leadT1ad

বিশ্ব বাজার থেকে রুশ তেল-গ্যাস সরাতে ২০ দেশ একাট্টা

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ২৫
যৌথ সংবাদ সম্মেলনের একটি চিত্র। সংগৃহীত ছবি

বিশ্ব বাজার থেকে রাশিয়ান ‘তেল ও গ্যাস সরানোর প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে বিশ্বের ২০টির বেশি দেশ। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে চাপের অংশ হিসেবে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশগুলো।

লন্ডনের কোয়ালিশন অব উইলিং সম্মেলন থেকে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সম্মেলনের পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার বলেছেন, আমরা রাশিয়ার যুদ্ধ যন্ত্রের অর্থের যোগান বন্ধ করে দিচ্ছি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার দুটি বড় তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর তরলীকৃত প্রাকৃতি গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি ঠেকানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনের ওই সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার বলেন, ‘শান্তির ব্যাপারে পুতিন মনোযোগী নন’, তাই ‘বছরের বাকি সময়ের জন্য স্পষ্ট এক পরিকল্পনায়’ ইউক্রেনের মিত্ররা দেশটিকে সমর্থনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে বিদেশে থাকা রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্পদ (বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ) ব্যবহারও অন্তর্ভুক্ত—যার অর্থ ‘ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় অর্থায়নের জন্য রাশিয়ার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার উন্মুক্ত করে দেওয়া’। তবে তিনি এই ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ইইউ নেতারা আগামী দুই বছরের জন্য ইউক্রেনের ‘আর্থিক চাহিদা’ পূরণে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছেন। তবে ১৪০ বিলিয়ন ইউরো (১২২ বিলিয়ন পাউন্ড) মূল্যের জব্দকৃদ রুশ সম্পদ ব্যবহারে সম্মত হননি তাঁরা।

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগই যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র উপায়।

জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া ‘শীতের ঠান্ডাকে নির্যাতনের হাতিয়ার বানাতে চায়। তারা আমাদের গুঁড়িয়ে দিতে চায়।’

অন্যদিকে, প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক এবং জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর রুশ বিমান হামলা চালাচ্ছে। তাই লন্ডন সম্মেলন থেকে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। যদিও সম্মেলনে ইউক্রেন দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাবে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

জেলেনস্কি অনেক দিন ধরেই বলে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টমাহকস এবং ইউরোপীয়ান ক্ষেপণাস্ত্র মস্কোর যুদ্ধ ব্যয়কে আরও অনেক বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করতো। কারণ এসব ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে তেল শোধনাগার এবং অস্ত্রের ডিপোসহ রুশদের প্রধান সামরিক স্থাপনায় আঘাত করা যেত। কিন্তু গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হওয়া আলাপেও টমাহকস পাওয়ার ব্যাপারে কোনো আশার বার্তা পাননি জেলেনস্কি। বরং ইউক্রেনকে এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে প্রস্তুত নয় বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও সতর্ক করে বলেছেন, যদি এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ান ফেডারেশনের ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয়, তবে তার প্রতিক্রিয়া হবে…নজিরবিহীন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।

Ad 300x250

সম্পর্কিত