.png)
জলবায়ু সম্মেলনের আগে হুঁশিয়ারি

স্ট্রিম ডেস্ক

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, মানবসভ্যতা জলবায়ু উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনই পথ পরিবর্তন না করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
আগামী মাসে ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য পূরণ এখন ‘অনিবার্যভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে। এর ফলে বিশ্ব ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে।
তিনি ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট শহর বেলেমে সমবেত হতে যাওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এটা বুঝতে যে, যত দেরি হবে নির্গমন কমাতে, তত বাড়বে ভয়াবহ ‘টিপিং পয়েন্ট’ অতিক্রমের ঝুঁকি। আর তা অ্যামাজন, আর্কটিক ও মহাসাগরে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। সত্য হলো, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা অতিক্রম করবে। এর পরিণতি হবে ধ্বংসাত্মক—যেমন অ্যামাজনে বন ধ্বংস, গ্রিনল্যান্ড বা পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলন, কিংবা প্রবালপ্রাচীরের ধ্বংস।’
তিনি আরও বলেন, কপ-৩০ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দিক পরিবর্তন করা। ‘এখন এটা একেবারে অপরিহার্য যে আমাদের পথ পরিবর্তন করতে হবে, যাতে অতিরিক্ত উষ্ণতার সময়কাল যতটা সম্ভব কম হয় এবং তার তীব্রতাও সীমিত থাকে। অ্যামাজনকে আমরা সাভানায় পরিণত হতে দেখতে চাই না, কিন্তু কার্বন নির্গমন দ্রুত না কমালে সেটিই ঘটতে পারে।’
গত দশ বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ সময় হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি—তেল, কয়লা ও গ্যাস—পোড়ানোর ফলে যে দ্রুতগতিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা বারবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু সরকারি প্রতিশ্রুতি এখনো সেই সংকট মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়।
প্যারিস চুক্তির আওতায় ১৯৭টি দেশের মধ্যে মাত্র ৬২টি দেশ তাদের জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে, এই প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপ প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন অভিযুক্ত হয়েছে পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য।
গুতেরেস জানান, বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলো অনুযায়ী বৈশ্বিক নির্গমন মাত্র ১০ শতাংশ কমতে পেতে পারে। কিন্তু ১.৫ ডিগ্রি সীমায় থাকতে হলে ৬০ শতাংশ কমানো প্রয়োজন। তাই, তাঁর ভাষায়, ‘লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম এখন অবশ্যম্ভাবী।’
তবুও তিনি আশাহত নন। তাঁর মতে, পৃথিবী হয়তো সাময়িকভাবে ১.৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করবে, তবে যদি এখনই দিক পরিবর্তন করা যায়, তাহলে শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা আবার সেই সীমায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য কপ-৩০ এবং এর পরের পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুতেরেস সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান—জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য আনতে হবে, যাতে কর্পোরেট লবিস্টদের চেয়ে নাগরিক সমাজ, বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি কর্পোরেট লবিস্টরা কী চায়—তারা শুধু তাদের মুনাফা বাড়াতে চায়, আর তার মূল্য দিতে হয় পুরো মানবজাতিকে।’
গুতেরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা এখন অর্থনৈতিক স্বার্থেরও বিষয়। কারণ স্পষ্ট হয়ে গেছে—এই জ্বালানির যুগ এখন শেষের পথে। তার ভাষায়, ‘আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির এক বিপ্লব দেখছি এবং এই পরিবর্তন অনিবার্যভাবে ত্বরান্বিত হবে। আবিষ্কৃত সমস্ত তেল-গ্যাসও মানবজাতি ব্যবহার করতে পারবে না।’
গুতেরসেকে প্রশ্ন করা হয়, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন কি না, যার সরকার সম্প্রতি অ্যামাজনের মুখের কাছে তেল অনুসন্ধানের অনুমোদন দিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনও না। আমি কপ সম্মেলনের সুযোগে তা করব।’
কপ-৩০ সম্মেলনে ব্রাজিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হবে ‘ট্রপিকাল ফরেস্টস ফরএভার ফ্যাসিলিটি’। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ১২৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা, যা ব্যবহার হবে বন সংরক্ষণের জন্য। বরাদ্দ অর্থের এক-পঞ্চমাংশ সরাসরি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে যাবে, যাদের এলাকায় বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য এবং কার্যকর কার্বন শোষণ ব্যবস্থা রয়েছে।
গুতেরেস বারবার জোর দিয়ে বলেন, কপ-৩০-এ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই প্রথম কোনো আদিবাসী সাংবাদিক—সুমাউমার ওয়াজা শিপাই, যিনি শিপাই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি—জাতিসংঘ মহাসচিবের একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির সেরা অভিভাবকরা হলেন আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তাই তাদের মধ্যে বিনিয়োগ করাই সবচেয়ে জরুরি।’
