ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সাম্প্রতিক অনুপস্থিতি নিয়ে দেশটির জনগণের মধ্যে শঙ্কা, নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। গত কয়েক দিনের ঘটনায় বদলে যাওয়া ইরানের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে খামেনি কি আবারও আগের অবস্থানেই ফিরবেন?
তুফায়েল আহমদ
‘আমাদের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি এখন কেমন আছেন? মানুষ তাঁকে নিয়ে শঙ্কিত। আমাদের বলতে পারেন, এখন কী অবস্থা তাঁর?’ গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাংবাদিকের এমন জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আর্কাইভ দপ্তরের কর্মকর্তা মেহদি ফাজায়েলিকে। ইরানের লাখো জনতার উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের এই জিজ্ঞাসা ঘুরপাক খাচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে বিশ্ব-রাজনীতির সর্বত্র।
দর্শকদের কাছ থেকে এমন প্রশ্নে বার্তাকক্ষ ভরে গেছে উল্লেখ করলেও মেহদি ফাজায়েলি। সরাসরি এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি। ফাজায়েলি বললেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলার পর তিনিও অনেক জায়গা থেকে সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তিত মানুষের জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়েছেন।
ফাজায়েলি বলেন, ‘আমাদের সবার উচিত তাঁর জন্য দোয়া করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তাকর্মীরা যথাযথ ভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। ইনশাআল্লাহ, জনগণ তাঁদের নেতাকে সঙ্গে নিয়েই বিজয় উদ্যাপন করতে পারবে।’
সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনিই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোতে চূড়ান্ত কথা বলেন। কিন্তু দেশের এমন গভীর সংকটের সময় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জনসমক্ষে অনুপস্থিত তিনি। কোনো ভাষণ বা বার্তাও দেননি। ।
গত কয়েক দিনে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে। জবাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হেনেছে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
এর আগে খামেনির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাচেষ্টার শঙ্কায় খামেনিকে সুরক্ষিত বাংকারে রাখা হয়েছে এবং সব ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
তবে সর্বোচ্চ নেতার এমন অনুপস্থিতি শুধু জনসাধারণ নয়, রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক অস্থিতরতা তৈরি করেছে।
ইরানের দৈনিক পত্রিকা ‘খানেমান’-এর প্রধান সম্পাদক মোহসেন খালিফেহ বলেন, ‘খামেনির এই অনুপস্থিতি আমরা যারা তাঁকে ভালোবাসি–সবাইকে খুব চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।’
দুই সপ্তাহ আগেও যে শঙ্কা অকল্পনীয় ছিল, এখন তা স্বীকার করে খালিফেহ বলেন, ‘যদি তিনি (খামেনি) মারা গিয়ে থাকেন, তবে তাঁর জানাজার মিছিল ইরানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও গৌরবময় ঘটনা হবে।’
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা অথবা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মতো সিদ্ধান্তে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে খামেনির অনুমোদন থাকাটাই স্বাভাবিক। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার ও সরকারি কর্মকর্তারা খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কি না, বা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কি না এ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
খামেনিকে নিয়ে এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। ইরানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোতে খামেনির কতটা ভূমিকা ছিল? তিনি কি এখনো আগের মতোই দেশ পরিচালনায় যুক্ত আছেন? তিনি কি আহত, অসুস্থ, নাকি মারা গেছেন–এসব প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব মিলছে না কারও কাছেই।
খামেনির অনেক সমর্থক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলছেন, তাঁরা সর্বোচ্চ নেতাকে না দেখা বা তাঁর কথা না শোনা পর্যন্ত এই বিজয়ের আনন্দ অনুভব করতে পারছেন না।
খামেনি ফিরবেন এক বদলে যাওয়া ইরানে
দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে গোপন বাংকারে আশ্রয়ে ছিলেন ৮৬ বছর বয়সী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। যুদ্ধবিরতির পর থেকেই তাঁর জনসম্মুখে ফিরে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলে আসছেন, একমাত্র খামেনির মৃত্যুই এই ‘সংঘাত’ থামাতে পারবে।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালের’ এক পোস্টে দাবি করেন, খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন, আমরা জানি। আমরা চাইলেই তাঁকে হত্যা করতে পারি, কিন্তু করব না।’
দুই সপ্তাহের যুদ্ধে শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা তৈরি হলেও শেষরক্ষা হয়েছে খামেনি ও ইরান সরকারের। তবে ইরানকে দৃশ্যত দুর্বল করে দেওয়া এই যুদ্ধ খামেনির ক্ষমতাকেও দুর্বল করে ফেলেছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। অনেকেই মনে করেন, যুদ্ধ যদি আরও কিছুদিন চলত, তাহলে ইরানে বিরোধীদের হাতে নেতৃত্ব চলে যেত, ভেঙে পড়ত আইনব্যবস্থা। ফলে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো, তা হতো এর চেয়ে ভয়াবহ।
