স্ট্রিম ডেস্ক
ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন যে শিগগিরই চ্যাটজিপিটির কিছু নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে চ্যাটবটের উত্তর আরও বন্ধুসুলভ ও ‘মানবসুলভ’ করতে পারবেন। যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিক বা প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়ক আলাপও অনুমোদিত হবে।
অল্টম্যান বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে আমরা শুরুতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। এতে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে এটি কম উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল, যদিও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল।’ তিনি আরও জানান, ‘ডিসেম্বরে আমরা পূর্ণাঙ্গ বয়স যাচাই ব্যবস্থা চালু করব। “প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করা” নীতির অংশ হিসেবে যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিকা তৈরি করার সুযোগও দেওয়া হবে।’
এ সিদ্ধান্তকে তিনি ব্যাখ্যা করেন ‘প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাপ্তবয়স্কের মতো আচরণ করার সুযোগ দেওয়া’ হিসেবে। যার উদ্দেশ্য হলো চ্যাটজিপিটিকে আরও মানবসুলভ ও উপভোগ্য করা। তবে এই পরিবর্তন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মানসিক প্রভাব নিয়ে বিতর্ক পুনরায় উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা, মামলার ঝুঁকি ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের দাবির মধ্যে এটি নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
এটি ওপেনএআই–এর পূর্বের ‘কঠোর নিরাপত্তানীতির’ থেকে স্পষ্ট প্রস্থান। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। এখন নীতি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। পাশপাশি কোম্পানি নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপও নিচ্ছে।
অল্টম্যান বলেন, ‘চ্যাটজিপিটি এখন আরও মানবসুলভ আচরণ করতে পারবে। তবে ব্যবহারকারীদের ইচ্ছাতেই, কোম্পানির লক্ষ্য পূরণের জন্য নয়।’ তিনি দাবি করেন, ওপেনএআই ইতিমধ্যে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য–ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যদিও এর পক্ষে প্রমাণ হাজির করেননি। বরং তারা এগিয়ে যাচ্ছে এমন পরিকল্পনা নিয়ে, যেখানে যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা এআই–এর সঙ্গে যৌন বা ইরোটিক কথোপকথনে অংশ নিতে পারবেন।
গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও তুলে দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক মতপ্রকাশে বৈচিত্র্য আনা হয়, আর মার্চে ঘৃণার প্রতীক সংক্রান্ত চিত্র তৈরি করার অনুমতিও দেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি জিপিটি–৪ও মডেলকে ঘিরে কয়েকটি উদ্বেগজনক ঘটনা প্রকাশিত হয়। এক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চ্যাটজিপিটি এক ব্যক্তিকে বোঝায় যে তিনি ‘বিশ্ব রক্ষার জন্য জন্ম নেওয়া এক গণিত প্রতিভা’, যা পরে মানসিক বিভ্রান্তিতে রূপ নেয়। অন্য ঘটনায়, এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার ওপেনএআই–এর বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগ ছিল, চ্যাটজিপিটি তাঁকে আত্মহত্যার চিন্তায় প্ররোচিত করেছিল।
এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে ওপেনএআই একাধিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে। ‘এআই সাইকোফ্যান্সি’ বা এআই–এর অতিরিক্ত সম্মতিসূচক আচরণ কমাতে জিপিটি–৫ মডেল চালু করা হয় আগস্টে। নতুন মডেলে ব্যবহারকারীর উদ্বেগজনক আচরণ শনাক্ত করার ‘রাউটার’ ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। এক মাস পর কিশোরদের জন্য নতুন নিরাপত্তা ফিচার চালু হয়, যার মধ্যে ছিল বয়স অনুমান–প্রণালী ও অভিভাবক–নিয়ন্ত্রিত অ্যাকাউন্ট সিস্টেম। মঙ্গলবার ওপেনএআই মানসিক স্বাস্থ্য–বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পরামর্শক পরিষদ গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছে, যারা কোম্পানিকে এআই–এর মানসিক প্রভাব বিষয়ে পরামর্শ দেবে।