গুতেরেস আরও বলেন, বিশ্বনেতাদের উচিত আদিবাসীদের কাছ থেকে শেখা—কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। তারা ভাষায়, ‘রাজনৈতিক নেতারা প্রায়ই দৈনন্দিন অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যায় ব্যস্ত থাকেন। জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের কারণে তারা অনেক সময় প্রকৃতির সঙ্গে সুষম সম্পর্কের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই রাজনৈতিক নেতাদের ক্রমাগত শিক্ষা দিতে হবে, আর এই শিক্ষার জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের চেয়ে যোগ্য কেউ নেই।
বৈশ্বিক পরিবেশ প্রশাসনব্যবস্থা নিয়ে কপ সম্মেলনের ওপর চাপ বাড়লেও, গুতেরেস বলেন এই ব্যবস্থার বিকল্প কিছু নেই। বিকল্প হলো একপ্রকার ‘যার যা খুশি’ অবস্থা। আর আমরা জানি, তাতে কী ঘটে। এতে একদল ধনী ব্যক্তি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে, অথচ বন্যা ও দুর্যোগে কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধনীরা রক্ষা পাবে, কিন্তু পৃথিবী ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।
আগামী বছর জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে গুতেরেসের শেষ বছর। নিজের নয় বছরের মেয়াদ পর্যালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল জলবায়ু ও প্রকৃতি নিয়ে আরও আগে মনোযোগ দিতে। তবে এখন এটি আমার প্রধান অগ্রাধিকার।’ তিনি দৃঢ়ভাবে যোগ করেন, ‘আমি কখনও হাল ছাড়ব না—জলবায়ু কার্যক্রম, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকার থেকে। কারণ আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো আমাদের ‘মা প্রকৃতি’।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, মানবসভ্যতা জলবায়ু উষ্ণায়ন ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। এখনই পথ পরিবর্তন না করলে পরিণতি হবে ভয়াবহ।
আগামী মাসে ব্রাজিলের বেলেম শহরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলনের আগে এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তির লক্ষ্য পূরণ এখন ‘অনিবার্যভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে। এর ফলে বিশ্ব ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হবে।
তিনি ব্রাজিলের রেইনফরেস্ট শহর বেলেমে সমবেত হতে যাওয়া বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান এটা বুঝতে যে, যত দেরি হবে নির্গমন কমাতে, তত বাড়বে ভয়াবহ ‘টিপিং পয়েন্ট’ অতিক্রমের ঝুঁকি। আর তা অ্যামাজন, আর্কটিক ও মহাসাগরে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের ব্যর্থতা স্বীকার করতে হবে। সত্য হলো, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা অতিক্রম করবে। এর পরিণতি হবে ধ্বংসাত্মক—যেমন অ্যামাজনে বন ধ্বংস, গ্রিনল্যান্ড বা পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলন, কিংবা প্রবালপ্রাচীরের ধ্বংস।’
তিনি আরও বলেন, কপ-৩০ সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত দিক পরিবর্তন করা। ‘এখন এটা একেবারে অপরিহার্য যে আমাদের পথ পরিবর্তন করতে হবে, যাতে অতিরিক্ত উষ্ণতার সময়কাল যতটা সম্ভব কম হয় এবং তার তীব্রতাও সীমিত থাকে। অ্যামাজনকে আমরা সাভানায় পরিণত হতে দেখতে চাই না, কিন্তু কার্বন নির্গমন দ্রুত না কমালে সেটিই ঘটতে পারে।’
গত দশ বছর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে উষ্ণ সময় হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি—তেল, কয়লা ও গ্যাস—পোড়ানোর ফলে যে দ্রুতগতিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা বারবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু সরকারি প্রতিশ্রুতি এখনো সেই সংকট মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়।
প্যারিস চুক্তির আওতায় ১৯৭টি দেশের মধ্যে মাত্র ৬২টি দেশ তাদের জাতীয় জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা (এনডিসি) জমা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে, এই প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপ প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। আর বিশ্বের সবচেয়ে বড় কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন অভিযুক্ত হয়েছে পর্যাপ্ত উদ্যোগ না নেওয়ার জন্য।
গুতেরেস জানান, বর্তমান প্রতিশ্রুতিগুলো অনুযায়ী বৈশ্বিক নির্গমন মাত্র ১০ শতাংশ কমতে পেতে পারে। কিন্তু ১.৫ ডিগ্রি সীমায় থাকতে হলে ৬০ শতাংশ কমানো প্রয়োজন। তাই, তাঁর ভাষায়, ‘লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম এখন অবশ্যম্ভাবী।’
