শতবর্ষেও যিনি দৃঢ়, সচল ও প্রভাবশালী—মাহাথির মোহাম্মদের দীর্ঘ জীবনের পেছনে কী আছে? এই লেখায় উঠে এসেছে তার জীবনদর্শন, স্বাস্থ্যচর্চা, শৃঙ্খলা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অভ্যাস, যা তাকে শুধু রাজনীতির মঞ্চেই নয়, দীর্ঘায়ু জীবনযাপনেও কিংবদন্তি করে তুলেছে।
স্ট্রিম ডেস্ক
মাহাথির মোহাম্মদ এশিয়ার অন্যতম আলোচিত নেতা। মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয় ‘আধুনিক’ মালয়েশিয়ার স্থপতি। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আরও একদফা সামলেছেন মালয়েশিয়ার মসনদ। সব মিলিয়ে তিনিই এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রনায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের রোনাল্ড রেগান, যুক্তরাজ্যের মার্গারেট থ্যাচার, সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ এবং চীনের দেং শিয়াওপিংইয়ের মতো অবিসংবাদিত নেতারা ছিলেন আশির দশকে তাঁর ঘনিষ্ঠজন। প্রত্যেকেই নিজ দেশকে অর্থনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাহাথিরও রাজনৈতিক জীবনে দেশ ও জাতির নানা রূপান্তর ঘটিয়েছেন। তবে, অন্যান্য কিংবদন্তীদের সঙ্গে তাঁর বিশেষত্বের ভিন্নতা ছিল একটিমাত্র জায়গায়—জীবনযাপনে।
পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবন
১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন মাহাথির। তিনি যখন বড় হচ্ছিলেন, মালয়েশিয়া তখন ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মাহথিরের মধ্যে ছিল প্রবল পড়াশোনার আগ্রহ। মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৫৩ সালে মাহাথির সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে নিজ শহরে প্রাইভেট ক্লিনিক চালু করেন। চিকিৎসক হিসেবে তাঁর কাজের ধরন ছিল অত্যন্ত যত্নশীল ও মানবিক। তিনি রোগীদের বাড়িতে গিয়ে সেবা দিতেন এবং ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও করতেন। ক্লিনিকে কাজ করার সময় দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের হাহাকার দেখে তিনি ধীরে ধীরে আকৃষ্ট হতে থাকেন রাজনীতির প্রতি। পরে ১৯৬৪ সালে মাহাথির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে কাজ চালিয়ে যান।
১৯৬৪ সালে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইউনাইটেড মালয়েজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও)-এর টিকিটে। তবে ১৯৬৯ সালে জাতিগত দাঙ্গা নিয়ে তাঁর প্রকাশ্য সমালোচনার জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর ১৯৭০-এর দশকে আবার রাজনীতিতে ফিরে এসে হন শিক্ষামন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অবশেষে ১৯৮১ সালে হন মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।
ব্যালান্সড জীবনযাপন
মাহাথির মোহাম্মদ ধূমপান করেন না। এমনকি ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে মদও পান করেন না। তিনি সব সময় শৃঙ্খলা ও নিয়ম মেনে চলাকে গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করতেন মানুষের অঙ্গভঙ্গি মিলিটারি অফিসারের মতো দৃঢ় হওয়া উচিত।
এক শ বছর বয়সেও মাহাথির মোহাম্মদ প্রায় সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপন করছেন। তিনি মনে করেন দীর্ঘায়ুর জন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা অপরিহার্য। ২০২০ সালেও তাঁর ব্লাড প্রেসার ছিল স্বাভাবিক। তাই তিনি এ বয়সে তিনি নিয়মিত কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন।
ব্যক্তিজীবনে মাহাথির একজন পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপ্রিয় মানুষ। নিজের কর্মীদেরও তিনি সময়ের মূল্য অনুভব করতে এবং শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দিতেন। তাঁর কর্মস্পৃহা ও উদ্যম অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল।
মাহাথির মোহাম্মদের জীবনযাপন এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে যেখানে পরিশ্রম, শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দেশের প্রতি নিবেদন একীভূত হয়ে আছে।
মালয়েশিয়াকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পেছনে যেমন গুরুত্বপুর্ণ ছিল তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তেমনি দীর্ঘকাল কর্মঠ থাকার পেছনেও বিশেষভাবে উঠে আসে তাঁর শৃঙ্খল জীবনযাপন।
মাহাথির মোহাম্মদ এশিয়ার অন্যতম আলোচিত নেতা। মালয়েশিয়ার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয় ‘আধুনিক’ মালয়েশিয়ার স্থপতি। ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আরও একদফা সামলেছেন মালয়েশিয়ার মসনদ। সব মিলিয়ে তিনিই এশিয়ায় সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রনায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের রোনাল্ড রেগান, যুক্তরাজ্যের মার্গারেট থ্যাচার, সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ এবং চীনের দেং শিয়াওপিংইয়ের মতো অবিসংবাদিত নেতারা ছিলেন আশির দশকে তাঁর ঘনিষ্ঠজন। প্রত্যেকেই নিজ দেশকে অর্থনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। মাহাথিরও রাজনৈতিক জীবনে দেশ ও জাতির নানা রূপান্তর ঘটিয়েছেন। তবে, অন্যান্য কিংবদন্তীদের সঙ্গে তাঁর বিশেষত্বের ভিন্নতা ছিল একটিমাত্র জায়গায়—জীবনযাপনে।
পারিবারিক ও রাজনৈতিক জীবন
১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন মাহাথির। তিনি যখন বড় হচ্ছিলেন, মালয়েশিয়া তখন ব্রিটিশ উপনিবেশের অংশ। দরিদ্র পরিবারের সন্তান মাহথিরের মধ্যে ছিল প্রবল পড়াশোনার আগ্রহ। মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৫৩ সালে মাহাথির সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে মালয়েশিয়ার স্বাধীনতার আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে নিজ শহরে প্রাইভেট ক্লিনিক চালু করেন। চিকিৎসক হিসেবে তাঁর কাজের ধরন ছিল অত্যন্ত যত্নশীল ও মানবিক। তিনি রোগীদের বাড়িতে গিয়ে সেবা দিতেন এবং ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও করতেন। ক্লিনিকে কাজ করার সময় দুস্থ ও দরিদ্র রোগীদের হাহাকার দেখে তিনি ধীরে ধীরে আকৃষ্ট হতে থাকেন রাজনীতির প্রতি। পরে ১৯৬৪ সালে মাহাথির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে কাজ চালিয়ে যান।
১৯৬৪ সালে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ইউনাইটেড মালয়েজ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও)-এর টিকিটে। তবে ১৯৬৯ সালে জাতিগত দাঙ্গা নিয়ে তাঁর প্রকাশ্য সমালোচনার জন্য দল থেকে বহিষ্কৃত হন। এরপর ১৯৭০-এর দশকে আবার রাজনীতিতে ফিরে এসে হন শিক্ষামন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অবশেষে ১৯৮১ সালে হন মালয়েশিয়ার চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।
ব্যালান্সড জীবনযাপন
মাহাথির মোহাম্মদ ধূমপান করেন না। এমনকি ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে মদও পান করেন না। তিনি সব সময় শৃঙ্খলা ও নিয়ম মেনে চলাকে গুরুত্ব দেন। তিনি মনে করতেন মানুষের অঙ্গভঙ্গি মিলিটারি অফিসারের মতো দৃঢ় হওয়া উচিত।
এক শ বছর বয়সেও মাহাথির মোহাম্মদ প্রায় সুস্থ ও সক্রিয় জীবনযাপন করছেন। তিনি মনে করেন দীর্ঘায়ুর জন্য নিজেকে নিয়ন্ত্রণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা অপরিহার্য। ২০২০ সালেও তাঁর ব্লাড প্রেসার ছিল স্বাভাবিক। তাই তিনি এ বয়সে তিনি নিয়মিত কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারেন।
ব্যক্তিজীবনে মাহাথির একজন পরিশ্রমী ও শৃঙ্খলাপ্রিয় মানুষ। নিজের কর্মীদেরও তিনি সময়ের মূল্য অনুভব করতে এবং শৃঙ্খলা মেনে চলার পরামর্শ দিতেন। তাঁর কর্মস্পৃহা ও উদ্যম অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল।
মাহাথির মোহাম্মদের জীবনযাপন এমন এক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে যেখানে পরিশ্রম, শৃঙ্খলা, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও দেশের প্রতি নিবেদন একীভূত হয়ে আছে।
মালয়েশিয়াকে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করার পেছনে যেমন গুরুত্বপুর্ণ ছিল তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তেমনি দীর্ঘকাল কর্মঠ থাকার পেছনেও বিশেষভাবে উঠে আসে তাঁর শৃঙ্খল জীবনযাপন।
সমাজের প্রচলিত ধারণা এমন, মেয়েরা প্রচুর গসিপ করে আর ‘ব্যাটামানুষ’-রা গসিপের নাম শুনলেই ভ্রু কুঁচকায়। সেলিব্রেটি বা তারকাদের নিয়ে আমাদের সমাজের গসিপ এবং তার মেজাজটি কেমন? শাকিব-বুবলী-অপু গসিপের টর্নেডোর বাতাস কতটা আপনার গায়ে লেগেছে?
৯ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি মাহফুজ আলম থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনের সংবাদমাধ্যম ‘কনটেক্সট নিউজ’-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি জুলাই অভ্যুত্থানসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন। মো. তাহমিদ জামি’র নেওয়া সাক্ষাৎকারটি স্ট্রিম পাঠকদের জন্য অনূদিত হল।
১ দিন আগেবিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন রিডার’স ডাইজেস্ট এমনই ১০টি বইয়ের তালিকা তৈরি করেছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এই তালিকায় বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ বইটির নামও আছে।
২ দিন আগেজয়া না বিপাশা– কে বেশি সুন্দর? দুই দিন ধরে ফেসবুকীয় বাহাসের শীর্ষে এই প্রশ্ন। শুনে মনে হতে পারে সালটা ২০০৪। যেখানে সদ্য গোঁফ-গজানো দুই কিশোর সিডির দোকানের বাইরে এই তর্কে-বিতর্কে মশগুল।
২ দিন আগে