আজ ৩১ আগস্ট ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন। এ দিনে ফিরে তাকাতে চাই অতীতের পথে। কেমন ছিল তাঁর সিনেমার দর্শন ও ভাষা?
গৌতম কে শুভ
বাংলা সিনেমার ইতিহাস লিখতে বসলে যাঁর নাম না লিখে উপায় নেই, তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেনের হাত ধরে যে চলচ্চিত্র ধারার যাত্রা শুরু, ঋতুপর্ণ ছিলেন তারই ধারক। তবে শুধু সিনেমাই নয়, তাঁর পোশাক, চলাফেরা ও নিজেকে প্রকাশ করার ভঙ্গি নিয়ে বাজারে চলত অনেক গসিপ। আলোচনায় ছিলেন সব সময়। পড়েছেন নিন্দার মুখেও। তবু এসব পার করে তিনি এগিয়েছিলেন নিজের মতো করে, যেভাবে তিনি চেয়েছিলেন।
ঋতুপর্ণ ঘোষ এমন কিছু গল্প পর্দায় তুলে এনেছেন, যা মানুষকে ভাবতে বাধ্য করবে। আবার আবেগেও ভরিয়ে দিতে পারবে। সমাজে প্রচলিত অনেক গোঁড়া সংস্কার আর সেকেলে ভাবনাকে তাঁর সিনেমায় প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখা যায়। যে দর্শক ভাবতে চান, তাঁকে দিতেন নতুন কিছু ভাবনার খোরাক। সাধারণ দর্শকও পেতেন গল্পের সঙ্গে ছন্দ মেলানোর সুযোগ।
আমরা ধরে নেই, সিনেমা মানেই বুঝি গল্প আর নাটকীয়তা। কিন্তু কিছু নির্মাতা আছেন যাঁরা সিনেমাকে এভাবে দেখেন না। ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁদেরই একজন। তাঁর সিনেমা দেখে মনে হয়, শুধুই গল্প বলার ইচ্ছা তাঁর নেই। বরং পর্দায় দেখাতে চান গল্পের ভেতরের আবহাওয়াটা। যেন আমাদেরও তো কিছু বলার ছিল। সেগুলো কেন কখনো বলতে পারিনি?
মোটাদাগে শোনা যায়, ঋতুপর্ণের সিনেমা ধীর লয়ে চলে। আর গৎবাঁধা নাচ-গান-মারপিটের সিনেমাপ্রেমীরা বলেন, এই সিনেমা খুব ‘স্লো’। কিন্তু একটু মন দিয়ে তাকালে ব্যাপারটা অন্যভাবে ধরা দেয়। গল্পের ধীরগতির মধ্যেই পর্দায় আসলে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। তাঁর সিনেমার চরিত্রদের মধ্যে চলে সম্পর্কের টানাপোড়েন, দেখা যায় নিজের সঙ্গে নিজেরই সংঘর্ষ; স্বপ্ন ও বাস্তব, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির যন্ত্রণায় কাতর মানুষের দহন দর্শককে দেয় অভাবিত এক অভিজ্ঞতা।
ঋতুপর্ণ ঘোষ সিনেমায় মানুষের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সেটা ঠিক সরল প্রেমের গল্পের মতো নয়। সে এক ভিন্ন আবহ। পরিবার, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব—সবকিছুর মধ্যেই বোধহয় তিনি খুঁজেছেন জটিলতা। আর সেই জটিলতার মধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, অনেকসময় আমরা নিজেকেই ঠিকমতো চিনতে পারি না। সেই অচেনা অন্তরাত্মাকে সামনে এনে বানিয়েছেন ছবির পর ছবি।
এই দৃষ্টিভঙ্গিই ঋতুপর্ণকে আলাদা করে তোলে। তাঁর সিনেমা মানে যেন যাবতীয় প্রশ্নের ফাঁদ। যেখানে দর্শক একটু নিজের দিকে তাকাতেও বাধ্য হন। অনেক সময় দর্শক হয়তো বুঝে উঠতেই পারেন না ঋতুপর্ণ ঘোষ আসলে কী বলতে চেয়েছেন!
ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমার ভাষা কখনোই সরাসরি ছিল না। যেন কিছু একটা বলা হলো, আবার হলোও না। এই ধোঁয়াশার ভেতরই তিনি খুঁজতে দেন সত্যের হদিস। তাঁর সিনেমায় ব্যক্তি ঋতুপর্ণের রাজনৈতিক ভাবনাও এসেছে ছোট ছোট বার্তা হিসেবে। কিন্তু তা কোনো পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট নয়, অথচ প্রবলভাবে রাজনৈতিক।
ঋতুপর্ণের অনেক সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে ‘সংসার’কে কেন্দ্র করে। সেগুলো সস্তা পারিবারিক ‘নাটক’ বা টুইস্টে মোড়া না হয়েও সফল ফ্যামিলি-ড্রামা। যেমন ‘উনিশে এপ্রিল’ সিনেমা দেখায় মা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন। বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী মা তার পেশার জন্য মেয়েকে সময় দিতে পারেননি। আর সেই অবহেলায় জন্ম নেয় দূরত্ব ও অভিমান। একটি বাড়িতে অধিকাংশ দৃশ্যের চিত্রায়ন এবং নানান ঘটনার ঘনঘটা না থাকার পরেও ছবিটি কখনো একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে না। বরং তা সমঝদার দর্শকের মন জয় করার পাশাপাশি বক্স অফিসেও হিট করে।
ঋতুপর্ণের আরেকটি বড় পরিচয়, তিনি সাহিত্য-নির্ভর সিনেমার নির্মাতা। কিন্তু তা শরৎচন্দ্র বা রবীন্দ্রনাথের লেখা হুবহু পর্দায় তুলে ধরা নয়। বরং তাঁদের গল্পকে ঘটমান সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিজের মতো করে বলা। সেই মন্ত্রেই ‘চোখের বালি’ বা ‘নৌকাডুবি’ পায় নতুন ব্যাখ্যা। তিনি মনে করতেন, সাহিত্য আর সিনেমার সম্পর্কটা ঠিক প্রেমের মতো। যেখানে একজন আরেকজনকে খানিকটা বদলে দেয়। তাঁর সাহিত্যনির্ভর সিনেমাতেও আমরা সেই বদলে যাওয়াকেই দেখতে পাই।
বাংলা সিনেমায় যৌন পরিচয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা নিয়ে এসেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তাঁর পরিচালিত ‘চিত্রাঙ্গদা’ লিঙ্গ আর নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার গল্প। আর ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ ও ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’–এ অভিনয় ও লেখার মাধ্যমে তিনি এ সংক্রান্ত যাবতীয় টানাপোড়েনকে খুব কাছ থেকে মানবিকভাবে দেখিয়েছেন।
‘চিত্রাঙ্গদা’ সিনেমাকে অনেকেই ঋতুপর্ণের আত্মজীবনী হিসেবে দেখেন। ছবিটি আসলে তাঁর ব্যক্তিগত অনুভব, লিঙ্গ ও যৌনপরিচয় নিয়ে ভেতরের দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। তিনি পুরুষ হয়ে জন্মালেও ভেতরে নারীর সত্তাকে আপন মনে করতেন। নিজের এই দুই সত্তাকে কখনো আলাদা করে দেখেননি, বরং একসঙ্গে নিয়ে চলেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
সমাজ ও পরিবারের চোখে এই অবস্থান কতোটা কঠিন তা ঋতুপর্ণ জানতেন। কিন্তু নিজের সত্যকে আড়াল করলে শিল্পও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই তিনি নিজেই অভিনয় করেছিলেন সেই চরিত্রে। অভিনয়ের মধ্যে এমনভাবে মিশিয়ে দিয়েছিলেন নিজের অভিজ্ঞতাকে যে, বাস্তব আর সিনেমার তফাৎটাই মুছে গিয়েছিল।
ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমার অনেক চরিত্রের মতো তিনি কখনো নিজেকে আড়াল করেননি। তিনি জানতেন, নিজের জীবনের যে সত্যগুলো অনেকেই বলতে চান না, সেগুলোই সবচেয়ে বেশি সাহসী। আর নিজের সেই সত্যকেই তিনি সিনেমায় ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে অন্যরা যেখানে শুধু গল্প বলেছেন, সেখানে ঋতুপর্ণ বলে ফেলেছেন নিজেকেই।
বাংলা সিনেমার ইতিহাস লিখতে বসলে যাঁর নাম না লিখে উপায় নেই, তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষ। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেনের হাত ধরে যে চলচ্চিত্র ধারার যাত্রা শুরু, ঋতুপর্ণ ছিলেন তারই ধারক। তবে শুধু সিনেমাই নয়, তাঁর পোশাক, চলাফেরা ও নিজেকে প্রকাশ করার ভঙ্গি নিয়ে বাজারে চলত অনেক গসিপ। আলোচনায় ছিলেন সব সময়। পড়েছেন নিন্দার মুখেও। তবু এসব পার করে তিনি এগিয়েছিলেন নিজের মতো করে, যেভাবে তিনি চেয়েছিলেন।
ঋতুপর্ণ ঘোষ এমন কিছু গল্প পর্দায় তুলে এনেছেন, যা মানুষকে ভাবতে বাধ্য করবে। আবার আবেগেও ভরিয়ে দিতে পারবে। সমাজে প্রচলিত অনেক গোঁড়া সংস্কার আর সেকেলে ভাবনাকে তাঁর সিনেমায় প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখা যায়। যে দর্শক ভাবতে চান, তাঁকে দিতেন নতুন কিছু ভাবনার খোরাক। সাধারণ দর্শকও পেতেন গল্পের সঙ্গে ছন্দ মেলানোর সুযোগ।
আমরা ধরে নেই, সিনেমা মানেই বুঝি গল্প আর নাটকীয়তা। কিন্তু কিছু নির্মাতা আছেন যাঁরা সিনেমাকে এভাবে দেখেন না। ঋতুপর্ণ ঘোষ তাঁদেরই একজন। তাঁর সিনেমা দেখে মনে হয়, শুধুই গল্প বলার ইচ্ছা তাঁর নেই। বরং পর্দায় দেখাতে চান গল্পের ভেতরের আবহাওয়াটা। যেন আমাদেরও তো কিছু বলার ছিল। সেগুলো কেন কখনো বলতে পারিনি?
