leadT1ad

চট্টগ্রামের গরুর হাট: ড্রোন-সিসিটিভিতে নজরদারি, ছিনতাই ঠেকাতে মাঠে র‍্যাব-পুলিশ

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৫, ০৩: ০১

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের অস্থায়ী পশুর হাটগুলোতে শুরু হয়েছে জমজমাট প্রস্তুতি। তবে শুধু বেচাকেনা নয়, বরাবরের মতোই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বাস্তবতায় এবার চট্টগ্রাম নগরজুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বহুস্তর নিরাপত্তা বলয়। র‍্যাব, পুলিশ, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ‘নজরদারির ছায়া’ ফেলতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঁচ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।

সিএমপি সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের হাটগুলোকে কেন্দ্র করে ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি হাটে থাকবে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, নজরদারি ওয়াচ টাওয়ার, এবং ভেতরে-বাইরে মোতায়েন থাকবে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্য।

সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম বলেন, এবারের নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জাল টাকা প্রতিরোধ, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি ও পশুবাহী ট্রাক ডাকাতি প্রতিরোধে। প্রতিটি হাট এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন এবং ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তার স্বার্থে সম্প্রতি পুলিশের একটি অভ্যন্তরীণ মিটিং হয়েছে। সেখানে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই মিটিংয়ে আলোচনা হয় গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও র‍্যাব যৌথভাবে মাঠে থাকবে ছদ্মবেশে। যারা জামিনে বের হওয়া ছিনতাইকারী বা চিহ্নিত অপরাধী, তাদের চলাফেরা নজরে রাখা হচ্ছে।

বিশেষ নজর দেওয়া হবে হাটে আগত মানুষের ব্যাগ, মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাই প্রতিরোধে। নগরের প্রবেশপথ, টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট এবং পশুবাহী গাড়ির চলাচলপথেও আলাদা নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও বাজারে জাল টাকা ছড়ানোর প্রবণতা ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেনিংপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা মাঠে থাকবেন। হাটে টাকার যাচাই মেশিন রাখা হবে। তাছাড়া, ভ্রাম্যমাণ আদালতও হাটে থাকছে, যাতে অনিয়ম বা প্রতারণা দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

র‍্যাবের স্মার্ট পেট্রোলিং ও ক্যাম্প

র‍্যাব-৭ কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে হাইওয়েতে বাড়তি নজর দেবেন তারা। বড় হাটগুলোর আশপাশে অস্থায়ী র‍্যাব ক্যাম্প ও চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি, র‍্যাবের স্মার্ট টিম মোবাইলে প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাবে।

হাট এলাকায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ইউনিটও। হাটে কোনোভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা অন্যান্য দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে টিম। আগুন লাগার মতো পরিস্থিতি এড়াতে ইজারাদারদেরও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত