ফিচার ফোন
শতাব্দীকা ঊর্মি
একদল রেডিট-ভিত্তিক ‘কাল্ট’ স্রেফ খেয়ালের বশে স্মার্টফোন বর্জন করছে, এমনই ধারণা ছিলো অনেকের। কিন্তু এটা শুধু 'ধারণা' নয়, বাস্তবতা। এই মুহূর্তে ফিচার ফোন বা ‘ডাম্ব ফোন’-এর উৎপাদন হু হু করে বাড়ছে।
সহজভাবে বললে ‘ডাম্ব ফোন’ এমন একধরনের মোবাইল ফোন, যার ফিচার সীমিত। এতে কল করা যায়, এসএমএস পাঠানো যায়। হয়তো একটা-দুটি ‘রেট্রো’ গেম খেলা যায়। সহজ-সরল ও কম আসক্তির এক ফোন।
ডিজিটাল বাস্তবতায় মুখের কথাও অ্যালগরিদমের কারসাজিতে বিজ্ঞাপন আকারে ফিরে আসে। সেখানে স্মার্টফোন বর্জন না করাও যেন এক সংকট। এমন একটি ডিভাইস থেকে মুক্তির পথ হিসেবে এই ডাম্ব ফোন বানানো হয়েছে, যা মনোযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। যেহেতু মনোযোগ আজকের দিনে বিরল এক সম্পদ।
তবে অনেকেই স্মার্টফোন বর্জনের পথ বেছে নিচ্ছেন। আরও পরিপূর্ণ, সামাজিক ও উৎপাদনমুখী জীবন পাওয়ার আশায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত স্ক্রলিং বা 'ডুমস্ক্রলিং'-এর সঙ্গে এডিএইচডির উপসর্গ, অবসাদ, উদ্বেগ এবং ঘুমের ঘাটতির সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, স্মার্টফোনে আসক্তি শিশুর ভাষার বিকাশে দেরিতে হচ্ছে। আজকাল শিশুরা কথা বলার আগেই স্ক্রিনে আঙুল চালাতে শিখছে।
অনেকে কাজের সুবিধার জন্যও এখন ‘ডাম্ব ফোন’ বেছে নিচ্ছেন। এই ফোনগুলো বহন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ আর একবার চার্জ দিলে ব্যাটারি চলে দিনের পর দিন। ডাম্ব ফোনে সাধারণত মেরামতের খরচও থাকে না বা থাকলেও খুবই কম। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এগুলো ছিনতাইকারীদের নজরও কাড়ে না।
সবাই প্রতিবছর নতুন ফোন কেনার সামর্থ্য রাখেন না। আর অনেকেই জানাচ্ছেন তাঁরা স্মার্টফোন ছেড়েছেন এমন একটা অদ্ভুত কিছুকে বেছে নেওয়ার জন্য, যার নাম ‘জয় অব মিসিং আউট’। কেউ কেউ আবার চান এমন ফোন, যা শুধু দীর্ঘদিন টিকে থাকে। আর স্মার্টফোন তো টেকসই হওয়ার জন্য বিখ্যাত নয় বরং তার উল্টো।
তবে এই আকর্ষণ শুধু ব্যবহারিক কারণেই নয়। এতে জড়িয়ে আছে একধরনের আবেগ, পুরনো দিনের জন্য নস্টালজিয়া। স্মার্টফোন যুগের আগের সরল সময়ের স্মৃতি নোকিয়া ফিচার ফোনে ‘স্নেক’ খেলার আনন্দ। স্মৃতির এই রোমাঞ্চ ভ্রমণের জন্য মানুষ কত কিছুই না করে।
মার্কিন লেখক ক্যাল নিউপোর্ট তাঁর বই ‘ডিপ ওয়ার্ক’-এ বলেছেন, ‘আপনি যখনই ফোন চেক করেন, এমনকি এক সেকেন্ডের জন্য হলেও আপনার মস্তিষ্ক তখন নিজের মনোযোগের একটা অংশ রেখে আসে। ফলে ফোনে চোখ দেওয়ার পর আবার সম্পূর্ণ মনোযোগ ফিরে পেতে আপনার মিনিটের পর মিনিট, এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও লেগে যেতে পারে।’
এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় কেন গবেষকেরা বলছেন, প্রতিদিন নিজের অজান্তেই স্ক্রল করার ফলে বছরে প্রায় ৩৭ দিন নষ্ট করে হয়, যা পুরো জীবনের হিসেবে ৭ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
যে সময়টা স্মার্টফোনে কাটানো হয়, সেটাই অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে ব্যয় করা যেত। যে তালিকায় থাকে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলা, ঘরের কাজে সাহায্য করা, শরীরচর্চা বা কোনো দক্ষতা উন্নত করা, নতুন কিছু শেখা।
তবে অফলাইন জীবনের সবকিছুই যে খুব সুন্দর আর ঝকঝকে, তা নয়। অনেকেই বলছেন, যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য এই পৃথিবী দিন দিন যেন আরও বৈরী হয়ে উঠছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন দাওয়াত, ক্লাসের নোটিশ, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এমনকি চাকরির সুযোগ পর্যন্ত মিস করে ফেলছে তারা। কেউ কেউ হয়তো এমন প্রশ্নও তুলতেই পারে, ‘জিপিএস ছাড়া আমি পথ চিনব কীভাবে?’
মনে রাখা দরকার, একসময় স্মার্টফোন ছিলই না। তখনো মানুষ ঠিকই পথ চিনত, জীবন চালাত। প্রয়োজন পুরোনো দিনে ফিরে যাওয়ার সাহস–এটা হতে পারে প্রতিদিনের জীবনকে নতুনভাবে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ।
একদল রেডিট-ভিত্তিক ‘কাল্ট’ স্রেফ খেয়ালের বশে স্মার্টফোন বর্জন করছে, এমনই ধারণা ছিলো অনেকের। কিন্তু এটা শুধু 'ধারণা' নয়, বাস্তবতা। এই মুহূর্তে ফিচার ফোন বা ‘ডাম্ব ফোন’-এর উৎপাদন হু হু করে বাড়ছে।
সহজভাবে বললে ‘ডাম্ব ফোন’ এমন একধরনের মোবাইল ফোন, যার ফিচার সীমিত। এতে কল করা যায়, এসএমএস পাঠানো যায়। হয়তো একটা-দুটি ‘রেট্রো’ গেম খেলা যায়। সহজ-সরল ও কম আসক্তির এক ফোন।
ডিজিটাল বাস্তবতায় মুখের কথাও অ্যালগরিদমের কারসাজিতে বিজ্ঞাপন আকারে ফিরে আসে। সেখানে স্মার্টফোন বর্জন না করাও যেন এক সংকট। এমন একটি ডিভাইস থেকে মুক্তির পথ হিসেবে এই ডাম্ব ফোন বানানো হয়েছে, যা মনোযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। যেহেতু মনোযোগ আজকের দিনে বিরল এক সম্পদ।
তবে অনেকেই স্মার্টফোন বর্জনের পথ বেছে নিচ্ছেন। আরও পরিপূর্ণ, সামাজিক ও উৎপাদনমুখী জীবন পাওয়ার আশায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অতিরিক্ত স্ক্রলিং বা 'ডুমস্ক্রলিং'-এর সঙ্গে এডিএইচডির উপসর্গ, অবসাদ, উদ্বেগ এবং ঘুমের ঘাটতির সম্ভাব্য যোগসূত্র রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, স্মার্টফোনে আসক্তি শিশুর ভাষার বিকাশে দেরিতে হচ্ছে। আজকাল শিশুরা কথা বলার আগেই স্ক্রিনে আঙুল চালাতে শিখছে।
অনেকে কাজের সুবিধার জন্যও এখন ‘ডাম্ব ফোন’ বেছে নিচ্ছেন। এই ফোনগুলো বহন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজ আর একবার চার্জ দিলে ব্যাটারি চলে দিনের পর দিন। ডাম্ব ফোনে সাধারণত মেরামতের খরচও থাকে না বা থাকলেও খুবই কম। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এগুলো ছিনতাইকারীদের নজরও কাড়ে না।
সবাই প্রতিবছর নতুন ফোন কেনার সামর্থ্য রাখেন না। আর অনেকেই জানাচ্ছেন তাঁরা স্মার্টফোন ছেড়েছেন এমন একটা অদ্ভুত কিছুকে বেছে নেওয়ার জন্য, যার নাম ‘জয় অব মিসিং আউট’। কেউ কেউ আবার চান এমন ফোন, যা শুধু দীর্ঘদিন টিকে থাকে। আর স্মার্টফোন তো টেকসই হওয়ার জন্য বিখ্যাত নয় বরং তার উল্টো।
তবে এই আকর্ষণ শুধু ব্যবহারিক কারণেই নয়। এতে জড়িয়ে আছে একধরনের আবেগ, পুরনো দিনের জন্য নস্টালজিয়া। স্মার্টফোন যুগের আগের সরল সময়ের স্মৃতি নোকিয়া ফিচার ফোনে ‘স্নেক’ খেলার আনন্দ। স্মৃতির এই রোমাঞ্চ ভ্রমণের জন্য মানুষ কত কিছুই না করে।
মার্কিন লেখক ক্যাল নিউপোর্ট তাঁর বই ‘ডিপ ওয়ার্ক’-এ বলেছেন, ‘আপনি যখনই ফোন চেক করেন, এমনকি এক সেকেন্ডের জন্য হলেও আপনার মস্তিষ্ক তখন নিজের মনোযোগের একটা অংশ রেখে আসে। ফলে ফোনে চোখ দেওয়ার পর আবার সম্পূর্ণ মনোযোগ ফিরে পেতে আপনার মিনিটের পর মিনিট, এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টাও লেগে যেতে পারে।’
এ থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় কেন গবেষকেরা বলছেন, প্রতিদিন নিজের অজান্তেই স্ক্রল করার ফলে বছরে প্রায় ৩৭ দিন নষ্ট করে হয়, যা পুরো জীবনের হিসেবে ৭ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
যে সময়টা স্মার্টফোনে কাটানো হয়, সেটাই অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে ব্যয় করা যেত। যে তালিকায় থাকে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলা, ঘরের কাজে সাহায্য করা, শরীরচর্চা বা কোনো দক্ষতা উন্নত করা, নতুন কিছু শেখা।
তবে অফলাইন জীবনের সবকিছুই যে খুব সুন্দর আর ঝকঝকে, তা নয়। অনেকেই বলছেন, যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য এই পৃথিবী দিন দিন যেন আরও বৈরী হয়ে উঠছে। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন দাওয়াত, ক্লাসের নোটিশ, গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এমনকি চাকরির সুযোগ পর্যন্ত মিস করে ফেলছে তারা। কেউ কেউ হয়তো এমন প্রশ্নও তুলতেই পারে, ‘জিপিএস ছাড়া আমি পথ চিনব কীভাবে?’
মনে রাখা দরকার, একসময় স্মার্টফোন ছিলই না। তখনো মানুষ ঠিকই পথ চিনত, জীবন চালাত। প্রয়োজন পুরোনো দিনে ফিরে যাওয়ার সাহস–এটা হতে পারে প্রতিদিনের জীবনকে নতুনভাবে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ।
সম্প্রতি মাহফুজ আলম থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের সংবাদমাধ্যম ‘কনটেক্সট নিউজ’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি জুলাই অভ্যুত্থানসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন। মো. তাহমিদ জামি’র নেওয়া সাক্ষাৎকারটি স্ট্রিম পাঠকদের জন্য অনূদিত হল।
১৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন রিডার’স ডাইজেস্ট এমনই ১০টি বইয়ের তালিকা তৈরি করেছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এই তালিকায় বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বইটির নামও আছে।
১ দিন আগেজয়া না বিপাশা– কে বেশি সুন্দর? দুই দিন ধরে ফেসবুকীয় বাহাসের শীর্ষে এই প্রশ্ন। শুনে মনে হতে পারে সালটা ২০০৪। যেখানে সদ্য গোঁফ-গজানো দুই কিশোর সিডির দোকানের বাইরে এই তর্কে-বিতর্কে মশগুল।
২ দিন আগে১৯৫০ সাল। মাত্র ২১ বছর বয়স তখন কিশোর কুমারের। বছর চারেক আগেই আভাস কুমার গাঙ্গুলী নাম পাল্টে হয়েছেন ‘কিশোর কুমার’। গায়ক হিসেবে তেমন পরিচিত নন তখনও। তাঁর দাদা অশোক কুমার সে সময় হিন্দি সিনেমার আইকনিক অভিনেতা। অশোকের ছোট ভাই হিসেবেই মানুষ তাঁকে চেনে।
২ দিন আগে