমির রুবেল’। নামের আগে কুমির ব্যবহারের কারণ অজানা থাকলেও তার অধীনে থাকা সব সন্ত্রাসীর তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। এদের মধ্যে ফর্সা জামাল, ছোট বাবু, বড় বাবু ওরফে জীবন, জাহিদ ও বড় রাকিবকে খুঁজছেন তারা। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫/৬টি করে মামলা আছে। এরা সন্ধ্যার পর থেকে ভোর অবধি ধারালো চাপাতি ও সামুরাই নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে থাকে। আদাবর, শ্যামলী ও শেখেরটেকের সব মাদক স্পট থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলে।
এছাড়া অপরিচিত কোনো নারী-পুরুষ বা যুগল ওই এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। এলাকায় কোনো নতুন নির্মাণকাজ শুরু হলে তাদের চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় কাজ বন্ধ থাকে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোর কোনো নেতাকর্মীর খোঁজ পেলে তারা কিশোর গ্যাং দিয়ে মব সৃষ্টির মাধ্যমে চাঁদাবাজিও করে থাকে।
রাজধানীর আদাবর-১০-এ চাঞ্চল্যকর রিপন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ‘বেলচা মনির’সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন–বেলচা মনির (২৬), রাকিব হাওলাদার ওরফে ছোট রাকিব (২২), মো. গোলাম রব্বানি সাহস (২৩), মনির হোসেন ওরফে গুজা মনির (৩০) ও মো. আকাশ খাঁ (২২)।
আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি’র জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ ভোর ৪টার দিকে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে রিপন ওরফে নিপুকে তার নিজ বাড়িতে মনির ও তার গ্রুপের সদস্যরা সামুরাই দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিপন। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আরজু বেগম গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলার ছায়া তদন্তকালে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের গোয়েন্দারা খুনের ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করেন। পরে আজ ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি সামুরাই, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি টি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রাকিব খান স্ট্রিমকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার বেলচা মনিরের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। বর্তমানে আদাবর-১০, শ্যামলী, ও শেখেরটেক এলাকার সক্রিয় পেশাদার সন্ত্রাসীদের বস সে। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনের সব মাদকের স্পট। সে একাধিক ছিনতাইকারী চক্র নিয়ন্ত্রণ করে, যারা অন্ধকার ঘনিয়ে আসলেই ধারালো চাপাতি ও সামুরাই নিয়ে ওত পেতে থাকে। শুধু তাই নয়, এই বেলচা মনিরের নিয়ন্ত্রণে আছে একটি কিশোর গ্যাং।‘
ডিসি মোহাম্মদ রাকিব খান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি কবজি কাটা আনোয়ার ও টুণ্ডা বাবু গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই এলাকার অপরাধ জগতের পুরো নিয়ন্ত্রণভার বেলচা মনিরের হাতে চলে আসে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ৫টি মামলা আছে।‘
ডিবির এই কর্মকর্তা আরও জানান, বেলচা মনিরের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করেন ‘কুমির রুবেল’। নামের আগে কুমির ব্যবহারের কারণ অজানা থাকলেও তার অধীনে থাকা সব সন্ত্রাসীর তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দারা। এদের মধ্যে ফর্সা জামাল, ছোট বাবু, বড় বাবু ওরফে জীবন, জাহিদ ও বড় রাকিবকে খুঁজছেন তারা। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫/৬টি করে মামলা আছে। এরা সন্ধ্যার পর থেকে ভোর অবধি ধারালো চাপাতি ও সামুরাই নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করে থাকে। আদাবর, শ্যামলী ও শেখেরটেকের সব মাদক স্পট থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলে।
এছাড়া অপরিচিত কোনো নারী-পুরুষ বা যুগল ওই এলাকায় প্রবেশ করলে তাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে থাকে। এলাকায় কোনো নতুন নির্মাণকাজ শুরু হলে তাদের চাঁদা দিতে হয়। অন্যথায় কাজ বন্ধ থাকে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনগুলোর কোনো নেতাকর্মীর খোঁজ পেলে তারা কিশোর গ্যাং দিয়ে মব সৃষ্টির মাধ্যমে চাঁদাবাজিও করে থাকে।
এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু আর এখন কেবল মৌসুমি বা শহুরে কোনো রোগ নয়। এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রায় সব মৌসুমেই মানুষের জীবনে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
১ ঘণ্টা আগেবিশ্বব্যাপী রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মনোযোগ যখন কমে আসছে, তখন এই বিষয়টিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক, কূটনীতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
২ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও সভা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ২৯টি মামলার আসামি মো. বশির ওরফে কামরুল হাসান ওরফে জুয়েল (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
৩ ঘণ্টা আগে