স্ট্রিম ডেস্ক
তৃতীয় দিনের মতো আজও নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতি বিরোধী জেন-জি বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন সরকারি ভবন, রাজনীতিকদের বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নেপালজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভের জেরে ইতোমধ্যে কে পি শর্মা অলি সরকারের পতন হয়েছে। নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত হিমালয়ের দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে, নেপালের ভরতপুরের ভাট-ভাতেনি সুপার মার্কেটে দেওয়া বিক্ষোভকারীদের আগুন আজ সকালেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মার্কেটটিতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এর আগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির সংসদ ভবন ও সিংহ দরবার কমপ্লেক্সেও অগ্নিসংযোগ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মার পদত্যাগও বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেনি। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি যখন ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল তখন সামরিক হেলিকপ্টারে কয়েকজন মন্ত্রীকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তারও আগে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভের প্রথমদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ বিক্ষোভকারী নিহত হন। আহত হয় শতাধিক। পরে এর জেরে সেদিন সন্ধ্যায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানী কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহরে কী ঘটেছে তা তদন্তে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে এতেও বিক্ষোভকারীদের থামানো যায়নি। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও তারা বিক্ষোভ করতে থাকে।
উল্লেখ্য, বিনোদন, খবর ও ব্যবসার জন্য লাখ লাখ নেপালি ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন এবং এসব মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু নেপাল সরকার ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পরই হাজার হাজার তরুণ নেপালি বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদের পাশাপাশি সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করেন এবং সরকারের জবাবদিহি ও সংস্কারের দাবি জানান।
যদিও দেশটির সরকার ভুয়া খবর, ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য ও অনলাইন প্রতারণা মোকাবিলার কথা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
এছাড়া, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাপনকে সামনে এনে এবং তাদেরকে দুর্নীতির অর্থে অর্থায়নের অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নেপো কিড’ নামে একটি প্রচারণা দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
তৃতীয় দিনের মতো আজও নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতি বিরোধী জেন-জি বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষুব্ধরা বিভিন্ন সরকারি ভবন, রাজনীতিকদের বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নেপালজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এ বিক্ষোভের জেরে ইতোমধ্যে কে পি শর্মা অলি সরকারের পতন হয়েছে। নতুন সরকার আসার আগ পর্যন্ত হিমালয়ের দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিকে, নেপালের ভরতপুরের ভাট-ভাতেনি সুপার মার্কেটে দেওয়া বিক্ষোভকারীদের আগুন আজ সকালেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মার্কেটটিতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এর আগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের শিকার হন। বিক্ষোভকারীরা দেশটির সংসদ ভবন ও সিংহ দরবার কমপ্লেক্সেও অগ্নিসংযোগ করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মার পদত্যাগও বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেনি। হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি যখন ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল তখন সামরিক হেলিকপ্টারে কয়েকজন মন্ত্রীকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তারও আগে, সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভের প্রথমদিন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ বিক্ষোভকারী নিহত হন। আহত হয় শতাধিক। পরে এর জেরে সেদিন সন্ধ্যায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের পর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়। এছাড়া, সরকারের পক্ষ থেকে রাজধানী কাঠমান্ডু ও অন্যান্য শহরে কী ঘটেছে তা তদন্তে কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে এতেও বিক্ষোভকারীদের থামানো যায়নি। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও তারা বিক্ষোভ করতে থাকে।
উল্লেখ্য, বিনোদন, খবর ও ব্যবসার জন্য লাখ লাখ নেপালি ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন এবং এসব মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু নেপাল সরকার ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রামসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার পরই হাজার হাজার তরুণ নেপালি বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদের পাশাপাশি সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করেন এবং সরকারের জবাবদিহি ও সংস্কারের দাবি জানান।
যদিও দেশটির সরকার ভুয়া খবর, ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য ও অনলাইন প্রতারণা মোকাবিলার কথা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।
এছাড়া, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাপনকে সামনে এনে এবং তাদেরকে দুর্নীতির অর্থে অর্থায়নের অভিযোগ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘নেপো কিড’ নামে একটি প্রচারণা দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ে।
নেপালে সহিংস বিক্ষোভের পর কে পি শর্মার অলির সরকারের পতন হয়েছে। তাঁর পদত্যাগপত্র দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওডেল। নেপালে সেনাবাহিনী সম্ভত প্রেসিডেন্ট সুরক্ষা দিচ্ছে। তবে নেপালের সামনের দিনগুলো কিভাবে এগোবে তা অনিশ্চিত।
১ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। তবে অনেক নাগরিক মনে করছেন, হিমালয় উপত্যকা থেকে বাইরে যে তথ্য যাচ্ছে, তার অনেকটাই বিকৃত বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে এখনো প্রবল আতঙ্ক বিরাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি হামলার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে—আমেরিকার সর্বশেষ প্রস্তাব আসলে হামাস নেতাদের এক জায়গায় জড়ো করার একটি কৌশল ছিল। যাতে তাদের সহজে টার্গেট করা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেজেন-জি বিক্ষোভের জেরে গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। পরে গতকালই তিনি হেলিকপ্টারে করে রাজধানী ছাড়েন। কিন্তু নেপালিদের কাছে এখন বড় প্রশ্ন হলো কে পি শর্মা কোথায় আছেন?
৪ ঘণ্টা আগে