ব্রাজিলের বেলেমে চলমান (১০-২১ নভেম্বর ২০২৫) জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০-এ জলবায়ু কর্মী ও আদিবাসী নেতারা জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, ভূগর্ভ থেকে তেল ও গ্যাস উত্তোলন অব্যাহত থাকলে মানবজাতি আত্মবিনাশের পথে যাবে।
লাইভ ব্লগে পেরুর চ্যাপরা নেশনের ওলিভিয়া বিসা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা যদি পৃথিবী থেকে হাইড্রোকার্বন তুলতে থাকি, আমরা নিজেরাই নিজেদের শেষ করে ফেলব।’ এই সতর্কতা ১৭ দেশের সমর্থিত একটি ‘জীবাশ্ম জ্বালানি চুক্তি’র দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ চুক্তির লক্ষ্য কয়লা, তেল ও গ্যাস ধাপে ধাপে বন্ধ করা।
একই সময়ে ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার এক প্রতিবেদন জানায়, চলতি শতাব্দীর শেষে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ানা ফিগুয়েরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি ছাড়ার অর্থনৈতিক বাস্তবতা স্পষ্ট। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি হবে। তিনি ন্যায়সঙ্গত রূপান্তর ও বাধ্যতামূলক প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল না পাঠানোসহ রাজনৈতিক অনুপস্থিতি এবং বিভিন্ন দেশের চলমান খনন প্রকল্প পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি চুক্তির আহ্বান
কপ৩০ সম্মেলনে জলবায়ুকর্মীরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের দাবি জানান। তারা কয়লা, তেল ও গ্যাসের উৎপাদন বন্ধে একটি বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তির দাবি তুলেন। ১৭টি দেশ এই উদ্যোগকে সমর্থন করছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি চুক্তি উদ্যোগের চেয়ার জেপোরাহ বারম্যান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলার জীবাশ্ম জ্বালানি ধাপে ধাপে কমানোর প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। তবে অ্যামাজনের কাছে নতুন তেল উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়ায় তিনি সমালোচনা করেন।
বারম্যান বলেন, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে ও কানাডার মতো দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদন বেড়েছে। এর ফলে বৈশ্বিক পরিবেশগত সীমা অতিক্রমের ঝুঁকি বাড়ছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তি ‘আমাদের সময়ের ন্যায়বিচার ও মানবতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ।’ সরকারগুলোর ওপর চাপ বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আদিবাসী কণ্ঠগুলোও সোচ্চার ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার জলবায়ু কর্মী ক্রিস্টাল ক্যাভালিয়ার বলেন, সামনের সারির জনগোষ্ঠীকে ‘বলিদান অঞ্চল’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলের পরিবেশ ধ্বংসের মুখে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ নীতির পশ্চাদপসরণের সমালোচনা করেন এবং চুক্তিকে জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যম হিসেবে দেখেন।
ওলিভিয়া বিসাও সতর্ক করেন—জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন বন্ধ না হলে ‘মানবজাতি নিজেই নিজের অস্তিত্ব মুছে ফেলবে।’ তিনি এ কর্মকাণ্ডকে গণ-পরিবেশবিনাশ ও মানবতার হত্যা হিসেবে আখ্যা দেন। আদিবাসী জনগোষ্ঠী বছরের পর বছর বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদার ক্ষতিপূরণ দিতে দিতে ক্লান্ত—এ কথাও তিনি তুলে ধরেন।
তাপমাত্রা-প্রক্ষেপণ ও ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার রিপোর্ট
কপ৩০ চলাকালে প্রকাশিত ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার রিপোর্ট জানায়, সাম্প্রতিক জলবায়ু প্রতিশ্রুতিগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নের গতি কমাতে পারেনি। বর্তমান ধারা অপরিবর্তিত থাকলে ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্ব উষ্ণায়ন প্রায় ২ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। এটি দশ বছর আগের ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রির পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো হলেও মানবসমাজ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য তা এখনো ভয়াবহ সংকেত।
বিশ্ব এখনো বিপর্যয়কর ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতার পথে রয়েছে। কারণ, বিভিন্ন দেশ শক্তিশালী জলবায়ু প্রতিশ্রুতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নিঃসরণও ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ তথ্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকার-এর হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, চার বছর ধরে টানা নতুন প্রতিশ্রুতিগুলোও ঝুঁকি কমাতে পারেনি। ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি উষ্ণতার পূর্বাভাস গত বছরের মতোই অপরিবর্তিত আছে। এই মাত্রার উষ্ণতা প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি। এতে বিশ্ব আরও ভয়াবহ জলবায়ু বিপর্যয় ও কষ্টের মুখে পড়বে।
অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে জীবাশ্ম জ্বালানি নিঃসরণ আরও ১ শতাংশ বাড়বে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃদ্ধির হার কিছুটা কমেছে। গত দশকে কয়লা, তেল ও গ্যাস থেকে নিঃসরণ বছরে গড়ে ০ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বেড়েছে, যা আগের দশকের ২ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে কম। নবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত বিস্তার এখনো চাহিদাকে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি।
ক্লাইমেট অ্যানালিটিক্সের প্রধান বিল হেয়ার বলেন, ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি উষ্ণতার বিশ্ব মানে বৈশ্বিক বিপর্যয়। এতে আটলান্টিক স্রোতব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে, প্রবালপ্রাচীর বিলীন হতে পারে, হিমবাহ ক্ষয় ত্বরান্বিত হবে এবং অ্যামাজন বনভূমি তৃণভূমিতে পরিণত হতে পারে। এর ফলে ইউরোপে কৃষি ধ্বংস, এশিয়া-আফ্রিকায় তীব্র খরা ও বর্ষা এবং প্রাণঘাতী তাপদাহ দেখা দেবে।
শিল্পবিপ্লবের পর থেকে পৃথিবী ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণ হয়েছে। বন উজাড় ও জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে ভয়াবহ ঝড়, দাবানল ও খরার মতো দুর্যোগ বাড়ছে।
যদিও উষ্ণতার হার এখনো বিপজ্জনক, তবুও প্যারিস চুক্তির পর এটি কিছুটা কমেছে। তখন ২১০০ সালের মধ্যে ৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি উষ্ণতার পূর্বাভাস ছিল। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপক সম্প্রসারণ ও কয়লার ব্যবহার কমায় এই উন্নতি এসেছে।
তবে গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্ট (জিসিপি) জানায়, ২০২৫ সালেও জীবাশ্ম জ্বালানি নিঃসরণ ১ শতাংশ বাড়বে। একই সঙ্গে পৃথিবীর প্রাকৃতিক কার্বন শোষণ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বিজ্ঞানীরা জানান, উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বন নিধনের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার বড় অংশের উষ্ণমণ্ডলীয় বন এখন আর কার্বন শোষক নয়। বরং এগুলো এখন কার্বন নিঃসরণের উৎসে পরিণত হচ্ছে।
ব্রাজিল বন উজাড় ঠেকাতে একটি বিনিয়োগ তহবিল গঠন করেছে, তবে যুক্তরাজ্যসহ বহু দেশ এতে এখনো যোগ দেয়নি।
বিজ্ঞানীরা বলেন, নিঃসরণ কমার গতি এখনো যথেষ্ট নয়। তবুও নবায়নযোগ্য জ্বালানির অতুলনীয় বিস্তার বৃদ্ধির হার কমাচ্ছে। তাদের মতে, জলবায়ু নীতি কার্যকর হলে বৈশ্বিক প্রবণতা বদলানো সম্ভব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ঘনত্ব ৪২৫ পিপিএম-এ পৌঁছাবে। শিল্পবিপ্লবের আগে এটি ছিল ২৮০ পিপিএম।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের তথ্য দেখায়, উষ্ণায়ন কমাতে ধীরগতির অন্যতম কারণ হলো জীবাশ্ম জ্বালানি উৎপাদনের লাগামহীন বৃদ্ধি। কপ২৮-এর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও উৎপাদন কমেনি।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর জীবাশ্ম কোম্পানিগুলো বিশাল মুনাফা পেলেও তা উৎপাদন বাড়ানোর বদলে ঋণ পরিশোধ ও লভ্যাংশে ব্যবহার করেছে। এটি দেখায় যে শিল্পখাত নিজেদের ভবিষ্যৎ পতনের ইঙ্গিত বুঝতে পারছে।
কিন্তু উত্তোলন কমাতে নতুন কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি ঘোষণা হয়নি। ফলে জীবাশ্ম জ্বালানি চুক্তির প্রয়োজনীয়তা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত ও ন্যায্য রূপান্তরের দাবি
প্যারিস চুক্তির অন্যতম স্থপতি ক্রিস্টিয়ানা ফিগুয়েরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পের পতন এখন অর্থনৈতিকভাবে অবশ্যম্ভাবী। তার মতে, উৎপাদকরা বুঝে গেছে যে তারা আর প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। তারা ধীরে ধীরে এই যুগের সমাপ্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি কপ৩০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিকে ‘অপরিণত, দায়িত্বহীন ও হতাশাজনক’ বলে আখ্যা দেন। তার মতে, এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