মোটাদাগে শোনা যায়, ঋতুপর্ণের সিনেমা ধীর লয়ে চলে। আর গৎবাঁধা নাচ-গান-মারপিটের সিনেমাপ্রেমীরা বলেন, এই সিনেমা খুব ‘স্লো’। কিন্তু একটু মন দিয়ে তাকালে ব্যাপারটা অন্যভাবে ধরা দেয়। গল্পের ধীরগতির মধ্যেই পর্দায় আসলে অনেক কিছু ঘটে যাচ্ছে। তাঁর সিনেমার চরিত্রদের মধ্যে চলে সম্পর্কের টানাপোড়েন, দেখা যায় নিজের সঙ্গে নিজেরই সংঘর্ষ; স্বপ্ন ও বাস্তব, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির যন্ত্রণায় কাতর মানুষের দহন দর্শককে দেয় অভাবিত এক অভিজ্ঞতা।
ঋতুপর্ণ ঘোষ সিনেমায় মানুষের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু সেটা ঠিক সরল প্রেমের গল্পের মতো নয়। সে এক ভিন্ন আবহ। পরিবার, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব—সবকিছুর মধ্যেই বোধহয় তিনি খুঁজেছেন জটিলতা। আর সেই জটিলতার মধ্যেই বার্তা দিয়েছেন, অনেকসময় আমরা নিজেকেই ঠিকমতো চিনতে পারি না। সেই অচেনা অন্তরাত্মাকে সামনে এনে বানিয়েছেন ছবির পর ছবি।
এই দৃষ্টিভঙ্গিই ঋতুপর্ণকে আলাদা করে তোলে। তাঁর সিনেমা মানে যেন যাবতীয় প্রশ্নের ফাঁদ। যেখানে দর্শক একটু নিজের দিকে তাকাতেও বাধ্য হন। অনেক সময় দর্শক হয়তো বুঝে উঠতেই পারেন না ঋতুপর্ণ ঘোষ আসলে কী বলতে চেয়েছেন!
ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমার ভাষা কখনোই সরাসরি ছিল না। যেন কিছু একটা বলা হলো, আবার হলোও না। এই ধোঁয়াশার ভেতরই তিনি খুঁজতে দেন সত্যের হদিস। তাঁর সিনেমায় ব্যক্তি ঋতুপর্ণের রাজনৈতিক ভাবনাও এসেছে ছোট ছোট বার্তা হিসেবে। কিন্তু তা কোনো পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট নয়, অথচ প্রবলভাবে রাজনৈতিক।
ঋতুপর্ণের অনেক সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে ‘সংসার’কে কেন্দ্র করে। সেগুলো সস্তা পারিবারিক ‘নাটক’ বা টুইস্টে মোড়া না হয়েও সফল ফ্যামিলি-ড্রামা। যেমন ‘উনিশে এপ্রিল’ সিনেমা দেখায় মা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন। বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী মা তার পেশার জন্য মেয়েকে সময় দিতে পারেননি। আর সেই অবহেলায় জন্ম নেয় দূরত্ব ও অভিমান। একটি বাড়িতে অধিকাংশ দৃশ্যের চিত্রায়ন এবং নানান ঘটনার ঘনঘটা না থাকার পরেও ছবিটি কখনো একঘেঁয়ে হয়ে ওঠে না। বরং তা সমঝদার দর্শকের মন জয় করার পাশাপাশি বক্স অফিসেও হিট করে।
ঋতুপর্ণের আরেকটি বড় পরিচয়, তিনি সাহিত্য-নির্ভর সিনেমার নির্মাতা। কিন্তু তা শরৎচন্দ্র বা রবীন্দ্রনাথের লেখা হুবহু পর্দায় তুলে ধরা নয়। বরং তাঁদের গল্পকে ঘটমান সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নিজের মতো করে বলা। সেই মন্ত্রেই ‘চোখের বালি’ বা ‘নৌকাডুবি’ পায় নতুন ব্যাখ্যা। তিনি মনে করতেন, সাহিত্য আর সিনেমার সম্পর্কটা ঠিক প্রেমের মতো। যেখানে একজন আরেকজনকে খানিকটা বদলে দেয়। তাঁর সাহিত্যনির্ভর সিনেমাতেও আমরা সেই বদলে যাওয়াকেই দেখতে পাই।
