বাবর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ও বৈধ উৎসহীন আয়ের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমনকি স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন বাবর।
স্ট্রিম প্রতিবেদক
কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা চট্টগ্রামের হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রামের দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা করা হয়।
সংস্থাটির অনুসন্ধানে বাবর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ও বৈধ উৎসহীন আয়ের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমনকি স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন বাবর।
মামলার অভিযোগপত্রে দুদক বলছে, বাবর ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই সম্পদ বিবরণী দেওয়ার সময় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। একই সঙ্গে বৈধ আয়ের উৎস প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয় এ মামলা করার অনুমোদন দেয়। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হয়েছেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হামেদ রেজা।
মামলার এজাহারে দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-৫) মো. নওশাদ আলী উল্লেখ করেন, যুবলীগ নেতা বাবর ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকে নিজের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। প্রথমে এর দায়িত্বে ছিলেন দুদকের উপপরিচালক শাওন মিঞা। পরে বদলির কারণে এই দায়িত্ব পান নওশাদ আলী। তিনি প্রায় আড়াই বছর অনুসন্ধান চালিয়ে ২০২৫ সালের ১ জুন প্রতিবেদন জমা দেন।
২০২২ সালে দেওয়া বাবরের সম্পদ বিবরণীতে মোট ১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ দেখান। তবে দুদকের যাচাইয়ে তাঁর প্রকৃত সম্পদ পাওয়া যায় ২ কোটি ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা। তিনি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
বাবরের আয়কর নথি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬২ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বৈধ কোনো উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।
এর আগে তিনি ২০১২-১৩ করবর্ষে আয় দেখিয়েছেন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, যার প্রমাণও দিতে পারেননি। এ ছাড়া ২০১৪-১৫, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ করবর্ষে মোট ২৮ লাখ টাকার আয় দেখালেও এর বৈধ কোনো উৎস অপ্রমাণিতই থেকে গেছে। ২০২০-২১ করবর্ষে দেখানো আয়ের ২০ লাখ টাকারও কোনো প্রমাণ নেই। সব মিলিয়ে বৈধ আয়ের বাইরে বাবরের অবৈধ সম্পদ দাঁড়ায় ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬০ টাকা।
বাবরের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ২০২২ সালের ১৪ মার্চ দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। সেখানে তিনি মোট সম্পদ দেখান ২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাঁর প্রকৃত সম্পদ ২ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা। তিনি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।
জেসমিনের আয়কর নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনি মোট আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বৈধ কোনো উৎস তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। একইভাবে ২০২০-২১ করবর্ষে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার আয় দেখালেও এর উৎস নেই।
এদিকে ২০২১-২২ করবর্ষে স্বামী বাবরের কাছ থেকে পাওয়া ৫৪ লাখ টাকা উপহার পাওয়া কথা বলা হলেও তার কোনো বৈধ প্রমাণ দিতে পারেননি জেসমিন। একই করবর্ষে আরও ৫৮ লাখ টাকার আয়ের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। এতে তাঁর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮০ টাকা।
দুদক বলছে, বাবর দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ধারা (সম্পদ গোপন) ও ২৭(১) ধারা (জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন) অনুযায়ী অপরাধ করেছেন। একইভাবে ওই দুই ধারায় অপরাধ করেছেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার। অন্যদিকে স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করায় বাবর দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
যুবলীগ নেতা বাবর গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে গেছেন। একই সময় থেকে তাঁর স্ত্রী জেসমিনও আত্মগোপনে আছেন। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দুদক কর্মকর্তা মুহাম্মদ হামেদ রেজা বলেন, বাবর ও তাঁর স্ত্রীর দেওয়া সম্পদ বিবরণী, আয়কর নথি ও পারিবারিক ব্যয় বিশ্লেষণে গুরুতর অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে ও কমিশনের অনুমোদন নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত শিগগিরই শুরু হবে। দুদক মনে করছে, সম্পদ গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা চট্টগ্রামের হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২০ আগস্ট) চট্টগ্রামের দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলা করা হয়।
