নেতৃত্বের দিক থেকে দুই আন্দোলন সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। বাংলাদেশের আন্দোলন পরিচালিত হয় সুসংগঠিত ছাত্রনেতৃত্বের মাধ্যমে, যারা কৌশলগতভাবে প্রতিটি কর্মসূচি পরিচালনা করে। স্লোগান, ভাষণ, মিছিল—সবকিছুতেই ছিল শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ।
স্ট্রিম ডেস্ক

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু যেন এক উত্তাল অগ্নিগর্ভ নগরী হয়ে উঠেছে। সেপ্টেম্বরের সূচনালগ্নে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শুরু হওয়া তরুণদের আন্দোলন মুহূর্তেই সহিংস গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, রাষ্ট্রীয় ভবনে আগুন, রাজনীতিকদের ওপর শারীরিক হামলা—সব মিলিয়ে নেপাল যেন পড়ে গেছে গভীর এক অনিশ্চয়তার মুখে।
এই চিত্র আমাদের অদূর অতীতের বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দেয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার রাজপথে নেমে আসা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক যুগান্তকারী রাজনৈতিক চাপ তৈরি করেছিল। কিন্তু দুই দেশের এই আন্দোলন যতটা কাছাকাছি মনে হয় দেখলে, বিশ্লেষণে ততটাই দূরের। কারণ, মিলের চেয়ে অমিলই এখানে বেশি।

ক্ষোভের উৎস: নেপাল বনাম বাংলাদেশ
নেপালে আন্দোলনের সূচনা হয় মাত্র একদিনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে। যদিও এটি সাময়িক ছিল, তরুণ প্রজন্ম—বিশেষ করে ‘জেনারেশন জি’ (১৯৯৭-২০১২ সালে জন্ম নেওয়া)—তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে এটি দেখেছিল। আর সরকারের প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল গুলি চালানো। নিহত হন অন্তত ১৯ জন, আহত হন কয়েক শতাধিক। এই বর্বরতার পরেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।
অপরদিকে, বাংলাদেশের আন্দোলনের সূচনা হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে। এটি একটি দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ইস্যু, যার পেছনে ছিল ধৈর্য্য এবং পরিকল্পনা। পরে এই আন্দোলন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিস্তৃত হয়। শুরু থেকেই এই আন্দোলনের ভিত্তি ছিল সুসংগঠিত ও সাংগঠনিক।
নেতৃত্ব, প্রতিক্রিয়া ও রাষ্ট্রচিন্তার ব্যবধান
নেতৃত্বের দিক থেকে দুই আন্দোলন সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। বাংলাদেশের আন্দোলন পরিচালিত হয় সুসংগঠিত ছাত্রনেতৃত্বের মাধ্যমে, যারা কৌশলগতভাবে প্রতিটি কর্মসূচি পরিচালনা করে। স্লোগান, ভাষণ, মিছিল—সবকিছুতেই ছিল শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ।
নেপালের আন্দোলন ছিল আত্মবিস্ফোরণধর্মী। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন বা নেতৃত্ব না থাকায় বিক্ষোভ খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আবেগঘন আহ্বানে রাজপথে নামেন তরুণেরা, কিন্তু কে কোনদিকে এগিয়ে নিচ্ছে, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না।
নেপালে সরকার ছিল নির্বাচিত, কিন্তু দুর্নীতি, বিদেশি প্রভাব এবং অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগত অসন্তোষের কারণে সরকার সম্পর্কে জনগণের আস্থা ছিল নাজুক। আন্দোলনের শুরুতেই সরকার পুলিশের গুলির মাধ্যমে যে বার্তা দেয়, তা আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে।

বার্তা ও প্রতীক: দুই দেশের তরুণদের মনোভঙ্গি
বাংলাদেশের তরুণরা জানতেন, আন্দোলনের লক্ষ্য সরকারের পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। নেপালের তরুণরা, যাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে বেড়ে উঠেছে, তারা বলেন— আমরা এই সরকার চাই না।