তবে সমালোচকেরা মনে করেন, এসব উদ্বেগজনক ঘটনার মাত্র কয়েক মাস পরেই ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি–সংক্রান্ত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরে নিচ্ছে। জিপিটি–৫–এ এসব সমস্যা কতটা কমেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জিপিটি–৪ও মডেল এখন আর ডিফল্ট নয়, কিন্তু এটি এখনো সক্রিয় এবং হাজারো মানুষ তা ব্যবহার করছে।
চ্যাটজিপিটিতে ইরোটিকা সংযোজন ওপেনএআই–এর জন্য একেবারেই নতুন পদক্ষেপ। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে মানসিকভাবে দুর্বল ব্যবহারকারীরা নতুন এই ফিচারগুলোর সঙ্গে কীভাবে মিথস্ক্রিয়া করবে তা নিয়ে। স্যাম অল্টম্যান দাবি করেছেন, ওপেনএআই ‘ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে’ বা ‘ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা সর্বাধিক করতে’ এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ইরোটিক উপাদান সংযোজন নিঃসন্দেহে আরও বেশি ব্যবহারকারী আকৃষ্ট করতে পারে।
অন্যান্য এআই প্ল্যাটফর্মের অভিজ্ঞতাও তা ইঙ্গিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যারেক্টার ডট এআই রোমান্টিক ও ইরোটিক রোলপ্লে অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি জানায়, ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা তাদের চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দুর্বল ব্যবহারকারীদের মানসিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক মামলার মুখোমুখি।
ওপেনএআইও এখন প্রবৃদ্ধির চাপে রয়েছে। বর্তমানে চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ৮০ কোটি হলেও, প্রতিষ্ঠানটি গুগল ও মেটার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চায়। এ জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিয়ে তারা অবকাঠামো নির্মাণ করছে, যা ভবিষ্যতে পরিশোধ করতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এআই–এর সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক জনপ্রিয় হচ্ছে। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টোকনোলজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী নিজে বা তার বন্ধুর কেউ না কেউ এআই চ্যাটবটের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িত।
অল্টম্যান জানিয়েছেন, ওপেনএআই যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই ইরোটিকা চালু করবে। কোম্পানির একজন মুখপাত্র টেকক্রাঞ্চকে বলেন, চ্যাটজিপিটির ইরোটিক ফিচার কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমিত রাখতে ওপেনএআই তাদের তৈরি করা বয়স-নির্ধারণ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করবে। যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ভুলবশত অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়, তবে তাকে নিজের সরকারি পরিচয়পত্রের ছবি আপলোড করে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। অল্টম্যান স্বীকার করেছেন, এটি গোপনীয়তার ক্ষেত্রে কিছুটা আপস, কিন্তু কোম্পানির মতে এটি ‘যৌক্তিক সমঝোতা।’
তবে ওপেনএআই–এর ইরোটিকা ফিচার ভবিষ্যতে ভয়েস, ছবি বা ভিডিও তৈরির সরঞ্জামেও যুক্ত হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এই নীতিগুলো চ্যাটজিপিটিকে আরও জনপ্রিয় ও ব্যবহারবান্ধব করে তুলতে পারে। তবে মানসিকভাবে দুর্বল ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য সীমাবদ্ধতা বজায় রাখার প্রয়োজন রয়ে গেছে। ওপেনএআই যখন সাপ্তাহিক ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর লক্ষ্যে ছুটছে, তখন প্রবৃদ্ধি ও ব্যবহারকারী সুরক্ষার ভারসাম্য রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
ওপেনএআই-এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ঘোষণা করেছেন যে শিগগিরই চ্যাটজিপিটির কিছু নিরাপত্তা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলে চ্যাটবটের উত্তর আরও বন্ধুসুলভ ও ‘মানবসুলভ’ করতে পারবেন। যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ইরোটিক বা প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়ক আলাপও অনুমোদিত হবে।