বাংলা সিনেমায় যৌন পরিচয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা নিয়ে এসেছেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তাঁর পরিচালিত ‘চিত্রাঙ্গদা’ লিঙ্গ আর নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার গল্প। আর ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ ও ‘আরেকটি প্রেমের গল্প’–এ অভিনয় ও লেখার মাধ্যমে তিনি এ সংক্রান্ত যাবতীয় টানাপোড়েনকে খুব কাছ থেকে মানবিকভাবে দেখিয়েছেন।
‘চিত্রাঙ্গদা’ সিনেমাকে অনেকেই ঋতুপর্ণের আত্মজীবনী হিসেবে দেখেন। ছবিটি আসলে তাঁর ব্যক্তিগত অনুভব, লিঙ্গ ও যৌনপরিচয় নিয়ে ভেতরের দ্বন্দ্বের প্রতিফলন। তিনি পুরুষ হয়ে জন্মালেও ভেতরে নারীর সত্তাকে আপন মনে করতেন। নিজের এই দুই সত্তাকে কখনো আলাদা করে দেখেননি, বরং একসঙ্গে নিয়ে চলেছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।
সমাজ ও পরিবারের চোখে এই অবস্থান কতোটা কঠিন তা ঋতুপর্ণ জানতেন। কিন্তু নিজের সত্যকে আড়াল করলে শিল্পও অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই তিনি নিজেই অভিনয় করেছিলেন সেই চরিত্রে। অভিনয়ের মধ্যে এমনভাবে মিশিয়ে দিয়েছিলেন নিজের অভিজ্ঞতাকে যে, বাস্তব আর সিনেমার তফাৎটাই মুছে গিয়েছিল।
ঋতুপর্ণ ঘোষের সিনেমার অনেক চরিত্রের মতো তিনি কখনো নিজেকে আড়াল করেননি। তিনি জানতেন, নিজের জীবনের যে সত্যগুলো অনেকেই বলতে চান না, সেগুলোই সবচেয়ে বেশি সাহসী। আর নিজের সেই সত্যকেই তিনি সিনেমায় ফুটিয়ে তুলেছেন। সব মিলিয়ে অন্যরা যেখানে শুধু গল্প বলেছেন, সেখানে ঋতুপর্ণ বলে ফেলেছেন নিজেকেই।
আজ চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের মৃত্যুদিন। বাংলার গ্রামীণ কৃষিজীবি সম্প্রদায়কে অন্যরূপে চিত্রিত করেছেন তিনি। কৃষককে এই রূপে চিত্রিত করার পেছনে কী ছিল তাঁর ভাবনা?
১৫ মিনিট আগেপৃথিবীর ইতিহাসে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের মৃত্যু তাঁদের অস্তিত্বকে মুছে দেয় না, বরং আরও জীবন্ত করে তোলে, আরও প্রেরণার উৎসে পরিণত করে। চে গুয়েভারা ঠিক তেমনই এক নাম।
১৯ ঘণ্টা আগেগত কয়েক বছর ধরে হারুকি মুরাকামি কেন নোবেল পান না, তা নিয়ে সাহিত্যপাড়া থেকে সংবাদপত্রের অফিসে যে পরিমাণ আলাপ-আলোচনা হয়েছে, তা দিয়ে সাত খণ্ড রামায়ণ লেখা যাবে মনে হয়। এ এক আশ্চর্যেরও বিষয় বটে। বছরের পর বছর ধরে নোবেলের শর্ট লিস্টে থাকে এ লেখকের নাম। বাজিতেও অনেকের চেয়েও এগিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু পুরস্কার
১ দিন আগেআজ বিশ্ব ডাক দিবস। একটা সময়ে চিঠি ছিল একধরনের নীরব সংলাপ। একটা চিঠি লেখা হতো ভালোবাসা মিশিয়ে। এখন ভালোবাসা আসে ‘টাইপিং…’ শব্দে, এবং হারিয়ে যায় ‘লাস্ট সিন এট…’-এ। হেলাল হাফিজের মতো গভীর আবেগ নিয়ে কেউ আর লেখে না ‘এখন তুমি কোথায় আছো, কেমন আছো, পত্র দিও’ বরং লিখে ‘ইউ ওকে?’
১ দিন আগে