সংস্থাটির অনুসন্ধানে বাবর ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ও বৈধ উৎসহীন আয়ের তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। এমনকি স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন বাবর।
মামলার অভিযোগপত্রে দুদক বলছে, বাবর ও তাঁর স্ত্রী দুজনেই সম্পদ বিবরণী দেওয়ার সময় কোটি কোটি টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। একই সঙ্গে বৈধ আয়ের উৎস প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয় এ মামলা করার অনুমোদন দেয়। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হয়েছেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হামেদ রেজা।
মামলার এজাহারে দুদকের সহকারী পরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত-৫) মো. নওশাদ আলী উল্লেখ করেন, যুবলীগ নেতা বাবর ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দুদকে নিজের সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। প্রথমে এর দায়িত্বে ছিলেন দুদকের উপপরিচালক শাওন মিঞা। পরে বদলির কারণে এই দায়িত্ব পান নওশাদ আলী। তিনি প্রায় আড়াই বছর অনুসন্ধান চালিয়ে ২০২৫ সালের ১ জুন প্রতিবেদন জমা দেন।
২০২২ সালে দেওয়া বাবরের সম্পদ বিবরণীতে মোট ১ কোটি ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ২৪০ টাকার সম্পদ দেখান। তবে দুদকের যাচাইয়ে তাঁর প্রকৃত সম্পদ পাওয়া যায় ২ কোটি ৮ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা। তিনি ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৯০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।
বাবরের আয়কর নথি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৬২ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বৈধ কোনো উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।
এর আগে তিনি ২০১২-১৩ করবর্ষে আয় দেখিয়েছেন ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, যার প্রমাণও দিতে পারেননি। এ ছাড়া ২০১৪-১৫, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ করবর্ষে মোট ২৮ লাখ টাকার আয় দেখালেও এর বৈধ কোনো উৎস অপ্রমাণিতই থেকে গেছে। ২০২০-২১ করবর্ষে দেখানো আয়ের ২০ লাখ টাকারও কোনো প্রমাণ নেই। সব মিলিয়ে বৈধ আয়ের বাইরে বাবরের অবৈধ সম্পদ দাঁড়ায় ৮৮ লাখ ৮৭ হাজার ৩৬০ টাকা।
বাবরের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ২০২২ সালের ১৪ মার্চ দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। সেখানে তিনি মোট সম্পদ দেখান ২ কোটি ৩৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাঁর প্রকৃত সম্পদ ২ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা। তিনি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।
জেসমিনের আয়কর নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনি মোট আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বৈধ কোনো উৎস তিনি প্রমাণ করতে পারেননি। একইভাবে ২০২০-২১ করবর্ষে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার আয় দেখালেও এর উৎস নেই।
এদিকে ২০২১-২২ করবর্ষে স্বামী বাবরের কাছ থেকে পাওয়া ৫৪ লাখ টাকা উপহার পাওয়া কথা বলা হলেও তার কোনো বৈধ প্রমাণ দিতে পারেননি জেসমিন। একই করবর্ষে আরও ৫৮ লাখ টাকার আয়ের উৎস দেখাতে ব্যর্থ হন তিনি। এতে তাঁর অবৈধ সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৩ লাখ ৯ হাজার ৮৮০ টাকা।
দুদক বলছে, বাবর দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৬(২) ধারা (সম্পদ গোপন) ও ২৭(১) ধারা (জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন) অনুযায়ী অপরাধ করেছেন। একইভাবে ওই দুই ধারায় অপরাধ করেছেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার। অন্যদিকে স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করায় বাবর দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন।
যুবলীগ নেতা বাবর গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিদেশে পালিয়ে গেছেন। একই সময় থেকে তাঁর স্ত্রী জেসমিনও আত্মগোপনে আছেন। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
দুদক কর্মকর্তা মুহাম্মদ হামেদ রেজা বলেন, বাবর ও তাঁর স্ত্রীর দেওয়া সম্পদ বিবরণী, আয়কর নথি ও পারিবারিক ব্যয় বিশ্লেষণে গুরুতর অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে ও কমিশনের অনুমোদন নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়–১ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্ত শিগগিরই শুরু হবে। দুদক মনে করছে, সম্পদ গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের এসব অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে প্রতিবেশী ভারতকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তিন দিন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
২ ঘণ্টা আগে‘জুলাই নিজের কাছে ব্যর্থ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। তিনি বলেছেন, ‘জুলাইয়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নানাভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এজন্য যার অংশীদারত্ব বেশি তাকে দায় বেশি নিতে হবে।’
২ ঘণ্টা আগেছয় বছর পর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই নির্বাচন ‘প্রতিযোগিতামূলক ও স্বচ্ছ’ হবে বলে প্রত্যাশা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের।
৩ ঘণ্টা আগে