যানবাহনের গতি নিয়ে জরিপ
স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা শহরে ৫১ শতাংশ মোটরসাইকেল নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে। আর ঢাকা উত্তরের লোকাল ও কালেকটর রোডে ২৪ শতাংশ যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করে চলাচল করছে। ঢাকার সড়ক ব্যবহারে আচরণগত ঝুঁকি পর্যবেক্ষণে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলন কক্ষে এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন। বৈশ্বিক সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট (জেএইচ-আইআইআরইউ), সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) যৌথ উদ্যোগে ‘স্ট্যাটাস সামারি রিপোর্ট ২০২৪’ শিরোনামে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এসময় তথ্য সংগ্রহের স্থান নির্বাচন, তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসহ পুরো জরিপ প্রক্রিয়ার বিবরণ দেন সিআইপিআরবির পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী। জেএইচ-আইআইআরইউর পক্ষে ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া জরিপের প্রতিবেদনের ফল উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সুপারিশকৃত ঘণ্টায় ৩০ কিমি গতি বিবেচনায় তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা উত্তরের লোকাল ও কালেকটর রোডে ২৪ শতাংশ যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করছে। এ ছাড়া, বিআরটিএর ২০২৪ সালে জারিকৃত মোটরযানের গতিসীমা–সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব ধরনের যানবাহন ও রাস্তা বিবেচনায় ২৩ শতাংশ যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে।’
‘যানবাহনের ধরন অনুযায়ী হিসেবে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ মোটরসাইকেল নির্ধারিত গতিসীমার চাইতে বেশি গতিতে চলে। লোকাল এবং কালেকটরেট রাস্তায় নির্ধারিত গতিসীমার তুলনায় ২৯ শতাংশ যানবাহন বেশি গতিতে চলে। এ ছাড়া কর্মদিবসের তুলনায় ছুটির দিনে গতিসীমা অতিক্রম করার হার কিছুটা বেশি (কর্মদিবসে ২২ শতাংশ, ছুটির দিনে ২৬ শতাংশ),’–বলেন তিনি।
সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের মে মাসে মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা প্রকাশ করে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ের জন্য যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টায় ৮০ কিমি এবং শহরের সড়কে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি নির্ধারণ করা হয়। এতে সড়ক ও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে যৌক্তিক গতিসীমা নির্ধারণের কর্তৃত্ব দেওয়া হয় এবং হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ধরন অনুযায়ী স্পিড লিমিট সাইন স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।’
অনুষ্ঠানের অতিথি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেগুলো যথাযথ ব্যবহার করতে পারছি না। সব সড়ক ব্যবহারকারীকে সচেতন করা ও সড়ক ব্যবহারে আইন অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সড়কে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এমন অকালমৃত্যু একটিও চাই না। সবার চেষ্টায় আমরা সড়ক নিরাপত্তায় অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।’
আলোচনায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সিনিয়র রোড সেফটি স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান গতি নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় জোরদার করা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের এডিসি (ট্রাফিক) জিয়াউর রহমান গতিসীমা ও আইন লঙ্ঘন চিহ্নিত করার জন্য সড়কে ক্যামেরার ব্যবহার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. কুলসুম আরা বছরভিত্তিক তথ্য পৃথকভাবে উপস্থাপনের পরামর্শ তুলে ধরেন।
এতে ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ সমন্বয়কারী ড. শরিফুল আলম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যু ও দীর্ঘমেয়াদি পঙ্গুত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩ অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সংখ্যা বা হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে প্রতি ১০ হাজার জনে মারা যেতেন ১৫ দশমিক ৩ জন, ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ জন।
ঢাকা শহরে ৫১ শতাংশ মোটরসাইকেল নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে। আর ঢাকা উত্তরের লোকাল ও কালেকটর রোডে ২৪ শতাংশ যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করে চলাচল করছে। ঢাকার সড়ক ব্যবহারে আচরণগত ঝুঁকি পর্যবেক্ষণে পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্মেলন কক্ষে এই জরিপের ফল তুলে ধরা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন। বৈশ্বিক সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় জনস হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট (জেএইচ-আইআইআরইউ), সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) যৌথ উদ্যোগে ‘স্ট্যাটাস সামারি রিপোর্ট ২০২৪’ শিরোনামে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়।
