ফাতেমা আবেদীন

আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন চার টাকা দিয়ে মুগদা ব্যাংক কলোনির গলি থেকে মতিঝিল মডেল স্কুলে যাতায়াত হয়ে যেত। যেতে লাগত দুই টাকা, আসতে দুই টাকা। এই টাকাটা বাঁচাতে আমি ও আমার বড় ভাই—আমরা দুজনেই হেঁটে যাতায়াত করতাম। বিনিময়ে লুকিয়ে চুরিয়ে একটা সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা কিনতাম। পেপারব্যাকের চায়না নিউজপ্রিন্টের ওই দেড়শ-দুইশ পাতার বইয়ে আমার আস্ত ছেলেবেলা।
হ্যালো, আমি কিশোর পাশা বলছি—কথাটার সঙ্গে আমার পরিচয় ক্লাস সিক্সে। এর আগে আমার চেখভ, খুশবন্ত সিং পড়া হয়ে গেছে আমার আব্বার কল্যাণে। কিন্তু শিশু-সাহিত্য পড়ার চল আমার সিক্সে উঠেই হলো। প্রথম পড়া তিন গোয়েন্দার নাম ছিলো জিনার সেই দ্বীপ। এরপর পড়লাম কাকাতুয়া রহস্য। প্রায় ৩৩/৩৪ বছর আগে কথা বলছি কিন্তু এখনো কী স্পষ্ট। কারণ আমিই জিনা হয়ে কিশোর পাশাদের দলে ঘুরে বেড়াতাম আমেরিকার কত শহরে।
সাহিত্যের পাঠক ও বোদ্ধা নিয়ে নানা কেচ্ছা-কাহিনী ও আলাপ বাজারে চলমান। কেউ বলেন, হুমায়ুন আহমেদ পড়তে শিখিয়েছেন। কেউ বলেন শরৎচন্দ্র না থাকলে কোথা থেকে প্রেম শিখতাম। আমি বলি, উলটোটা। রাজধানী ঢাকার মুগদা পাড়ার ব্যাংক কলোনির ক্ষণিকালয় নামের একটা বাসার ৯/১০ বছর বয়সের দুটো শিশুর সামনে দুনিয়াটা এনে দিয়েছেন রকিব হাসান, সেবা প্রকাশনী এবং আনোয়ার হোসেন।
‘হাল্লো, কিশোর বন্ধুরা—আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা-চাচির কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।’
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছি এমনটা ঘটেছে সত্যিই। রকিব হাসান কেবল লিখেছেন। হয়তো তারই জীবনের কাহিনী এসব।
আমি মেরি চাচির মাংস ভাজার সুঘ্রাণেই অন্যদের মতো সকাল শুরু করেছি। বরিস ও রোভার দুই ভাই পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে কাজ করছেন, দিব্যি কিশোরদের হেল্প করছেন। জিনা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশ বিদেশে ঘুরছে। রকি বিচ নাকি সত্যিই আছে। প্রতিদিন শুঁটকি টেরি কী সব ঝামেলা পাকায় এগুলো নিয়ে আতঙ্কে থেকেছি। যেসব তিন গোয়েন্দার সিরিজ ছিল—সেটার পরের পর্বের জন্য যতবার লাইব্রেরির সামনে দিয়ে হেঁটে এসে জিজ্ঞাসা করেছি ততবার মনে হয় পরীক্ষার নোটস জোগাড়ের চেষ্টা করিনি।
কানে কানে বলি, পৃথিবীর তাবৎ অসাধারণ পুলিশ অফিসার দেখলেই আমি মনে মনে বলি ইয়ান ফ্লেচার। আর ঝামেলাওয়ালা পুলিশ মানেই—কনস্টেবল ওয়াগনার ফগ্যাম্পারকট। আর নায়ক মানেই দুর্ধর্ষ ওমর শরীফ ভাই।
রকিব হাসান আমাদের কাছে তিন গোয়েন্দার লেখকই স্রষ্টাই ছিলেন কেবল, কিন্তু অনুবাদক শামসুদ্দিন নওয়াব বাঁ বাঙালিকে ব্রাম স্ট্রোকারের ড্রাকুলার সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিলেন তিনিই। আমাদের তো তখন স্যাটেলাইট, ফেসবুক কিছুই ছিল না। আমরা কেবল পড়তাম আর বাসার নিচে খেলতাম।
আমাদের বাসায় ছোটদের যেই বই আসুক না কেন, আব্বা-আম্মা পড়ে দেখতেন। এখন আমরা বন্ধু রাজনের থেকে লুকিয়ে এনেছি ‘টুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি’। ক্যাপ্টেন নিমোর দুর্ধর্ষ অভিযানের গল্প। লুকিয়ে গল্পের বই পড়ছি বলে আম্মা রেগে-মেগে সেই বই দুই ভাগ করে ফেললেন। আসলে হাত থেকে টান দিয়ে নিতে গিয়ে ছিড়ে যায় বইটা। এরপর জোড়া লাগানোর অজুহাতে বাজেয়াপ্ত করলেন। আরে এরপর দেখি ভদ্রমহিলা আর বই ছাড়েন না, আমাদের খেতে দেন না, গোসলে যেতে তাড়া দেন না, তিনি শুয়ে শুয়ে শেষ করলেন ক্যাপ্টেন নিমোর অসাধারণ অভিযান।
এরপর আব্বা পড়লেন। এরপর বাসার আর সবাই সেই বই পড়তে পারলাম। কানে কানে বলি, আমার বন্ধুর দেওয়া নেওয়ার মেমরি খুব খারাপ বলে সেই বই যে ফেরত দেইনি (ছেঁড়া বই কীভাবে ফেরত দেব), সেটি তার মনেই ছিল না।
এরপর থেকেই কিনতে শুরু করি। ২০১৬/১৭ সালের দিকে আমাদের বাসায় থাকা সব তিন গোয়েন্দা, জুলভার্ন কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কিন্তু মাথার ভেতরে রয়ে যাওয়া রকিব হাসানকে কে সরাবে বলুন তো? আমি তো ভাবতাম, বাপ-মা ছাড়া সেই কিশোর পাশা আসলে রকিব হাসানেরই ছেলেবেলার গল্প; যা তিনি চার টাকায় পেপারব্যাকে মুড়ে আমাদের কাছে বিকিয়ে ছিলেন।
আজ আমার ‘চার টাকার’ ছেলেবেলা নিয়ে রকিব হাসান চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যতদিন ব্যক্তিগতভাবে আমার স্মৃতি বেঁচে থাকবে, বই বেঁচে থাকবে, আপনিও থাকবেন। সব সময় পেপারব্যাক বইয়ের পাতায় পাতায় বিশ্ব সাহিত্যের বাংলা অনুবাদে আপনি থাকবেন… যে বিশাল জগত আপনি আমাকে ও আমার ছেলেবেলার মানুষগুলোকে দিয়েছেন, তার থেকে তো বিদায় নেই…।
লেখক: কথাসাহিত্যিক

আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন চার টাকা দিয়ে মুগদা ব্যাংক কলোনির গলি থেকে মতিঝিল মডেল স্কুলে যাতায়াত হয়ে যেত। যেতে লাগত দুই টাকা, আসতে দুই টাকা। এই টাকাটা বাঁচাতে আমি ও আমার বড় ভাই—আমরা দুজনেই হেঁটে যাতায়াত করতাম। বিনিময়ে লুকিয়ে চুরিয়ে একটা সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা কিনতাম। পেপারব্যাকের চায়না নিউজপ্রিন্টের ওই দেড়শ-দুইশ পাতার বইয়ে আমার আস্ত ছেলেবেলা।
হ্যালো, আমি কিশোর পাশা বলছি—কথাটার সঙ্গে আমার পরিচয় ক্লাস সিক্সে। এর আগে আমার চেখভ, খুশবন্ত সিং পড়া হয়ে গেছে আমার আব্বার কল্যাণে। কিন্তু শিশু-সাহিত্য পড়ার চল আমার সিক্সে উঠেই হলো। প্রথম পড়া তিন গোয়েন্দার নাম ছিলো জিনার সেই দ্বীপ। এরপর পড়লাম কাকাতুয়া রহস্য। প্রায় ৩৩/৩৪ বছর আগে কথা বলছি কিন্তু এখনো কী স্পষ্ট। কারণ আমিই জিনা হয়ে কিশোর পাশাদের দলে ঘুরে বেড়াতাম আমেরিকার কত শহরে।
সাহিত্যের পাঠক ও বোদ্ধা নিয়ে নানা কেচ্ছা-কাহিনী ও আলাপ বাজারে চলমান। কেউ বলেন, হুমায়ুন আহমেদ পড়তে শিখিয়েছেন। কেউ বলেন শরৎচন্দ্র না থাকলে কোথা থেকে প্রেম শিখতাম। আমি বলি, উলটোটা। রাজধানী ঢাকার মুগদা পাড়ার ব্যাংক কলোনির ক্ষণিকালয় নামের একটা বাসার ৯/১০ বছর বয়সের দুটো শিশুর সামনে দুনিয়াটা এনে দিয়েছেন রকিব হাসান, সেবা প্রকাশনী এবং আনোয়ার হোসেন।
‘হাল্লো, কিশোর বন্ধুরা—আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালি। থাকি চাচা-চাচির কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অন্যজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরানো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এসো না, চলে এসো আমাদের দলে।’
আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছি এমনটা ঘটেছে সত্যিই। রকিব হাসান কেবল লিখেছেন। হয়তো তারই জীবনের কাহিনী এসব।
আমি মেরি চাচির মাংস ভাজার সুঘ্রাণেই অন্যদের মতো সকাল শুরু করেছি। বরিস ও রোভার দুই ভাই পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে কাজ করছেন, দিব্যি কিশোরদের হেল্প করছেন। জিনা বাবা-মায়ের সঙ্গে দেশ বিদেশে ঘুরছে। রকি বিচ নাকি সত্যিই আছে। প্রতিদিন শুঁটকি টেরি কী সব ঝামেলা পাকায় এগুলো নিয়ে আতঙ্কে থেকেছি। যেসব তিন গোয়েন্দার সিরিজ ছিল—সেটার পরের পর্বের জন্য যতবার লাইব্রেরির সামনে দিয়ে হেঁটে এসে জিজ্ঞাসা করেছি ততবার মনে হয় পরীক্ষার নোটস জোগাড়ের চেষ্টা করিনি।
কানে কানে বলি, পৃথিবীর তাবৎ অসাধারণ পুলিশ অফিসার দেখলেই আমি মনে মনে বলি ইয়ান ফ্লেচার। আর ঝামেলাওয়ালা পুলিশ মানেই—কনস্টেবল ওয়াগনার ফগ্যাম্পারকট। আর নায়ক মানেই দুর্ধর্ষ ওমর শরীফ ভাই।
রকিব হাসান আমাদের কাছে তিন গোয়েন্দার লেখকই স্রষ্টাই ছিলেন কেবল, কিন্তু অনুবাদক শামসুদ্দিন নওয়াব বাঁ বাঙালিকে ব্রাম স্ট্রোকারের ড্রাকুলার সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিলেন তিনিই। আমাদের তো তখন স্যাটেলাইট, ফেসবুক কিছুই ছিল না। আমরা কেবল পড়তাম আর বাসার নিচে খেলতাম।
আমাদের বাসায় ছোটদের যেই বই আসুক না কেন, আব্বা-আম্মা পড়ে দেখতেন। এখন আমরা বন্ধু রাজনের থেকে লুকিয়ে এনেছি ‘টুয়েন্টি থাউজেন্ড লিগস আন্ডার দ্য সি’। ক্যাপ্টেন নিমোর দুর্ধর্ষ অভিযানের গল্প। লুকিয়ে গল্পের বই পড়ছি বলে আম্মা রেগে-মেগে সেই বই দুই ভাগ করে ফেললেন। আসলে হাত থেকে টান দিয়ে নিতে গিয়ে ছিড়ে যায় বইটা। এরপর জোড়া লাগানোর অজুহাতে বাজেয়াপ্ত করলেন। আরে এরপর দেখি ভদ্রমহিলা আর বই ছাড়েন না, আমাদের খেতে দেন না, গোসলে যেতে তাড়া দেন না, তিনি শুয়ে শুয়ে শেষ করলেন ক্যাপ্টেন নিমোর অসাধারণ অভিযান।
