আগে অনেকে খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেত। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এমনটি হতে দেবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন পরিবহন মার্কেটের চায়ের দোকানি মোহাম্মদ আলী।
কৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশেই রিকশা চালান মুহাম্মদ তারেক (৩০)। দিনের অনেকটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কাটে তাঁর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হবেন, তাঁদের কাছে তাঁর কী প্রত্যাশা, জানতে চাইলে তারেক বলেন, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। যদি রাস্তাগুলো ঠিক করা যেত, তবে তাঁরা রিকশা চালিয়ে শান্তি পেতেন।
একই কথা বলেন আরেক রিকশাচালক মোহাম্মদ জামাল (৩৫)। ক্যাম্পাসের ভেতরে কার্ড সিস্টেম করার দাবিও জানান তিনি। ক্যাম্পাসে ভাড়া নির্ধারিত করা থাকলেও অনেকে তা মানেন না। রিকশাচালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে একটি নিয়ম করে দেওয়ার দাবি জামালের।
ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটের ঠিক পাশেই সুজন রবিদাসের (৩৫) জুতা সারাইয়ের দোকান। অবশ্য দোকানের কোনো কাঠামোই সেখানে নেই। নিচে চট বিছানো, আর মাথার ওপরে পলিথিন। স্ট্রিমকে জানান, রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার পূরণ হবে। এটা খুবই দরকারি।
তাঁর নিজের অধিকারের বিষয়ে সুজন বললেন, ‘আমাদের একটা আশা যে, আমাদের সাথে যাতে কেউ দুর্ব্যবহার না করেন। ভাষা খারাপ না করেন।’
১৯৯০ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুচির কাজ করছে সুজনের পরিবার। তিনি নিজেই ১৫ বছর ধরে এ ক্যাম্পাসে কাজ করছেন। তবুও তাঁর স্থায়ী কোনো দোকান নেই। এ বিষয়ে আক্ষেপ করে জানালেন, রাকসুর প্রতিনিধিদের কাছে তাঁর চাওয়া, যাতে অন্তত একটি টিনের দোকান তাঁকে করে দেওয়া হয়।
সুজন বলেন, ‘বৃষ্টি বাদলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমাদের দিকে কেউ খেয়াল রাখে না। কষ্ট লাগে। কারণ এই ক্যাম্পাসের ওপরই আমাদের সংসার নির্ভরশীল। বাইরে কোনো দোকানে আমাদের কেউ নেয় না। আমরা নিজে নিজেই পলিথিন টানিয়ে আছি। পরিস্কার করে দিতে বললে সরে যাই।’
সুজন জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে তিনি এমনিতেই কম টাকা নেন। এরপরও কেউ কেউ আছেন, যারা সে টাকাটাও দিতে চান না। দুর্ব্যবহার করেন। রাকসুর কাছে তাঁর প্রত্যাশা, এ বিষয়ে যাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তবে সঙ্গে এটিও বললেন, ‘প্রত্যাশা আছে। কিন্তু দাবি-দাওয়া করলে কোনো লাভ হবে না। কেউ করে দিবে না।’
পরিবহন মার্কেটেই মোহাম্মদ আলীর (৩৬) চায়ের দোকান। গত ১২ বছর ধরে ধরে ক্যাম্পাসে চা বিক্রি করছেন তিনি।
রাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে প্রত্যাশার প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন, ‘যে-ই নির্বাচিত হোক, সেও তো আমাদেরই ছাত্র। আমাদের এখানেই ওঠাবসা করেছে। তাঁরা যাতে এমন কিছু না করে, যাতে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়।’
আগে অনেকে খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেত। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এমনটি হতে দেবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশেই রিকশা চালান মুহাম্মদ তারেক (৩০)। দিনের অনেকটা সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কাটে তাঁর। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে যাঁরা জয়ী হবেন, তাঁদের কাছে তাঁর কী প্রত্যাশা, জানতে চাইলে তারেক বলেন, ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। রিকশা চালাতে কষ্ট হয়। যদি রাস্তাগুলো ঠিক করা যেত, তবে তাঁরা রিকশা চালিয়ে শান্তি পেতেন।
একই কথা বলেন আরেক রিকশাচালক মোহাম্মদ জামাল (৩৫)। ক্যাম্পাসের ভেতরে কার্ড সিস্টেম করার দাবিও জানান তিনি। ক্যাম্পাসে ভাড়া নির্ধারিত করা থাকলেও অনেকে তা মানেন না। রিকশাচালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এ বিষয়ে একটি নিয়ম করে দেওয়ার দাবি জামালের।
ক্যাম্পাসের পরিবহন মার্কেটের ঠিক পাশেই সুজন রবিদাসের (৩৫) জুতা সারাইয়ের দোকান। অবশ্য দোকানের কোনো কাঠামোই সেখানে নেই। নিচে চট বিছানো, আর মাথার ওপরে পলিথিন। স্ট্রিমকে জানান, রাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার পূরণ হবে। এটা খুবই দরকারি।
তাঁর নিজের অধিকারের বিষয়ে সুজন বললেন, ‘আমাদের একটা আশা যে, আমাদের সাথে যাতে কেউ দুর্ব্যবহার না করেন। ভাষা খারাপ না করেন।’
১৯৯০ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মুচির কাজ করছে সুজনের পরিবার। তিনি নিজেই ১৫ বছর ধরে এ ক্যাম্পাসে কাজ করছেন। তবুও তাঁর স্থায়ী কোনো দোকান নেই। এ বিষয়ে আক্ষেপ করে জানালেন, রাকসুর প্রতিনিধিদের কাছে তাঁর চাওয়া, যাতে অন্তত একটি টিনের দোকান তাঁকে করে দেওয়া হয়।
সুজন বলেন, ‘বৃষ্টি বাদলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমাদের দিকে কেউ খেয়াল রাখে না। কষ্ট লাগে। কারণ এই ক্যাম্পাসের ওপরই আমাদের সংসার নির্ভরশীল। বাইরে কোনো দোকানে আমাদের কেউ নেয় না। আমরা নিজে নিজেই পলিথিন টানিয়ে আছি। পরিস্কার করে দিতে বললে সরে যাই।’
সুজন জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে তিনি এমনিতেই কম টাকা নেন। এরপরও কেউ কেউ আছেন, যারা সে টাকাটাও দিতে চান না। দুর্ব্যবহার করেন। রাকসুর কাছে তাঁর প্রত্যাশা, এ বিষয়ে যাতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তবে সঙ্গে এটিও বললেন, ‘প্রত্যাশা আছে। কিন্তু দাবি-দাওয়া করলে কোনো লাভ হবে না। কেউ করে দিবে না।’
পরিবহন মার্কেটেই মোহাম্মদ আলীর (৩৬) চায়ের দোকান। গত ১২ বছর ধরে ধরে ক্যাম্পাসে চা বিক্রি করছেন তিনি।
রাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে প্রত্যাশার প্রসঙ্গ উঠতেই বললেন, ‘যে-ই নির্বাচিত হোক, সেও তো আমাদেরই ছাত্র। আমাদের এখানেই ওঠাবসা করেছে। তাঁরা যাতে এমন কিছু না করে, যাতে আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়।’
আগে অনেকে খেয়ে টাকা না দিয়ে চলে যেত। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এমনটি হতে দেবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। প্যারিসের অরলি বিমানবন্দর। হাড়কাঁপানো শীতের দুপুর। রানওয়েতে দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের বিশাল বোয়িং ৭২০ বিমান, ফ্লাইট ৭১২। গন্তব্য করাচি হয়ে ঢাকা। সিটবেল্ট বেঁধে তৈরি যাত্রীরা। ইঞ্জিনে থ্রাস্ট দেওয়ার অপেক্ষায় পাইলট।
১৭ ঘণ্টা আগে
এআই চ্যাটবট খুলে প্রথম উত্তরটাই আমরা এখন ‘ঠিক’ ধরে নিই। দ্রুত সমাধান আমাদের তৃপ্তি দেয় ঠিকই, কিন্তু গবেষণা বলছে এই ভরসাই ধীরে ধীরে কমিয়ে দিচ্ছে আমাদের নিজের ভাবনা, যাচাই আর সমালোচনামূলক চিন্তার ক্ষমতা।
১৯ ঘণ্টা আগে
শীত এসে গেছে। তুলনামূলক আরামদায়ক হলেও ঠান্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর হওয়ার আশঙ্কা এ সময়ে অনেক বেশি। কিন্তু এমন কেন হয়, প্রতিকারই-বা কী? পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ও ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. ফারুক আহাম্মদ।
২ দিন আগে
১৯৭১ সাল। ঢাকা সেনানিবাস। ইস্টার্ন কমান্ডের সদর দপ্তর। বিলাসবহুল ড্রয়িংরুমে বসে আছেন এক শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোক। পরনে দামী স্যুট, হাতে জ্বলন্ত সিগার। আর সামনে ধোঁয়া ওঠা কফি। তার ঠিক উল্টো দিকে বসে আছেন পাকিস্তানের কোনো জেনারেল।
২ দিন আগে