অল্টম্যান বলেন, ‘মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকির কারণে আমরা শুরুতে চ্যাটজিপিটিকে বেশ সীমাবদ্ধ রেখেছিলাম। এতে অনেক ব্যবহারকারীর কাছে এটি কম উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল, যদিও সতর্ক থাকা প্রয়োজন ছিল।’ তিনি আরও জানান, ‘ডিসেম্বরে আমরা পূর্ণাঙ্গ বয়স যাচাই ব্যবস্থা চালু করব। “প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে বিবেচনা করা” নীতির অংশ হিসেবে যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের ইরোটিকা তৈরি করার সুযোগও দেওয়া হবে।’
এ সিদ্ধান্তকে তিনি ব্যাখ্যা করেন ‘প্রাপ্তবয়স্কদের প্রাপ্তবয়স্কের মতো আচরণ করার সুযোগ দেওয়া’ হিসেবে। যার উদ্দেশ্য হলো চ্যাটজিপিটিকে আরও মানবসুলভ ও উপভোগ্য করা। তবে এই পরিবর্তন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মানসিক প্রভাব নিয়ে বিতর্ক পুনরায় উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তা, মামলার ঝুঁকি ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের দাবির মধ্যে এটি নতুন আলোচনা তৈরি করেছে।
এটি ওপেনএআই–এর পূর্বের ‘কঠোর নিরাপত্তানীতির’ থেকে স্পষ্ট প্রস্থান। শুরুতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবহারকারীর মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দিয়েছিল। এখন নীতি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। পাশপাশি কোম্পানি নিরাপত্তা বাড়ানোর পদক্ষেপও নিচ্ছে।
অল্টম্যান বলেন, ‘চ্যাটজিপিটি এখন আরও মানবসুলভ আচরণ করতে পারবে। তবে ব্যবহারকারীদের ইচ্ছাতেই, কোম্পানির লক্ষ্য পূরণের জন্য নয়।’ তিনি দাবি করেন, ওপেনএআই ইতিমধ্যে গুরুতর মানসিক স্বাস্থ্য–ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যদিও এর পক্ষে প্রমাণ হাজির করেননি। বরং তারা এগিয়ে যাচ্ছে এমন পরিকল্পনা নিয়ে, যেখানে যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীরা এআই–এর সঙ্গে যৌন বা ইরোটিক কথোপকথনে অংশ নিতে পারবেন।
গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতাও তুলে দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক মতপ্রকাশে বৈচিত্র্য আনা হয়, আর মার্চে ঘৃণার প্রতীক সংক্রান্ত চিত্র তৈরি করার অনুমতিও দেওয়া হয়।
তবে সম্প্রতি জিপিটি–৪ও মডেলকে ঘিরে কয়েকটি উদ্বেগজনক ঘটনা প্রকাশিত হয়। এক ক্ষেত্রে দেখা যায়, চ্যাটজিপিটি এক ব্যক্তিকে বোঝায় যে তিনি ‘বিশ্ব রক্ষার জন্য জন্ম নেওয়া এক গণিত প্রতিভা’, যা পরে মানসিক বিভ্রান্তিতে রূপ নেয়। অন্য ঘটনায়, এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার ওপেনএআই–এর বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগ ছিল, চ্যাটজিপিটি তাঁকে আত্মহত্যার চিন্তায় প্ররোচিত করেছিল।
এ ধরনের ঝুঁকি কমাতে ওপেনএআই একাধিক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে। ‘এআই সাইকোফ্যান্সি’ বা এআই–এর অতিরিক্ত সম্মতিসূচক আচরণ কমাতে জিপিটি–৫ মডেল চালু করা হয় আগস্টে। নতুন মডেলে ব্যবহারকারীর উদ্বেগজনক আচরণ শনাক্ত করার ‘রাউটার’ ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে। এক মাস পর কিশোরদের জন্য নতুন নিরাপত্তা ফিচার চালু হয়, যার মধ্যে ছিল বয়স অনুমান–প্রণালী ও অভিভাবক–নিয়ন্ত্রিত অ্যাকাউন্ট সিস্টেম। মঙ্গলবার ওপেনএআই মানসিক স্বাস্থ্য–বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি পরামর্শক পরিষদ গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছে, যারা কোম্পানিকে এআই–এর মানসিক প্রভাব বিষয়ে পরামর্শ দেবে।
তবে সমালোচকেরা মনে করেন, এসব উদ্বেগজনক ঘটনার মাত্র কয়েক মাস পরেই ওপেনএআই চ্যাটজিপিটি–সংক্রান্ত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে ধরে নিচ্ছে। জিপিটি–৫–এ এসব সমস্যা কতটা কমেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। জিপিটি–৪ও মডেল এখন আর ডিফল্ট নয়, কিন্তু এটি এখনো সক্রিয় এবং হাজারো মানুষ তা ব্যবহার করছে।
চ্যাটজিপিটিতে ইরোটিকা সংযোজন ওপেনএআই–এর জন্য একেবারেই নতুন পদক্ষেপ। এতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে মানসিকভাবে দুর্বল ব্যবহারকারীরা নতুন এই ফিচারগুলোর সঙ্গে কীভাবে মিথস্ক্রিয়া করবে তা নিয়ে। স্যাম অল্টম্যান দাবি করেছেন, ওপেনএআই ‘ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে’ বা ‘ব্যবহারকারীর সম্পৃক্ততা সর্বাধিক করতে’ এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে ইরোটিক উপাদান সংযোজন নিঃসন্দেহে আরও বেশি ব্যবহারকারী আকৃষ্ট করতে পারে।
