leadT1ad

সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যাকাণ্ড

প্রধান আসামি সাবেক এসআই আকবর জামিনে মুক্ত, জানে না বাদি পক্ষ

২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হান উদ্দিনকে। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশ জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

স্ট্রিম সংবাদদাতাসিলেট
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ২৭
প্রধান আসামি সাবেক এসআই আকবর জামিনে মুক্ত, জানে না বাদি পক্ষ। স্ট্রিম ছবি

সিলেটে গভীর রাতে তুলে নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হন রায়হান উদ্দিন। আলোচিত এই ঘটনায় করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ, বর্তমানে বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে মামলার প্রধান আসামির মুক্তির খবরই জানেন না নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম।

হাইকোর্ট থেকে জামিনের আদেশ পেয়ে রবিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যার পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে যান পুলিশের বরখাস্ত এসআই আকবর। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ রবিবার আমাদের কাছে পৌঁছায়। সব কিছু যাচাই-বাছাই ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যার পরই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়।’

এদিকে রাহয়ান হত্যা মামলার প্রধান আসামি মুক্তির খবরই জানেন না নিহতের মা সালমা বেগম। তিনি বলেন, ‘হারুন ও টিটু জামিন পেয়েছে। তারা যেন বিচার শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের বাইরে যেতে না পারে। এত বড় ঘটনার সব কিছুর প্রমাণ থাকার পরও আকবর কীভাবে জামিন পায়? এতে আমি এতে সন্তুষ্ট নই। আমি কোর্টে যাচ্ছি, আমার উকিলের সঙ্গে কথা বলতে, পরে এ ব্যাপারে কথা বলব।’

সিলেট কারাগার সূত্র জানা গেছে, বরখাস্ত এসআই আকবর প্রথমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ চালু হলে ২৫ মার্চ তাঁকে সেখানে স্থানান্তর করা হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন আকবর।

এর আগে ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় রায়হান উদ্দিনকে। পরদিন সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দেশ জুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।

এদিকে মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতাও পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আকবরকে। ওই মামলার ২০২১ সালের ৫ মে আদালতে পিবিআইর দেওয়া অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।

Ad 300x250

নতুন ভোটার তালিকায় আছেন মৃতরাও, বাদ মুসলিমরা

খসড়া প্রস্তুত থাকলেও ঘোষণাপত্র দেওয়া হয়নি, দ্যাট ওয়াজ মিসফরচুন

গণ-অভ্যুত্থানের ভ্রাম্যমান আলোকচিত্র প্রদর্শনী

সেই ছাত্রীর পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, মায়ের অসুস্থতা নিয়ে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর খবর

সরকারি জমি বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ: শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সম্পর্কিত