বাংলাদেশের আন্দোলনে সরকারি স্থাপনা রক্ষিত থেকেছে। রাস্তায় ব্যানার থাকলেও পোড়ানো হয়নি সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট বা নেতার বাড়ি। নেপালে ঠিক তার উল্টো। অগ্নিসংযোগ হয় রাষ্ট্রের প্রতীকী ও বাস্তবিক অবকাঠামোয়। সংসদ, প্রেসিডেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, এমনকি সাবেক নেতাদের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। নেতাদের রক্তাক্ত ছবি ভাইরাল হয়, সেনা হেলিকপ্টারে পালিয়ে বাঁচে অনেক মন্ত্রী।
তুলনামূলক পাঠ: বাংলাদেশ বনাম নেপাল
দুই দেশের অভিজ্ঞতাকে পাশে রেখে তুলনা করলে কিছু স্পষ্ট ব্যবধান চোখে পড়ে। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের মতো রাষ্ট্রনৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। নেপালে শুরু হয় একটি সাময়িক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা থেকে—যা গভীর অবিশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত বিস্ফোরিত হয়। বাংলাদেশের আন্দোলনে সুসংগঠিত ছাত্র নেতৃত্ব ছিল। তারা মিছিল, ভাষণ ও কৌশলগত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়েছে। নেপালে আন্দোলন ছিল বিকেন্দ্রিক—ফলে তা সহজেই সহিংস হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশে সামরিক বাহিনী আত্মসংযম দেখিয়ে মধ্যস্ততার ভূমিকা নিয়েছে। নেপালে নির্বাচিত সরকার থাকা সত্ত্বেও প্রথম দিনেই গুলি চালিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া। নেপালে আগুন, ভাঙচুর ও শারীরিক হামলার মাধ্যমে এক ধরণের রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ঘটে। বাংলাদেশের আন্দোলন সরকার পতনের দিকে না গিয়েও নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটায়। নেপালে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেও অস্থিরতা অব্যাহত থাকে, কারণ রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশ্বাস হারিয়েছে জনগণ।
কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ—নিজেও জেনারেশন জি’র প্রতিনিধি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন— ‘প্রিয় জেন-জি, তোমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন সময় সংযম দেখানোর।’ তিনি সতর্ক করে দেন এই বলে যে, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয় মানে নিজেদের সম্পদের ক্ষয়।’
এই বোধ বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিল। তাঁরা জানতেন, ক্ষোভ প্রকাশ রাষ্ট্রধ্বংসের মাধ্যম নয়। তাই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও তারা রাষ্ট্র ও তার প্রতীকগুলোকে আঘাত করেনি।
কৌশলই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে
সবশেষে এই দুই প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতা আমাদের একটি গভীর শিক্ষাই দেয়—জনতার ক্ষোভকে যদি সময়মতো শ্রবণ না করা হয়, আর নেতৃত্ব যদি পরিণত ও সংগঠিত না হয়, তাহলে একটি প্রজন্মের স্বপ্ন ভেসে যেতে পারে সহিংসতার স্রোতে।
এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যে শিক্ষা—একটি আন্দোলন কেবল তার ন্যায্যতা দিয়ে নয়, তার কৌশল, শৃঙ্খলা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই ইতিহাসে জায়গা করে নেয়।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু যেন এক উত্তাল অগ্নিগর্ভ নগরী হয়ে উঠেছে। সেপ্টেম্বরের সূচনালগ্নে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে শুরু হওয়া তরুণদের আন্দোলন মুহূর্তেই সহিংস গণবিক্ষোভে রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ, রাষ্ট্রীয় ভবনে আগুন, রাজনীতিকদের ওপর শারীরিক হামলা—সব মিলিয়ে নেপাল যেন পড়ে গেছে গভীর এক অনিশ্চয়তার মুখে।
