স্ট্রিম ডেস্ক
বিশ্বের ব্যস্ততম কার্গো বিমানবন্দর হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ (কার্গো প্লেন) রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে গিয়ে পড়েেছে। এসময় বিমানবন্দরের দুজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
হংকং সরকার জানিয়েছে, এটি শহরের বর্তমান বিমানবন্দরে ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পর দ্বিতীয় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, তুরস্কের এসিটি এয়ারলাইনসের পরিচালিত এমিরেটসের কার্গো ফ্লাইট ইকে৯৭৮৮ অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে বেড়ার ভেতর দিয়ে পাশের সড়কে থাকা একটি টহল গাড়িকে ধাক্কা দেয়। গাড়িটি সাগরে পড়ে যায় এবং দুই নিরাপত্তাকর্মী (বয়স ৩০ ও ৪১) নিহত হন।
উড়োজাহাজটি দুই টুকরো হয়ে যায় এবং সাগরে আংশিকভাবে ডুবে যায়। ভেতরে থাকা চার ক্রু সদস্য দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসেন এবং দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তবে উড়োজাহাজটি কোনো পণ্য বহন করছিল না।
বিমানবন্দর অপারেশনসের নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ইউ জানান, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল এবং রানওয়ের অবস্থা নিরাপদ ছিল। তিনি বলেন, ‘প্লেনটি যে রাস্তায় গেছে, সেটি স্বাভাবিক পথ নয়। প্লেনটি সমুদ্রের দিকে ঘোরা উচিত ছিল না।’
ইউ আরও বলেন, টহল গাড়িটি রানওয়ের বেড়ার বাইরে ছিল এবং রানওয়ে অতিক্রম করেনি। এ ঘটনাকে ‘রানওয়ে অনুপ্রবেশ’ বলা যাবে না।
বিমানবন্দর ও উদ্ধার কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী রানওয়ে ০৭এল-এ আলোকিত সাইনবোর্ডগুলো জ্বলছিল এবং কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর ২১৩ জন দমকল ও চিকিৎসাকর্মী এবং ৪৫টি গাড়ি ও নৌযান উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের সময় লেগেছিল মাত্র দুই মিনিট। উড়োজাহাজটির ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার ও ভয়েস রেকর্ডার (ব্ল্যাক বক্স) এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তদন্তকারীরা সাগর থেকে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
হংকংয়ের পরিবহন ও লজিস্টিক ব্যুরো (টিএলবি) জানিয়েছে, তারা দুই নিহত কর্মীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পূর্ণ তদন্ত চালাচ্ছে। উত্তর রানওয়ে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং নিরাপত্তা মূল্যায়নের পরই আবার চালু করা হবে। তবে দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় রানওয়ে চালু থাকায় বিমানবন্দরের অন্যান্য ফ্লাইট কার্যক্রমে কোনো বড় প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে হংকং বিমানবন্দর দিয়ে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন হয়েছিল, যা বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর সাংহাই পুডংয়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে হংকং মূল ভূখণ্ড চীন ও বিশ্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই দুর্ঘটনা হংকংয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের পরপরই বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
বিশ্বের ব্যস্ততম কার্গো বিমানবন্দর হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি পণ্যবাহী উড়োজাহাজ (কার্গো প্লেন) রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগরে গিয়ে পড়েেছে। এসময় বিমানবন্দরের দুজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫০ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
হংকং সরকার জানিয়েছে, এটি শহরের বর্তমান বিমানবন্দরে ১৯৯৮ সালে চালু হওয়ার পর দ্বিতীয় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, তুরস্কের এসিটি এয়ারলাইনসের পরিচালিত এমিরেটসের কার্গো ফ্লাইট ইকে৯৭৮৮ অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে সরে গিয়ে বেড়ার ভেতর দিয়ে পাশের সড়কে থাকা একটি টহল গাড়িকে ধাক্কা দেয়। গাড়িটি সাগরে পড়ে যায় এবং দুই নিরাপত্তাকর্মী (বয়স ৩০ ও ৪১) নিহত হন।
উড়োজাহাজটি দুই টুকরো হয়ে যায় এবং সাগরে আংশিকভাবে ডুবে যায়। ভেতরে থাকা চার ক্রু সদস্য দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসেন এবং দ্রুত উদ্ধার করা হয়। তবে উড়োজাহাজটি কোনো পণ্য বহন করছিল না।
বিমানবন্দর অপারেশনসের নির্বাহী পরিচালক স্টিভেন ইউ জানান, দুর্ঘটনার সময় আবহাওয়া স্বাভাবিক ছিল এবং রানওয়ের অবস্থা নিরাপদ ছিল। তিনি বলেন, ‘প্লেনটি যে রাস্তায় গেছে, সেটি স্বাভাবিক পথ নয়। প্লেনটি সমুদ্রের দিকে ঘোরা উচিত ছিল না।’
ইউ আরও বলেন, টহল গাড়িটি রানওয়ের বেড়ার বাইরে ছিল এবং রানওয়ে অতিক্রম করেনি। এ ঘটনাকে ‘রানওয়ে অনুপ্রবেশ’ বলা যাবে না।
বিমানবন্দর ও উদ্ধার কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী রানওয়ে ০৭এল-এ আলোকিত সাইনবোর্ডগুলো জ্বলছিল এবং কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে সঠিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
দুর্ঘটনার পর ২১৩ জন দমকল ও চিকিৎসাকর্মী এবং ৪৫টি গাড়ি ও নৌযান উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের সময় লেগেছিল মাত্র দুই মিনিট। উড়োজাহাজটির ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার ও ভয়েস রেকর্ডার (ব্ল্যাক বক্স) এখনও উদ্ধার করা যায়নি। তদন্তকারীরা সাগর থেকে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
হংকংয়ের পরিবহন ও লজিস্টিক ব্যুরো (টিএলবি) জানিয়েছে, তারা দুই নিহত কর্মীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পূর্ণ তদন্ত চালাচ্ছে। উত্তর রানওয়ে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং নিরাপত্তা মূল্যায়নের পরই আবার চালু করা হবে। তবে দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় রানওয়ে চালু থাকায় বিমানবন্দরের অন্যান্য ফ্লাইট কার্যক্রমে কোনো বড় প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে হংকং বিমানবন্দর দিয়ে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন হয়েছিল, যা বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর সাংহাই পুডংয়ের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে হংকং মূল ভূখণ্ড চীন ও বিশ্বের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই দুর্ঘটনা হংকংয়ের শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের পরপরই বিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
দশকের পর দশক ধরে চলা প্রতিদিনের সহিংসতা ও দমননীতি এখনও বন্ধ হয়নি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে দখলদার শক্তির নৃশংসতা আরও বেড়েছে। আজ পশ্চিম তীরে জীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
৩২ মিনিট আগেফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত বিশ্বখ্যাত লুভর জাদুঘর ‘বিশেষ কারণে’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একদল দুর্বৃত্ত মাত্র চার মিনিটে সেখানে প্রবেশ করে আটটি অমূল্য গয়না চুরি করেছে। ঘটনাটি জাদুঘরজগতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেগাজা উপত্যকায় আবার নতুন করে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার ভোর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানিয়েছে আল জাজিরা।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে নিঃশব্দে পুনর্নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্য। তুরস্কের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই চুক্তির আওতায় ঢাকা পেতে যাচ্ছে তুরস্কের তৈরি দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (এসআইপিইআর)। পাশাপাশি সম্ভাবনা রয়েছে যৌথভাবে তুর্কি যুদ্ধ ড্রোন তৈরিরও।
১৮ ঘণ্টা আগে