তবুও তিনি আশাহত নন। তাঁর মতে, পৃথিবী হয়তো সাময়িকভাবে ১.৫ ডিগ্রির সীমা অতিক্রম করবে, তবে যদি এখনই দিক পরিবর্তন করা যায়, তাহলে শতাব্দীর শেষে তাপমাত্রা আবার সেই সীমায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য কপ-৩০ এবং এর পরের পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গুতেরেস সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানান—জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে প্রতিনিধিত্বের ভারসাম্য আনতে হবে, যাতে কর্পোরেট লবিস্টদের চেয়ে নাগরিক সমাজ, বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমরা সবাই জানি কর্পোরেট লবিস্টরা কী চায়—তারা শুধু তাদের মুনাফা বাড়াতে চায়, আর তার মূল্য দিতে হয় পুরো মানবজাতিকে।’
গুতেরেস বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসা এখন অর্থনৈতিক স্বার্থেরও বিষয়। কারণ স্পষ্ট হয়ে গেছে—এই জ্বালানির যুগ এখন শেষের পথে। তার ভাষায়, ‘আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির এক বিপ্লব দেখছি এবং এই পরিবর্তন অনিবার্যভাবে ত্বরান্বিত হবে। আবিষ্কৃত সমস্ত তেল-গ্যাসও মানবজাতি ব্যবহার করতে পারবে না।’
গুতেরসেকে প্রশ্ন করা হয়, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে তিনি এই বিষয়ে কথা বলেছেন কি না, যার সরকার সম্প্রতি অ্যামাজনের মুখের কাছে তেল অনুসন্ধানের অনুমোদন দিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘এখনও না। আমি কপ সম্মেলনের সুযোগে তা করব।’
কপ-৩০ সম্মেলনে ব্রাজিলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হবে ‘ট্রপিকাল ফরেস্টস ফরএভার ফ্যাসিলিটি’। এই প্রকল্পের লক্ষ্য ১২৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা, যা ব্যবহার হবে বন সংরক্ষণের জন্য। বরাদ্দ অর্থের এক-পঞ্চমাংশ সরাসরি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে যাবে, যাদের এলাকায় বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য এবং কার্যকর কার্বন শোষণ ব্যবস্থা রয়েছে।
গুতেরেস বারবার জোর দিয়ে বলেন, কপ-৩০-এ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই প্রথম কোনো আদিবাসী সাংবাদিক—সুমাউমার ওয়াজা শিপাই, যিনি শিপাই জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি—জাতিসংঘ মহাসচিবের একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতির সেরা অভিভাবকরা হলেন আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তাই তাদের মধ্যে বিনিয়োগ করাই সবচেয়ে জরুরি।’
গুতেরেস আরও বলেন, বিশ্বনেতাদের উচিত আদিবাসীদের কাছ থেকে শেখা—কীভাবে প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। তারা ভাষায়, ‘রাজনৈতিক নেতারা প্রায়ই দৈনন্দিন অর্থনৈতিক বা সামাজিক সমস্যায় ব্যস্ত থাকেন। জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের কারণে তারা অনেক সময় প্রকৃতির সঙ্গে সুষম সম্পর্কের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন না। তাই রাজনৈতিক নেতাদের ক্রমাগত শিক্ষা দিতে হবে, আর এই শিক্ষার জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের চেয়ে যোগ্য কেউ নেই।
বৈশ্বিক পরিবেশ প্রশাসনব্যবস্থা নিয়ে কপ সম্মেলনের ওপর চাপ বাড়লেও, গুতেরেস বলেন এই ব্যবস্থার বিকল্প কিছু নেই। বিকল্প হলো একপ্রকার ‘যার যা খুশি’ অবস্থা। আর আমরা জানি, তাতে কী ঘটে। এতে একদল ধনী ব্যক্তি ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে, অথচ বন্যা ও দুর্যোগে কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ধনীরা রক্ষা পাবে, কিন্তু পৃথিবী ধ্বংসের পথে এগিয়ে যাবে।
আগামী বছর জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে গুতেরেসের শেষ বছর। নিজের নয় বছরের মেয়াদ পর্যালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল জলবায়ু ও প্রকৃতি নিয়ে আরও আগে মনোযোগ দিতে। তবে এখন এটি আমার প্রধান অগ্রাধিকার।’ তিনি দৃঢ়ভাবে যোগ করেন, ‘আমি কখনও হাল ছাড়ব না—জলবায়ু কার্যক্রম, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং বিশ্বজুড়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকার থেকে। কারণ আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো আমাদের ‘মা প্রকৃতি’।’
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
.png)

হামাস আরও এক মৃত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলকে হস্তান্তর করেছে। সোমবার পর্যন্ত মোট ১৬ জন জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া হলো। এর কয়েক ঘণ্টা আগে দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত হন। গাজায় যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি এখনো নাজুক বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
এই চুক্তির লক্ষ্য হলো চীনের ওপর নির্ভরতা কমানো এবং উভয় দেশের শিল্পক্ষেত্রে এসব কাঁচামালের সরবরাহ নিরাপদ করা।
১৮ ঘণ্টা আগে
চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান তাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নতুনভাবে জোরদার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্য ক্রমেই বাড়ছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’ আজ (২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার) সন্ধ্যার দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে বিশেষ কোনো বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না।
১৯ ঘণ্টা আগে