এসময় তথ্য সংগ্রহের স্থান নির্বাচন, তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতিসহ পুরো জরিপ প্রক্রিয়ার বিবরণ দেন সিআইপিআরবির পরিচালক ড. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী। জেএইচ-আইআইআরইউর পক্ষে ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া জরিপের প্রতিবেদনের ফল উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক সুপারিশকৃত ঘণ্টায় ৩০ কিমি গতি বিবেচনায় তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা উত্তরের লোকাল ও কালেকটর রোডে ২৪ শতাংশ যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করছে। এ ছাড়া, বিআরটিএর ২০২৪ সালে জারিকৃত মোটরযানের গতিসীমা–সংক্রান্ত নির্দেশিকা অনুযায়ী বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব ধরনের যানবাহন ও রাস্তা বিবেচনায় ২৩ শতাংশ যানবাহন নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলে।’
‘যানবাহনের ধরন অনুযায়ী হিসেবে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ মোটরসাইকেল নির্ধারিত গতিসীমার চাইতে বেশি গতিতে চলে। লোকাল এবং কালেকটরেট রাস্তায় নির্ধারিত গতিসীমার তুলনায় ২৯ শতাংশ যানবাহন বেশি গতিতে চলে। এ ছাড়া কর্মদিবসের তুলনায় ছুটির দিনে গতিসীমা অতিক্রম করার হার কিছুটা বেশি (কর্মদিবসে ২২ শতাংশ, ছুটির দিনে ২৬ শতাংশ),’–বলেন তিনি।
সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ২০২৪ সালের মে মাসে মোটরযানের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা প্রকাশ করে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ের জন্য যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা হয় ঘণ্টায় ৮০ কিমি এবং শহরের সড়কে সর্বোচ্চ ৪০ কিমি নির্ধারণ করা হয়। এতে সড়ক ও যানবাহনের ধরন অনুযায়ী যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে যৌক্তিক গতিসীমা নির্ধারণের কর্তৃত্ব দেওয়া হয় এবং হাইওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের ধরন অনুযায়ী স্পিড লিমিট সাইন স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।’
অনুষ্ঠানের অতিথি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেগুলো যথাযথ ব্যবহার করতে পারছি না। সব সড়ক ব্যবহারকারীকে সচেতন করা ও সড়ক ব্যবহারে আইন অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ‘প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার সড়কে ২৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমরা এমন অকালমৃত্যু একটিও চাই না। সবার চেষ্টায় আমরা সড়ক নিরাপত্তায় অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারব।’
আলোচনায় ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সিনিয়র রোড সেফটি স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান গতি নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় জোরদার করা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের এডিসি (ট্রাফিক) জিয়াউর রহমান গতিসীমা ও আইন লঙ্ঘন চিহ্নিত করার জন্য সড়কে ক্যামেরার ব্যবহার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. কুলসুম আরা বছরভিত্তিক তথ্য পৃথকভাবে উপস্থাপনের পরামর্শ তুলে ধরেন।
এতে ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ সমন্বয়কারী ড. শরিফুল আলম, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজর আমিনুল ইসলাম সুজনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্বজুড়ে মানুষের মৃত্যু ও দীর্ঘমেয়াদি পঙ্গুত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অন রোড সেফটি ২০২৩ অনুযায়ী, সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশে ২০২১ সালে ৩১ হাজার ৫৭৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ সংখ্যা বা হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে প্রতি ১০ হাজার জনে মারা যেতেন ১৫ দশমিক ৩ জন, ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ জন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘সৌদি আরব বাংলাদেশি জনগণের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শুধু ইসলাম ধর্মের পবিত্র ভূমি হিসেবে নয়, বরং আমাদের ৩২ লাখেরও বেশি প্রবাসী কর্মীর দ্বিতীয় আবাসস্থল হিসেবেও এটি বাংলাদেশিদের হৃদয়ের গভীরে আসীন রয়েছে।’
১ ঘণ্টা আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিনিয়রদের র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৫৪ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।
১ ঘণ্টা আগেদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৮ জন।
২ ঘণ্টা আগেসারাদেশে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠা করতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাণিজ্যিক বিরোধগুলো দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিষ্পত্তির মাধ্যমে বিনিয়োগ পরিবেশকে গতিশীল ও স্বচ্ছ করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে