leadT1ad

চার দফা দাবিতে পলিট্যাকনিক শিক্ষার্থীদের সাতরাস্তা মোড় অবরোধ

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন কয়েকটি পলিট্যাকনিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা

চার দফা দাবিতে রাজধানীর সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করেছেন কয়েকটি পলিট্যাকনিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী, তেঁজগাও, হাতিরঝিল, মগবাজার ও কাওরান বাজারসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।

আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাতরাস্তা মোড় অবরোধ করা হয়। এতে অংশ নিয়েছে ঢাকা পলিট্যাকনিক ইনস্টিটিউট, মহিলা পলিট্যাকনিক ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক্স ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল পলিট্যাকনিক ইনস্টিটিউসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গণপরিবহন আটক পড়ে। স্ট্রিম ছবি
সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গণপরিবহন আটক পড়ে। স্ট্রিম ছবি

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা পলিট্যাকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী সজিব উদ্দিন স্ট্রিমকে বলেন, ‘আমরা মূলত চারদফা দাবিতে এখানে একত্রিত হয়েছি। তারমধ্যে প্রধান হলো আমাদের হত্যার হুমকি দেওয়া বুয়েট শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার এবং শান্তি বাস্তবায়ন।’

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো—

১. প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন কর্তৃক ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি প্রদানকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

২. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের অযৌক্তিক তিন দফা দাবির পক্ষে পরিচালিত সব কার্যক্রম রাষ্ট্র কর্তৃক অবিলম্বে বন্ধ করা।

৩. কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের উত্থাপিত যৌক্তিক ছয় দফা দাবির রূপরেখা ও সুপারিশ অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা

৪. ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ান-চ্যানেল এডুকেশন চালু করা।

এদিকে, এই অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। তাঁরা বলছেন, দাবি আদায়ের নামে দুদিন পর রাস্তা বন্ধ করায় তাঁরা একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন।

সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ। স্ট্রিম ছবি
সাতরাস্তা মোড়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ। স্ট্রিম ছবি

উত্তরা থেকে গুলিস্তান যাবেন মোহাম্মদ মেহেহী। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘জরুরি কাজে আমি গুলিস্তান যাচ্ছিলাম। কিন্তু এখানে এসে দেখি রাস্তা বন্ধ। কে কখন কোথায় রাস্তা বন্ধ করে দেয়, তাঁর কোনো ঠিক নেই। নিজেকে জিম্মি মনে হয়।’

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান স্ট্রিমকে বলেন, ‘রাস্তা অবরোধের পর রোড ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ আমাদের হেল্প করছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। তাঁরা কথা দিয়েছেন, দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে তাঁরা রাস্তা ছেড়ে দেবেন।’

সংবাদ সম্মেলন করে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হলেও শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছাড়েননি। সংবাদ সম্মেলন শেষ করে অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত