শতাব্দীকা ঊর্মি
রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আজ বুধবার ভোরবেলা জোরালোভাবে কেঁপে ওঠে রাশিয়া। এর কারণে রাশিয়ার পাশাপাশি জাপানেও জারি হয় সুনামি সতর্কতা। জাপানের উপকূলে ২ থেকে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। জাপান সরকার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। এই সুনামি আমাদের মনে করিয়ে দেয় এর আগেও মানুষ কতটা বিপর্যস্ত হয়েছে এই দুর্যোগে।
জাপানি শব্দ 'সু' (বন্দর) ও 'নামি' (ঢেউ) থেকে এসেছে ‘সুনামি’। আক্ষরিকভাবে সুনামির অর্থ 'বন্দরের ঢেউ'। এটি সমুদ্র বা অন্য কোনো বড় জলাধারে তৈরি বিশাল এবং বিধ্বংসী ঢেউয়ের সারি। সাধারণ সামুদ্রিক ঢেউয়ের সঙ্গে সুনামির পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ ঢেউ বাতাস বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্টি হয়। আর সুনামি সমুদ্রের তলদেশে ভূমিতে হঠাৎ বড় কোনো পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন হয়। যেমন টেকটনিক প্লেটের পরিবর্তন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গত কয়েক বছরে বেশ কিছু বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর মধ্যে সুনামি অন্যতম। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের তলদেশে তৈরি হয় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে সুনামি। এই দুর্যোগে প্রাণ হারান ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ইন্দোনেশিয়া থেকে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল ওই তাণ্ডব। ওই সুনামিতে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব ভারত, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও মালদ্বীপও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুনামির ধ্বংসযজ্ঞ আফ্রিকাও ছড়িয়ে গিয়েছিল। সেশেল দ্বীপপুঞ্জের পাশাপাশি তানজানিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়াতেও ঘটেছিল প্রাণহানি।
২০১১ সালে জাপানের ভূমিকম্প-সুনামিতে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ফুকোশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় রশ্মি। তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগের পর এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় জাপান। ঘরবাড়ি, পুকুর, খামার–সব ফেলে চলে যেতে হয়েছিল অনেক মানুষকে।
সুনামি হওয়ার প্রধান কারণ হলো ভূমিকম্প। টেকটনিক প্লেটের নড়চড়া এর কারণ। পৃথিবীর ভূ-ভাগের তলদেশের কঠিন অংশকে বলা হয় টেকটনিক প্লেট। সমুদ্রের তলদেশে যখন টেকটনিক প্লেটের হঠাৎ উত্থান-পতন ঘটে, তখন একটা বিশাল আকারের জলরাশি ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই জন্ম নেয় উত্তাল সুনামি। রিখটার স্কেলের ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প থেকেই সুনামি তৈরির জন্য যথেষ্ট। জেনে রাখা ভালো, রিখটার স্কেল দিয়ে ভূকম্পন ১ থেকে ১০ মাত্রায় প্রকাশ করা হয়। যেখানে এক মাত্রা থেকে অপর মাত্রার শক্তির পার্থক্য ৩১ দশমিক ৬ গুণ। অর্থাৎ রিখটারের ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প প্রায় ৩২ গুণ বেশি শক্তিশালী।
কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস থেকেও সুনামি ঘটে। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশের জলরাশি হঠাৎ নিজের জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়লেই সুনামি ধেয়ে আসতে পারে।
সুনামি সমুদ্রের গভীরে খুব বেশি উঁঁচুতে ওঠে না। কিন্তু এর ঢেউগুলো অনেক দীর্ঘ হয়। এটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে (ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত) উপকূলে ছড়িয়ে যেতে পারে। যখন এই ঢেউ উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে যায়, তখন এর গতি কমে যায়। কিন্তু উচ্চতা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে উপকূলে ঘটে ভয়াবহ সব ধ্বংসযজ্ঞ।
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলো হলো 'রিং অব ফায়ার'-এর অঞ্চল। রিং অব ফায়ার হলো টেকটনিক প্লেটগুলোকে ঘিরে গড়ে ওঠা একটি গোল আকৃতির সীমানা। এটি প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে থাকা একটি ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল। জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চিলি, পেরু এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল এই রিং অব ফায়ারের অংশ। এই অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ এবং এখানে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। রিং অব ফায়ারের অঞ্চলগুলোতে বিশ্বের প্রায় ৯০% ভূমিকম্প এবং ৮০% আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে। এই অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটগুলো (যেমন ইউরেশীয় প্লেট, ফিলিপাইন সি প্লেট, ইন্দো-অস্ট্রেলীয় প্লেট) বেশিরভাগ সময় একে অপরের সাথে সংঘর্ষ ঘটায়। এর ফলে ঘনঘন ভূমিকম্প হয় আর তা থেকে হয় সুনামি।