অন্যান্য এআই প্ল্যাটফর্মের অভিজ্ঞতাও তা ইঙ্গিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যারেক্টার ডট এআই রোমান্টিক ও ইরোটিক রোলপ্লে অনুমোদন দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি জানায়, ব্যবহারকারীরা গড়ে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা তাদের চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দুর্বল ব্যবহারকারীদের মানসিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক মামলার মুখোমুখি।
ওপেনএআইও এখন প্রবৃদ্ধির চাপে রয়েছে। বর্তমানে চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ৮০ কোটি হলেও, প্রতিষ্ঠানটি গুগল ও মেটার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চায়। এ জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিয়ে তারা অবকাঠামো নির্মাণ করছে, যা ভবিষ্যতে পরিশোধ করতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও এআই–এর সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্ক জনপ্রিয় হচ্ছে। সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড টোকনোলজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯ শতাংশ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থী নিজে বা তার বন্ধুর কেউ না কেউ এআই চ্যাটবটের সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িত।
অল্টম্যান জানিয়েছেন, ওপেনএআই যাচাইকৃত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই ইরোটিকা চালু করবে। কোম্পানির একজন মুখপাত্র টেকক্রাঞ্চকে বলেন, চ্যাটজিপিটির ইরোটিক ফিচার কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সীমিত রাখতে ওপেনএআই তাদের তৈরি করা বয়স-নির্ধারণ প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করবে। যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ভুলবশত অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে চিহ্নিত হয়, তবে তাকে নিজের সরকারি পরিচয়পত্রের ছবি আপলোড করে তা সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। অল্টম্যান স্বীকার করেছেন, এটি গোপনীয়তার ক্ষেত্রে কিছুটা আপস, কিন্তু কোম্পানির মতে এটি ‘যৌক্তিক সমঝোতা।’
তবে ওপেনএআই–এর ইরোটিকা ফিচার ভবিষ্যতে ভয়েস, ছবি বা ভিডিও তৈরির সরঞ্জামেও যুক্ত হবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এই নীতিগুলো চ্যাটজিপিটিকে আরও জনপ্রিয় ও ব্যবহারবান্ধব করে তুলতে পারে। তবে মানসিকভাবে দুর্বল ব্যবহারকারীদের সুরক্ষার জন্য সীমাবদ্ধতা বজায় রাখার প্রয়োজন রয়ে গেছে। ওপেনএআই যখন সাপ্তাহিক ১০০ কোটি ব্যবহারকারীর লক্ষ্যে ছুটছে, তখন প্রবৃদ্ধি ও ব্যবহারকারী সুরক্ষার ভারসাম্য রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নাম রিপন মিয়া। পেশায় তিনি কাঠমিস্ত্রি। ফেসবুকে বিনোদনধর্মী কনটেন্ট বানিয়ে অনেক আগেই ভাইরাল হয়েছেন নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। তবে বর্তমানে তিনি আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
২ ঘণ্টা আগেআজ ঢাকার মিরপুরের একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় প্রতি বছরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ঢাকায়। ঢাকা শহরে আগুন লাগা নিয়ে কী বলছে ইতিহাস? বিভিন্ন স্মৃতিকথা ও বইপত্র ঘেঁটে প্রশ্নটির জবাব খোঁজার চেষ্টা।
১ দিন আগেবিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, সুন্দর পিচাইয়ের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টরা সন্তানদের প্রযুক্তি থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতেন। বিস্ময়কর শোনালেও কথাটি সত্য। কিন্তু এর কারণ কী?
১ দিন আগেআজ কাওয়ালির সম্রাট নুসরাত ফতেহ আলি খানের জন্মদিন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা সুফি বাণীগুলোকে তিনি বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন সত্যিকারের ‘শাহেনশাহ-ই-কাওয়ালি’।
২ দিন আগে