এরপর আব্বা পড়লেন। এরপর বাসার আর সবাই সেই বই পড়তে পারলাম। কানে কানে বলি, আমার বন্ধুর দেওয়া নেওয়ার মেমরি খুব খারাপ বলে সেই বই যে ফেরত দেইনি (ছেঁড়া বই কীভাবে ফেরত দেব), সেটি তার মনেই ছিল না।
এরপর থেকেই কিনতে শুরু করি। ২০১৬/১৭ সালের দিকে আমাদের বাসায় থাকা সব তিন গোয়েন্দা, জুলভার্ন কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। কিন্তু মাথার ভেতরে রয়ে যাওয়া রকিব হাসানকে কে সরাবে বলুন তো? আমি তো ভাবতাম, বাপ-মা ছাড়া সেই কিশোর পাশা আসলে রকিব হাসানেরই ছেলেবেলার গল্প; যা তিনি চার টাকায় পেপারব্যাকে মুড়ে আমাদের কাছে বিকিয়ে ছিলেন।
আজ আমার ‘চার টাকার’ ছেলেবেলা নিয়ে রকিব হাসান চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যতদিন ব্যক্তিগতভাবে আমার স্মৃতি বেঁচে থাকবে, বই বেঁচে থাকবে, আপনিও থাকবেন। সব সময় পেপারব্যাক বইয়ের পাতায় পাতায় বিশ্ব সাহিত্যের বাংলা অনুবাদে আপনি থাকবেন… যে বিশাল জগত আপনি আমাকে ও আমার ছেলেবেলার মানুষগুলোকে দিয়েছেন, তার থেকে তো বিদায় নেই…।
লেখক: কথাসাহিত্যিক

জেনে অবাক হবেন যে, শত বছর আগে বৃহত্তর যশোর (ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ, যশোর) অঞ্চলে বন্যপ্রাণী বাস করত। কোন কোন বন্যপ্রাণী সেখানে ছিল? নদী, জলাভূমি ও পুকুরে কী কী মাছ পাওয়া যেত? ১৯১২ সালের এল এস এস ওম্যালি-এর বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার থেকে অনুবাদ করেছেন ভূ-পর্যটক তারেক অণু।
৪ ঘণ্টা আগে
ভালো ছবি তুলতে হলে যে দামী ক্যামেরা লাগবেই এমন কোনো কথা নেই। সুন্দর ছবি তুলতে হলে ফটোগ্রাফির ‘ব্যাসিক’ কিছু টেকনিক আয়ত্ত করতে হবে। এই সহজ কৌশলগুলো রপ্ত করলেই ক্যামেরা–স্মার্টফোন দুটোই গল্প বলতে শুরু করবে।
৭ ঘণ্টা আগে
‘ফাঁকা বুলি আওড়াবার অভ্যাস আমার নেই। ট্যাংক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা আমার আছে। বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর অধীনে একটি ট্যাংক ইউনিটে অংশগ্রহণে আমি অটল।’ হুঙ্কার ছাড়লেন ৭০ বছর বয়সী অঁদ্রে মালরো। ওয়াশিংটন নিউজ পত্রিকায় ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হলো এ প্রসঙ্গে একটি সম্পাদকীয়।
৯ ঘণ্টা আগে
বিকেলবেলার এক পশলা বৃষ্টি, হাতে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ। জানালার গ্রিল ধরে বাইরে তাকাতেই ইউটিউবের প্লে-লিস্টে বেজে উঠল নব্বই দশকের জনপ্রিয় কোনো গান। ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার বুকের ভেতর কেমন যেন একটা মোচড় দিয়ে ওঠে। কারো চোখে জমা হয় অশ্রুবিন্দু, কিন্তু ঠোঁটের কোণে লেগে থাকে মৃদু হাসি।
১ দিন আগে