যুদ্ধের শেষে এখন গোপন আশ্রয় ছেড়ে বের হলে খামেনি এক মৃত্যু ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশ দেখতে পাবেন। তবুও তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে সম্ভবত বিজয়ের দাবি জানাবেন। নিজের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করবেন। কিন্তু এত কিছুর পরও নতুন এক যুগ আর বাস্তবতার মুখোমুখি হতেই হবে খামেনিকে।
স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটির ইরানি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক আলী আনসারি বলেন, ‘একটা হিসাব-নিকাশ হবেই। নেতৃত্বের ভেতরে বড় ধরনের মতানৈক্যর ব্যাপারটা স্পষ্ট। আর সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরাট অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।’
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং স্কলার লিনা খাতিব মনে করেন, এত বড় চাপের পরেও ইরানি শাসনব্যবস্থা আরও কত দিন টিকবে, তা বলা কঠিন। কিন্তু সম্ভবত এটাই ‘শেষের শুরু’। আক্ষরিক অর্থেই ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শেষ ‘সর্বোচ্চ নেতা’ আলী খামেনি।
ইরানের মধ্য থেকে কোনো দলের পক্ষে আন্দোলনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পতনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। শাসনব্যবস্থা এখনো অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী এবং মতবিরোধ দমন করতে আরও কঠোর দমন-পীড়ন চালাবে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক খাতিব।
একজন ইরানি নারী বিবিসি পার্সিয়ানকে বলেন, ‘যুদ্ধে অপমানিত ও আহত শাসকগোষ্ঠীর প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব জনগণের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাতে পারে। যুদ্ধের মৃত্যু ও ধ্বংসের চেয়েও এই ভয় বেশি পাচ্ছি।’
(বিবিসি ও দ্য টাইমস অবলম্বনে তুফায়েল আহমেদ)
‘আমাদের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি এখন কেমন আছেন? মানুষ তাঁকে নিয়ে শঙ্কিত। আমাদের বলতে পারেন, এখন কী অবস্থা তাঁর?’ গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সাংবাদিকের এমন জিজ্ঞাসার মুখে পড়তে হয় আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির আর্কাইভ দপ্তরের কর্মকর্তা মেহদি ফাজায়েলিকে। ইরানের লাখো জনতার উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের এই জিজ্ঞাসা ঘুরপাক খাচ্ছে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে বিশ্ব-রাজনীতির সর্বত্র।
দর্শকদের কাছ থেকে এমন প্রশ্নে বার্তাকক্ষ ভরে গেছে উল্লেখ করলেও মেহদি ফাজায়েলি। সরাসরি এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি তিনি। ফাজায়েলি বললেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বোমা হামলার পর তিনিও অনেক জায়গা থেকে সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে চিন্তিত মানুষের জিজ্ঞাসার মুখোমুখি হয়েছেন।
ফাজায়েলি বলেন, ‘আমাদের সবার উচিত তাঁর জন্য দোয়া করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তাকর্মীরা যথাযথ ভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। ইনশাআল্লাহ, জনগণ তাঁদের নেতাকে সঙ্গে নিয়েই বিজয় উদ্যাপন করতে পারবে।’
সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনিই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোতে চূড়ান্ত কথা বলেন। কিন্তু দেশের এমন গভীর সংকটের সময় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জনসমক্ষে অনুপস্থিত তিনি। কোনো ভাষণ বা বার্তাও দেননি। ।
গত কয়েক দিনে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে। জবাবে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হেনেছে কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
এর আগে খামেনির প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাচেষ্টার শঙ্কায় খামেনিকে সুরক্ষিত বাংকারে রাখা হয়েছে এবং সব ধরনের ইলেকট্রনিক যোগাযোগ থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
তবে সর্বোচ্চ নেতার এমন অনুপস্থিতি শুধু জনসাধারণ নয়, রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক অস্থিতরতা তৈরি করেছে।
ইরানের দৈনিক পত্রিকা ‘খানেমান’-এর প্রধান সম্পাদক মোহসেন খালিফেহ বলেন, ‘খামেনির এই অনুপস্থিতি আমরা যারা তাঁকে ভালোবাসি–সবাইকে খুব চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।’
দুই সপ্তাহ আগেও যে শঙ্কা অকল্পনীয় ছিল, এখন তা স্বীকার করে খালিফেহ বলেন, ‘যদি তিনি (খামেনি) মারা গিয়ে থাকেন, তবে তাঁর জানাজার মিছিল ইরানের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও গৌরবময় ঘটনা হবে।’
কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা অথবা ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মতো সিদ্ধান্তে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে খামেনির অনুমোদন থাকাটাই স্বাভাবিক। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি দ্রুততার সঙ্গে কার্যকর হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু উচ্চপদস্থ সামরিক কমান্ডার ও সরকারি কর্মকর্তারা খামেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কি না, বা তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কি না এ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
খামেনিকে নিয়ে এই নীরবতা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। ইরানের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলোতে খামেনির কতটা ভূমিকা ছিল? তিনি কি এখনো আগের মতোই দেশ পরিচালনায় যুক্ত আছেন? তিনি কি আহত, অসুস্থ, নাকি মারা গেছেন–এসব প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব মিলছে না কারও কাছেই।
খামেনির অনেক সমর্থক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলছেন, তাঁরা সর্বোচ্চ নেতাকে না দেখা বা তাঁর কথা না শোনা পর্যন্ত এই বিজয়ের আনন্দ অনুভব করতে পারছেন না।
খামেনি ফিরবেন এক বদলে যাওয়া ইরানে
দুই সপ্তাহ ধরে চলা ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে গোপন বাংকারে আশ্রয়ে ছিলেন ৮৬ বছর বয়সী ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। যুদ্ধবিরতির পর থেকেই তাঁর জনসম্মুখে ফিরে আসা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলে আসছেন, একমাত্র খামেনির মৃত্যুই এই ‘সংঘাত’ থামাতে পারবে।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালের’ এক পোস্টে দাবি করেন, খামেনি কোথায় লুকিয়ে আছেন, আমরা জানি। আমরা চাইলেই তাঁকে হত্যা করতে পারি, কিন্তু করব না।’
দুই সপ্তাহের যুদ্ধে শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ার শঙ্কা তৈরি হলেও শেষরক্ষা হয়েছে খামেনি ও ইরান সরকারের। তবে ইরানকে দৃশ্যত দুর্বল করে দেওয়া এই যুদ্ধ খামেনির ক্ষমতাকেও দুর্বল করে ফেলেছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। অনেকেই মনে করেন, যুদ্ধ যদি আরও কিছুদিন চলত, তাহলে ইরানে বিরোধীদের হাতে নেতৃত্ব চলে যেত, ভেঙে পড়ত আইনব্যবস্থা। ফলে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো, তা হতো এর চেয়ে ভয়াবহ।
যুদ্ধের শেষে এখন গোপন আশ্রয় ছেড়ে বের হলে খামেনি এক মৃত্যু ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশ দেখতে পাবেন। তবুও তিনি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে সম্ভবত বিজয়ের দাবি জানাবেন। নিজের ভাবমূর্তি পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করবেন। কিন্তু এত কিছুর পরও নতুন এক যুগ আর বাস্তবতার মুখোমুখি হতেই হবে খামেনিকে।
স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটির ইরানি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক আলী আনসারি বলেন, ‘একটা হিসাব-নিকাশ হবেই। নেতৃত্বের ভেতরে বড় ধরনের মতানৈক্যর ব্যাপারটা স্পষ্ট। আর সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরাট অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।’
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং স্কলার লিনা খাতিব মনে করেন, এত বড় চাপের পরেও ইরানি শাসনব্যবস্থা আরও কত দিন টিকবে, তা বলা কঠিন। কিন্তু সম্ভবত এটাই ‘শেষের শুরু’। আক্ষরিক অর্থেই ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শেষ ‘সর্বোচ্চ নেতা’ আলী খামেনি।
ইরানের মধ্য থেকে কোনো দলের পক্ষে আন্দোলনের মাধ্যমে শাসনব্যবস্থা পতনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। শাসনব্যবস্থা এখনো অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী এবং মতবিরোধ দমন করতে আরও কঠোর দমন-পীড়ন চালাবে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক খাতিব।
একজন ইরানি নারী বিবিসি পার্সিয়ানকে বলেন, ‘যুদ্ধে অপমানিত ও আহত শাসকগোষ্ঠীর প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব জনগণের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাতে পারে। যুদ্ধের মৃত্যু ও ধ্বংসের চেয়েও এই ভয় বেশি পাচ্ছি।’
(বিবিসি ও দ্য টাইমস অবলম্বনে তুফায়েল আহমেদ)
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ না নিলে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি রাশিয়ার সঙ্গে যেসব দেশ বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরেও দ্বিতীয় ধাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
৮ ঘণ্টা আগেপ্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব বেশি মধুর নয়। ২০২০ সালে হিমালয় সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। তবে গত মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠকের পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্প
১৩ ঘণ্টা আগেঅতিবৃষ্টিতে ভারতের সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের টানেলের 'স্লোপিং প্রোটেকশন ওয়াল' ধসে পড়েছে।
১ দিন আগেএই নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের পণ্যের আমদানির ওপর মোট শুল্ক দাঁড়াল ৫০ শতাংশে। যা চীনের ওপর আরোপিত শুল্কের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি এবং পাকিস্তানের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
১ দিন আগে