ফিগুয়েরেস কপ৩০ সম্মেলন অ্যামাজনের স্থানে আয়োজিত হওয়ার প্রশংসা করেন। কারণ, এটি জলবায়ুর টিপিং পয়েন্ট ও আদিবাসী অধিকারকে সামনে আনে। তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসামসহ উচ্চপর্যায়ের আলোচনাও পরিচালনা করেন।
ইনফোঅ্যামাজোনিয়ার স্টেফানো ভ্রোব্লেস্কি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বড় সম্প্রচারমাধ্যমগুলোর—সিবিএস, এনবিসি, এবিসি, ফক্স—সম্মেলনটিকে কাভার না করা কল্পনাতীত ঘটনা।
বিশেষজ্ঞরা একযোগে ন্যায্য রূপান্তরের ওপর জোর দেন। তাদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে গিয়ে শ্রমিক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। সাম্প্রতিক টাইফুনে ভিয়েতনামের মেকং ডেল্টায় যে বন্যা দেখা গেছে, তা চরম আবহাওয়ার সতর্কবার্তা হিসেবে তুলে ধরা হয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ
কপ৩০ সম্মেলনে রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল অনুপস্থিতি ও উল্টোমুখী সিদ্ধান্তে ভরপুর। ট্রাম্প প্রশাসন প্রথমবারের মতো সম্মেলনটি বয়কট করে। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় এবং ‘ড্রিল, বেবি, ড্রিল’ নীতিকে উৎসাহ দেয়।
ন্যান্সি পেলোসি এ অবস্থার জন্য রিপাবলিকানদের বাধাকে দায়ী করেন। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানান।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র পর্দার আড়ালে সৌদি আরবসহ মিত্রদের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছে কিনা—এ নিয়েও আলোচনা হয়। সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি তেল উৎপাদনকারী দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি পর্যায়ক্রমে বন্ধের ভাষা মেনে নিতে নারাজ।
ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ২০৪০ সালের মধ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় ৯০ শতাংশ নিঃসরণ কমানোর পরিকল্পনা অনুমোদন করে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জলবায়ু রূপান্তর পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করার নিয়ম বাতিল করায় পরিবেশবাদীরা সমালোচনা করে। ইইউ দেশগুলো প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে নীতিগুলো শিথিল করছে।
ব্রাজিল ২১ নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যেই এবারের আলোচনা শেষ করতে আশাবাদী, যদিও অতীতে বেশিরভাগ কপ সম্মেলন নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে। জেন্ডার সংজ্ঞা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় জলবায়ু নীতিতে জেন্ডার-সংক্রান্ত আলোচনাও হুমকির মুখে পড়ে।
এ ছাড়া, পেরুর কৃষক সাউল লুসিয়ানো লিউইয়ার হিমবাহ গলনে জার্মান কোম্পানি আরডাব্লিউই-কে দায়ী করে করা মামলা স্থানীয় ক্ষতির বাস্তব প্রভাব তুলে ধরে।
কপ৩০ সম্মেলনে বৈশ্বিক উদ্বেগ স্পষ্ট। জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন চলতে থাকলে মানবজাতির অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে—আদিবাসী নেতাদের এমন সতর্কবার্তা গুরুত্ব পেয়েছে। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা এখনো ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়ার ভয়াবহ পথে রয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি চুক্তি এবং ন্যায্য রূপান্তরের দাবি দেখায় যে কেবল অস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি নয়, কার্যকর ও বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ প্রয়োজন। রাজনৈতিক অনুপস্থিতি ও নীতিগত পিছুটান বৈশ্বিক ঐক্যকে দুর্বল করছে। তবে অর্থনৈতিক প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে জীবাশ্ম জ্বালানির যুগ শেষের দিকে।
বিপর্যয় এড়াতে প্রয়োজন— ফসিল ফুয়েল চুক্তি অনুমোদন, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কণ্ঠ জোরালো করা, জীবাশ্ম জ্বালানির ধাপে ধাপে বন্ধ নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে সহায়তা দেওয়া, এবং বহুপাক্ষিক আস্থার পুনরুদ্ধার।
এসব না হলে বৈষম্য, পরিবেশ ধ্বংস ও অপরিবর্তনীয় টিপিং পয়েন্টের দিকে অগ্রযাত্রা থামবে না।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান