আজ ৭ জুলাই, দিলীপ কুমারের মৃত্যুদিন। বলিউডের ইতিহাসে যে কয়জন অভিনেতা ‘অভিনয়ের সংজ্ঞা’ পাল্টে দিয়েছেন, তাঁদের শীর্ষে থাকবেন তিনি। পেশোয়ারের ফল বিক্রেতার ছেলে ইউসুফ খান কীভাবে হয়ে উঠলেন হিন্দি সিনেমার ‘ট্র্যাজেডি কিং’? সিনেমার পর্দার চেয়েও নাটকীয় তাঁর জীবন। সেই গল্পই উঠে এসেছে এই লেখায়।
গৌতম কে শুভ
দিলীপ কুমারের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের পেশোয়ারে। বেড়ে ওঠা থেকে যৌবন—সবই পার করেছেন বর্তমান পাকিস্তানের এই শহরে। সিনেমার সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। বরং বাড়ির লোকজন অভিনয়কে ভাবত ‘নাওটাঙ্কি’, বাংলায় যাকে বলা যায় নাটুকেপনা।
তবু কৈশোরেই ইউসুফ খান প্রেমে পড়েছিলেন সিনেমার। ছবির শুটিং দেখার আশায় সুযোগ পেলেই ছুটে যেতেন বোম্বে (বর্তমানে মুম্বাই)। একদিন সেই ছুটে যাওয়াই বদলে দিল তাঁর ভাগ্য। ভারতের প্রথম ‘পেশাদার ফিল্ম স্টুডিও’ বোম্বে টকিজের অফিসের করিডরে দেখা হয়ে গেল দেবিকা রানীর সঙ্গে। চল্লিশের দশকে দেবিকা ছিলেন ভারতীয় সিনেমার বিশাল তারকা, তাঁকে বলা হতো হিন্দি সিনেমার ‘ফার্স্ট লেডি’।
সেদিন দেবিকা রানী ইউসুফ খানকে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইউসুফও রাজি হয়ে গেলেন। তবে দেবিকার একটাই আপত্তি! ইউসুফ খান নামটা নাকি রোমান্টিক হিরোর নাম হিসেবে মানায় না। তাই সিনেমার পর্দার জন্য দরকার নতুন নাম।
তখন বোম্বে টকিজে কাজ করতেন হিন্দি ভাষার বিখ্যাত কবি নরেন্দ্র শর্মা। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে দেবিকা তিনটি নাম প্রস্তাব করলেন। জাহাঙ্গীর, বাসুদেব, আর দিলীপ কুমার—এর মধ্যে একটি নাম বেছে নিতে বললেন ইউসুফ খানকে।
ইউসুফ কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। ভাবছিলেন এতটা বদল কি সত্যিই দরকার? পরে তিনি এই ব্যাপারে কথা বলতে গেলেন বোম্বে টকিজের সঙ্গে জড়িত সিনেমা নির্মাতা শশধর মুখার্জির সঙ্গে। সেখানেও পেলেন পর্দায় নাম পরিবর্তনের পক্ষে যুক্তি।
ইউসুফ খান একটু চিন্তা করে তৃতীয় নামটিই বেছে নিলেন। এভাবে পেশোয়ারের মুহাম্মদ ইউসুফ খান হয়ে গেলেন মুম্বাইয়ের দিলীপ কুমার। তবে সিনেমার পর্দায় নাম বদলে রাজি হওয়ার পেছনে দিলীপ কুমারের ব্যক্তিগত কারণও ছিল। ১৯৭০ সালে মহেন্দ্র কাউলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলেছিলেন।
সেখান থেকে জানা যায়, বাবার হাতে পিটুনি খাওয়ার ভয়ে দিলীপ কুমার নাম পরিবর্তনে রাজি হয়েছিলেন। কারণ, তাঁর বাবা মনে করতেন অভিনয়-জীবন মানে কেবলই সময়ের অপচয় করা। এমনকি দিলীপের ছোটবেলার পারিবারিক বন্ধু ও প্রতিবেশী রাজ কাপুরের সিনেমায় আসাকেও তাঁর বাবা সহজে মেনে নিতে পারেননি। তাই রক্ষণশীল বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন নামে কাজ শুরু করাই তিনি উচিত বলে মনে করেছিলেন।
দিলীপ কুমার কেন জনপ্রিয় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরটা খুবই সহজ। কারণ, তিনি শুধু অভিনয় করতেন না, হয়ে উঠতেন একেবারে সেই চরিত্র। একালে যাকে বলা হয় ‘মেথড এক্টিং’।
১৯৪৪ সালে দিলীপ যখন সিনেমায় আসেন, অধিকাংশ অভিনেতা তখন পার্সি থিয়েটারের ধারার ‘লাউড অ্যাক্টিং’ করতেন। সংলাপ আওড়াতেন নাটকীয় ভঙ্গিতে, হাত নেড়ে নেড়ে জোর গলায়। কিন্তু দিলীপ কুমার করতেন ঠিক উল্টোটা। প্রয়োজন ছাড়া কখনো জোরে সংলাপ বলতেন না। অভিনয় করতে করতে হঠাৎ একটু থেমে যেতেন। শরীরী ভাষা আর চোখে-মুখে বুঝিয়ে দিতেন আবেগ।
দিলীপ কখনও দুখি চরিত্রে অভিনয় করলে দর্শকেরা ভীষণ কষ্ট পেতেন। তাঁর অভিনয়ে ‘দেবদাস’ আর ‘মুঘল-ই-আজম’ দেখে কান্নায় চোখ ভিজিয়েছে হাজারো দশর্ক। এজন্য দিলীপকে বলা হতো ‘ট্র্যাজেডি কিং’।
অভিনয়ের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দিলীপ কুমার ঢুকে পড়েছিলেন সিনেমার জগতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘নৌকাডুবি’ অবলম্বনে তৈরি ‘মিলন’ সিনেমায় কাজ করার সময় পরিচালক নীতিন বোস তাঁকে শিখিয়েছিলেন, কীভাবে সংলাপ ছাড়াও অভিনয় করা যায়।
দিলীপ কুমার শরীর-মনে গেঁথে নিয়েছিলেন সেই শিক্ষা। কাজ করতেন বেছে বেছে। মাত্র ৬৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
আর তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান? কণ্ঠস্বর। অভিনয়ে গলার সঠিক ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা তিনি দেখিয়েছেন। প্রতিটি সংলাপের সুর, টান, ভঙ্গি ছিল নিখুঁত। কণ্ঠস্বর দিয়েই তিনি আবেগ তৈরি করতেন। চরিত্রকে করে তুলতেন জীবন্ত।
অমিতাভ বচ্চন একবার বলেছিলেন, ‘ভারতীয় অভিনেতাদের ইতিহাস লেখা উচিত দুই পর্বে—এক পর্বে থাকবে দিলীপ কুমার আসার পূর্ববর্তী সময়, অন্য পর্বে থাকবে দিলীপ কুমারের পরবর্তী সময়।’ এই অভিনেতার বিপুল জনপ্রিয়তা ও অর্জন তার বড় প্রমাণ। যত সম্মান আর পুরস্কার তিনি পেয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্য কোনো অভিনেতার ঝুলিতে তা জমা পড়ে নি।
দিলীপ কুমার শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। পেশোয়ারের দোকানে দোকানে তাঁর ছবি টানানো থাকত। সিনেমা হলে তাঁর ছবি এলে বাইরে দর্শকের লাইন পড়ে যেত। পর্দার সংলাপ শোনা যেত রাস্তার মানুষের মুখে। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তান তাঁকে দেয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’।
পাকিস্তানে দিলীপ কুমারের প্রভাব কতটা গভীর ছিল, সেটি বোঝা যায় ১৯৯৯ সালের একটি ফোনকলের ঘটনা থেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি সেদিন সরাসরি ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। ফোন ধরতেই বাজপেয়ি বলেছিলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? আপনি লাহোরে আমাকে আপ্যায়ন করলেন, আর এদিকে আপনার সেনারা কারগিলে আমাদের ভূখণ্ড দখল করেছে।’
নওয়াজ শরিফ একটু থেমে বলেছিলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। সেনাপ্রধান মোশাররফের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি।’ তখন বাজপেয়ি নওয়াজকে বলেছিলেন, তাঁর পাশে বসে থাকা একজনের সঙ্গে কথা বলতে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে থাকা সেই ‘একজন’ ছিলেন দিলীপ কুমার। ফোন কানে তুলে দিলীপ কুমার নওয়াজকে বলেছিলেন, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে ভারতের মুসলমানদের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তিনি নওয়াজকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
এতে বোঝা যায়, দিলীপ কুমারের ছিল সংবেদনশীল মন। মানুষের হৃদয় জয় করার পেছনে এই মনেরও ভূমিকা ছিল। ২০২১ সালের আজকের এই দিনে তিনি বিদায় নেন জীবনের নাট্যমঞ্চ থেকে।
ইউসুফ খান থেকে ‘দিলীপ কুমার’ হয়ে ওঠার এই গল্প শুধু নাম বদলের গল্প নয়, বলিউডে নতুন এক অভিনয়ের ধারা সৃষ্টিরও আখ্যান।
দিলীপ কুমারের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের পেশোয়ারে। বেড়ে ওঠা থেকে যৌবন—সবই পার করেছেন বর্তমান পাকিস্তানের এই শহরে। সিনেমার সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। বরং বাড়ির লোকজন অভিনয়কে ভাবত ‘নাওটাঙ্কি’, বাংলায় যাকে বলা যায় নাটুকেপনা।
তবু কৈশোরেই ইউসুফ খান প্রেমে পড়েছিলেন সিনেমার। ছবির শুটিং দেখার আশায় সুযোগ পেলেই ছুটে যেতেন বোম্বে (বর্তমানে মুম্বাই)। একদিন সেই ছুটে যাওয়াই বদলে দিল তাঁর ভাগ্য। ভারতের প্রথম ‘পেশাদার ফিল্ম স্টুডিও’ বোম্বে টকিজের অফিসের করিডরে দেখা হয়ে গেল দেবিকা রানীর সঙ্গে। চল্লিশের দশকে দেবিকা ছিলেন ভারতীয় সিনেমার বিশাল তারকা, তাঁকে বলা হতো হিন্দি সিনেমার ‘ফার্স্ট লেডি’।
সেদিন দেবিকা রানী ইউসুফ খানকে সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইউসুফও রাজি হয়ে গেলেন। তবে দেবিকার একটাই আপত্তি! ইউসুফ খান নামটা নাকি রোমান্টিক হিরোর নাম হিসেবে মানায় না। তাই সিনেমার পর্দার জন্য দরকার নতুন নাম।
তখন বোম্বে টকিজে কাজ করতেন হিন্দি ভাষার বিখ্যাত কবি নরেন্দ্র শর্মা। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে দেবিকা তিনটি নাম প্রস্তাব করলেন। জাহাঙ্গীর, বাসুদেব, আর দিলীপ কুমার—এর মধ্যে একটি নাম বেছে নিতে বললেন ইউসুফ খানকে।
ইউসুফ কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন। ভাবছিলেন এতটা বদল কি সত্যিই দরকার? পরে তিনি এই ব্যাপারে কথা বলতে গেলেন বোম্বে টকিজের সঙ্গে জড়িত সিনেমা নির্মাতা শশধর মুখার্জির সঙ্গে। সেখানেও পেলেন পর্দায় নাম পরিবর্তনের পক্ষে যুক্তি।
ইউসুফ খান একটু চিন্তা করে তৃতীয় নামটিই বেছে নিলেন। এভাবে পেশোয়ারের মুহাম্মদ ইউসুফ খান হয়ে গেলেন মুম্বাইয়ের দিলীপ কুমার। তবে সিনেমার পর্দায় নাম বদলে রাজি হওয়ার পেছনে দিলীপ কুমারের ব্যক্তিগত কারণও ছিল। ১৯৭০ সালে মহেন্দ্র কাউলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত বলেছিলেন।
সেখান থেকে জানা যায়, বাবার হাতে পিটুনি খাওয়ার ভয়ে দিলীপ কুমার নাম পরিবর্তনে রাজি হয়েছিলেন। কারণ, তাঁর বাবা মনে করতেন অভিনয়-জীবন মানে কেবলই সময়ের অপচয় করা। এমনকি দিলীপের ছোটবেলার পারিবারিক বন্ধু ও প্রতিবেশী রাজ কাপুরের সিনেমায় আসাকেও তাঁর বাবা সহজে মেনে নিতে পারেননি। তাই রক্ষণশীল বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন নামে কাজ শুরু করাই তিনি উচিত বলে মনে করেছিলেন।
দিলীপ কুমার কেন জনপ্রিয় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরটা খুবই সহজ। কারণ, তিনি শুধু অভিনয় করতেন না, হয়ে উঠতেন একেবারে সেই চরিত্র। একালে যাকে বলা হয় ‘মেথড এক্টিং’।
১৯৪৪ সালে দিলীপ যখন সিনেমায় আসেন, অধিকাংশ অভিনেতা তখন পার্সি থিয়েটারের ধারার ‘লাউড অ্যাক্টিং’ করতেন। সংলাপ আওড়াতেন নাটকীয় ভঙ্গিতে, হাত নেড়ে নেড়ে জোর গলায়। কিন্তু দিলীপ কুমার করতেন ঠিক উল্টোটা। প্রয়োজন ছাড়া কখনো জোরে সংলাপ বলতেন না। অভিনয় করতে করতে হঠাৎ একটু থেমে যেতেন। শরীরী ভাষা আর চোখে-মুখে বুঝিয়ে দিতেন আবেগ।
দিলীপ কখনও দুখি চরিত্রে অভিনয় করলে দর্শকেরা ভীষণ কষ্ট পেতেন। তাঁর অভিনয়ে ‘দেবদাস’ আর ‘মুঘল-ই-আজম’ দেখে কান্নায় চোখ ভিজিয়েছে হাজারো দশর্ক। এজন্য দিলীপকে বলা হতো ‘ট্র্যাজেডি কিং’।
অভিনয়ের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই দিলীপ কুমার ঢুকে পড়েছিলেন সিনেমার জগতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘নৌকাডুবি’ অবলম্বনে তৈরি ‘মিলন’ সিনেমায় কাজ করার সময় পরিচালক নীতিন বোস তাঁকে শিখিয়েছিলেন, কীভাবে সংলাপ ছাড়াও অভিনয় করা যায়।
দিলীপ কুমার শরীর-মনে গেঁথে নিয়েছিলেন সেই শিক্ষা। কাজ করতেন বেছে বেছে। মাত্র ৬৩টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
আর তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান? কণ্ঠস্বর। অভিনয়ে গলার সঠিক ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা তিনি দেখিয়েছেন। প্রতিটি সংলাপের সুর, টান, ভঙ্গি ছিল নিখুঁত। কণ্ঠস্বর দিয়েই তিনি আবেগ তৈরি করতেন। চরিত্রকে করে তুলতেন জীবন্ত।
অমিতাভ বচ্চন একবার বলেছিলেন, ‘ভারতীয় অভিনেতাদের ইতিহাস লেখা উচিত দুই পর্বে—এক পর্বে থাকবে দিলীপ কুমার আসার পূর্ববর্তী সময়, অন্য পর্বে থাকবে দিলীপ কুমারের পরবর্তী সময়।’ এই অভিনেতার বিপুল জনপ্রিয়তা ও অর্জন তার বড় প্রমাণ। যত সম্মান আর পুরস্কার তিনি পেয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্য কোনো অভিনেতার ঝুলিতে তা জমা পড়ে নি।
দিলীপ কুমার শুধু ভারতে নয়, পাকিস্তানেও তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন। পেশোয়ারের দোকানে দোকানে তাঁর ছবি টানানো থাকত। সিনেমা হলে তাঁর ছবি এলে বাইরে দর্শকের লাইন পড়ে যেত। পর্দার সংলাপ শোনা যেত রাস্তার মানুষের মুখে। ১৯৯৭ সালে পাকিস্তান তাঁকে দেয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ’।
পাকিস্তানে দিলীপ কুমারের প্রভাব কতটা গভীর ছিল, সেটি বোঝা যায় ১৯৯৯ সালের একটি ফোনকলের ঘটনা থেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি সেদিন সরাসরি ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। ফোন ধরতেই বাজপেয়ি বলেছিলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? আপনি লাহোরে আমাকে আপ্যায়ন করলেন, আর এদিকে আপনার সেনারা কারগিলে আমাদের ভূখণ্ড দখল করেছে।’
নওয়াজ শরিফ একটু থেমে বলেছিলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। সেনাপ্রধান মোশাররফের সঙ্গে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি।’ তখন বাজপেয়ি নওয়াজকে বলেছিলেন, তাঁর পাশে বসে থাকা একজনের সঙ্গে কথা বলতে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশে বসে থাকা সেই ‘একজন’ ছিলেন দিলীপ কুমার। ফোন কানে তুলে দিলীপ কুমার নওয়াজকে বলেছিলেন, ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে ভারতের মুসলমানদের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তিনি নওয়াজকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
এতে বোঝা যায়, দিলীপ কুমারের ছিল সংবেদনশীল মন। মানুষের হৃদয় জয় করার পেছনে এই মনেরও ভূমিকা ছিল। ২০২১ সালের আজকের এই দিনে তিনি বিদায় নেন জীবনের নাট্যমঞ্চ থেকে।
ইউসুফ খান থেকে ‘দিলীপ কুমার’ হয়ে ওঠার এই গল্প শুধু নাম বদলের গল্প নয়, বলিউডে নতুন এক অভিনয়ের ধারা সৃষ্টিরও আখ্যান।
মিমি চকলেট হারিয়ে যাওয়ার গল্পে জড়ানো আছে বাজারের বাস্তবতা আর গোটা একটা প্রজন্মের নস্টালজিয়া। আজ বিশ্ব চকলেট দিবসে ফিরে দেখা যাক মিমি চকলেটের সময়কে।
৫ ঘণ্টা আগেসাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ১৯৪৭ সালে স্বয়ংক্রিয় ‘একে-৪৭’ রাইফেল তৈরি হয়েছিল। সে বছরেই হয় এই অস্ত্রের প্রাথমিক পরীক্ষা। তাতে উত্তীর্ণও হয়েছিল। তবে সরকারিভাবে সোভিয়েত বাহিনীতে এটি যুক্ত হয় ১৯৪৯ সালে।
৯ ঘণ্টা আগেআরব থেকে মর্সিয়ার এই ধারা গিয়ে পৌঁছায় পারস্যে। এরপর এর আঙ্গিক ও বিষয়বস্তুতে ঘটে যুগান্তকারী পরিবর্তন। বিশেষ করে ষোড়শ শতকে সাফাভি শাসনামলে ‘শিয়া ইসলাম’ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করার পর মর্সিয়া এক নতুন মাত্রা পায়।
১ দিন আগেএক মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় ফ্রিদার চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠার গল্প। ফ্রিদা বলেন, ‘বাস আমাকে ধাক্কা দেওয়ার আগে আমি হতে চেয়েছিলাম একজন ডাক্তার।’
১ দিন আগে