এই চিত্র আমাদের অদূর অতীতের বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দেয়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকার রাজপথে নেমে আসা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এক যুগান্তকারী রাজনৈতিক চাপ তৈরি করেছিল। কিন্তু দুই দেশের এই আন্দোলন যতটা কাছাকাছি মনে হয় দেখলে, বিশ্লেষণে ততটাই দূরের। কারণ, মিলের চেয়ে অমিলই এখানে বেশি।

ক্ষোভের উৎস: নেপাল বনাম বাংলাদেশ
নেপালে আন্দোলনের সূচনা হয় মাত্র একদিনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে। যদিও এটি সাময়িক ছিল, তরুণ প্রজন্ম—বিশেষ করে ‘জেনারেশন জি’ (১৯৯৭-২০১২ সালে জন্ম নেওয়া)—তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে এটি দেখেছিল। আর সরকারের প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল গুলি চালানো। নিহত হন অন্তত ১৯ জন, আহত হন কয়েক শতাধিক। এই বর্বরতার পরেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে।
অপরদিকে, বাংলাদেশের আন্দোলনের সূচনা হয় কোটা সংস্কারের দাবিতে। এটি একটি দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ইস্যু, যার পেছনে ছিল ধৈর্য্য এবং পরিকল্পনা। পরে এই আন্দোলন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিস্তৃত হয়। শুরু থেকেই এই আন্দোলনের ভিত্তি ছিল সুসংগঠিত ও সাংগঠনিক।
নেতৃত্ব, প্রতিক্রিয়া ও রাষ্ট্রচিন্তার ব্যবধান
নেতৃত্বের দিক থেকে দুই আন্দোলন সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। বাংলাদেশের আন্দোলন পরিচালিত হয় সুসংগঠিত ছাত্রনেতৃত্বের মাধ্যমে, যারা কৌশলগতভাবে প্রতিটি কর্মসূচি পরিচালনা করে। স্লোগান, ভাষণ, মিছিল—সবকিছুতেই ছিল শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ।
নেপালের আন্দোলন ছিল আত্মবিস্ফোরণধর্মী। কোনো নির্দিষ্ট সংগঠন বা নেতৃত্ব না থাকায় বিক্ষোভ খুব দ্রুতই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া আবেগঘন আহ্বানে রাজপথে নামেন তরুণেরা, কিন্তু কে কোনদিকে এগিয়ে নিচ্ছে, তা ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না।
নেপালে সরকার ছিল নির্বাচিত, কিন্তু দুর্নীতি, বিদেশি প্রভাব এবং অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগত অসন্তোষের কারণে সরকার সম্পর্কে জনগণের আস্থা ছিল নাজুক। আন্দোলনের শুরুতেই সরকার পুলিশের গুলির মাধ্যমে যে বার্তা দেয়, তা আগুনে ঘি ঢালার কাজ করে।

বার্তা ও প্রতীক: দুই দেশের তরুণদের মনোভঙ্গি
বাংলাদেশের তরুণরা জানতেন, আন্দোলনের লক্ষ্য সরকারের পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রকে অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। নেপালের তরুণরা, যাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ রাজনীতির দীর্ঘ অনিশ্চয়তার মধ্যে বেড়ে উঠেছে, তারা বলেন— আমরা এই সরকার চাই না।
বাংলাদেশের আন্দোলনে সরকারি স্থাপনা রক্ষিত থেকেছে। রাস্তায় ব্যানার থাকলেও পোড়ানো হয়নি সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট বা নেতার বাড়ি। নেপালে ঠিক তার উল্টো। অগ্নিসংযোগ হয় রাষ্ট্রের প্রতীকী ও বাস্তবিক অবকাঠামোয়। সংসদ, প্রেসিডেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, এমনকি সাবেক নেতাদের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। নেতাদের রক্তাক্ত ছবি ভাইরাল হয়, সেনা হেলিকপ্টারে পালিয়ে বাঁচে অনেক মন্ত্রী।
তুলনামূলক পাঠ: বাংলাদেশ বনাম নেপাল
দুই দেশের অভিজ্ঞতাকে পাশে রেখে তুলনা করলে কিছু স্পষ্ট ব্যবধান চোখে পড়ে। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের মতো রাষ্ট্রনৈতিক দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। নেপালে শুরু হয় একটি সাময়িক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষেধাজ্ঞা থেকে—যা গভীর অবিশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত বিস্ফোরিত হয়। বাংলাদেশের আন্দোলনে সুসংগঠিত ছাত্র নেতৃত্ব ছিল। তারা মিছিল, ভাষণ ও কৌশলগত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়েছে। নেপালে আন্দোলন ছিল বিকেন্দ্রিক—ফলে তা সহজেই সহিংস হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশে সামরিক বাহিনী আত্মসংযম দেখিয়ে মধ্যস্ততার ভূমিকা নিয়েছে। নেপালে নির্বাচিত সরকার থাকা সত্ত্বেও প্রথম দিনেই গুলি চালিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে ছিল শৃঙ্খলাবদ্ধ শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া। নেপালে আগুন, ভাঙচুর ও শারীরিক হামলার মাধ্যমে এক ধরণের রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ঘটে। বাংলাদেশের আন্দোলন সরকার পতনের দিকে না গিয়েও নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন ঘটায়। নেপালে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেও অস্থিরতা অব্যাহত থাকে, কারণ রাজনৈতিক কাঠামোতে বিশ্বাস হারিয়েছে জনগণ।
কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহ—নিজেও জেনারেশন জি’র প্রতিনিধি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন— ‘প্রিয় জেন-জি, তোমাদের দাবি পূরণ হয়েছে। এখন সময় সংযম দেখানোর।’ তিনি সতর্ক করে দেন এই বলে যে, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয় মানে নিজেদের সম্পদের ক্ষয়।’
এই বোধ বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিল। তাঁরা জানতেন, ক্ষোভ প্রকাশ রাষ্ট্রধ্বংসের মাধ্যম নয়। তাই রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও তারা রাষ্ট্র ও তার প্রতীকগুলোকে আঘাত করেনি।
কৌশলই ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে
সবশেষে এই দুই প্রতিবেশী দেশের অভিজ্ঞতা আমাদের একটি গভীর শিক্ষাই দেয়—জনতার ক্ষোভকে যদি সময়মতো শ্রবণ না করা হয়, আর নেতৃত্ব যদি পরিণত ও সংগঠিত না হয়, তাহলে একটি প্রজন্মের স্বপ্ন ভেসে যেতে পারে সহিংসতার স্রোতে।
এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ যে শিক্ষা—একটি আন্দোলন কেবল তার ন্যায্যতা দিয়ে নয়, তার কৌশল, শৃঙ্খলা ও দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই ইতিহাসে জায়গা করে নেয়।

জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
পর্যটকদের কাছে হিমালয় এবং কাঠমাণ্ডু আকর্ষণীয় স্থানের শীর্ষে। কিন্তু বন্যপ্রাণীতে ভরপুর, জাতীয় পার্ক এবং দৃষ্টিনন্দন অতিথিশালাসমৃদ্ধ নেপালের তেরাই নিম্নাঞ্চল সম্পর্কে পর্যটকরা খুব একটা জানে না।
৯ ঘণ্টা আগে
গত জানুয়ারিতে চীন জানায় যে তাদের পণ্য ও সেবাখাতে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে—যা বিশ্বে কোনো দেশের জন্য প্রথম অভিজ্ঞতা। কিন্তু ২০২৫ সালের প্রথম ১১ মাসে চীন সেই সীমাও অতিক্রম করেছে। সোমবার প্রকাশিত কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত চীনের মোট বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮
১১ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনের পতনের এক বছর পূর্ণ হলো আজ। গত বছর এই দিনে বাশার আল-আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় প্রায় ১৪ বছরের গৃহযুদ্ধেরও সমাপ্তি ঘটে। আহমদ আল-শারা (সাবেক আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি) নেতৃত্বাধীন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) অন্তর্বর্তী সরকার এখন দেশ পরিচালনা করছে।
১৪ ঘণ্টা আগে