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অনেক গভীর সমুদ্র খাত (মারিয়ানা ট্রেঞ্চ) রয়েছে। যেখানে একটি টেকটনিক প্লেট অন্যটির নিচে চলে যায় (সাবডাকশন জোন)। এই সাবডাকশন জোনগুলোতে তৈরি ভূমিকম্পগুলো শক্তিশালী হয়। এগুলোই উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির শঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আজ বুধবার ভোরবেলা জোরালোভাবে কেঁপে ওঠে রাশিয়া। এর কারণে রাশিয়ার পাশাপাশি জাপানেও জারি হয় সুনামি সতর্কতা। জাপানের উপকূলে ২ থেকে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ে। জাপান সরকার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। এই সুনামি আমাদের মনে করিয়ে দেয় এর আগেও মানুষ কতটা বিপর্যস্ত হয়েছে এই দুর্যোগে।
জাপানি শব্দ 'সু' (বন্দর) ও 'নামি' (ঢেউ) থেকে এসেছে ‘সুনামি’। আক্ষরিকভাবে সুনামির অর্থ 'বন্দরের ঢেউ'। এটি সমুদ্র বা অন্য কোনো বড় জলাধারে তৈরি বিশাল এবং বিধ্বংসী ঢেউয়ের সারি। সাধারণ সামুদ্রিক ঢেউয়ের সঙ্গে সুনামির পার্থক্য রয়েছে। সাধারণ ঢেউ বাতাস বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্টি হয়। আর সুনামি সমুদ্রের তলদেশে ভূমিতে হঠাৎ বড় কোনো পরিবর্তনের ফলে উৎপন্ন হয়। যেমন টেকটনিক প্লেটের পরিবর্তন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গত কয়েক বছরে বেশ কিছু বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর মধ্যে সুনামি অন্যতম। ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরের তলদেশে তৈরি হয় ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। সেই ভূমিকম্পে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে সুনামি। এই দুর্যোগে প্রাণ হারান ২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ। ইন্দোনেশিয়া থেকে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল ওই তাণ্ডব। ওই সুনামিতে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব ভারত, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও মালদ্বীপও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুনামির ধ্বংসযজ্ঞ আফ্রিকাও ছড়িয়ে গিয়েছিল। সেশেল দ্বীপপুঞ্জের পাশাপাশি তানজানিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়াতেও ঘটেছিল প্রাণহানি।
২০১১ সালে জাপানের ভূমিকম্প-সুনামিতে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। ফুকোশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় রশ্মি। তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ায় সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগের পর এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় জাপান। ঘরবাড়ি, পুকুর, খামার–সব ফেলে চলে যেতে হয়েছিল অনেক মানুষকে।
সুনামি হওয়ার প্রধান কারণ হলো ভূমিকম্প। টেকটনিক প্লেটের নড়চড়া এর কারণ। পৃথিবীর ভূ-ভাগের তলদেশের কঠিন অংশকে বলা হয় টেকটনিক প্লেট। সমুদ্রের তলদেশে যখন টেকটনিক প্লেটের হঠাৎ উত্থান-পতন ঘটে, তখন একটা বিশাল আকারের জলরাশি ছড়িয়ে পড়ে। এভাবেই জন্ম নেয় উত্তাল সুনামি। রিখটার স্কেলের ৭.৫ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প থেকেই সুনামি তৈরির জন্য যথেষ্ট। জেনে রাখা ভালো, রিখটার স্কেল দিয়ে ভূকম্পন ১ থেকে ১০ মাত্রায় প্রকাশ করা হয়। যেখানে এক মাত্রা থেকে অপর মাত্রার শক্তির পার্থক্য ৩১ দশমিক ৬ গুণ। অর্থাৎ রিখটারের ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প প্রায় ৩২ গুণ বেশি শক্তিশালী।
কখনো কখনো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস থেকেও সুনামি ঘটে। অর্থাৎ সমুদ্রের তলদেশের জলরাশি হঠাৎ নিজের জায়গা থেকে ছড়িয়ে পড়লেই সুনামি ধেয়ে আসতে পারে।
সুনামি সমুদ্রের গভীরে খুব বেশি উঁঁচুতে ওঠে না। কিন্তু এর ঢেউগুলো অনেক দীর্ঘ হয়। এটি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে (ঘণ্টায় ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত) উপকূলে ছড়িয়ে যেতে পারে। যখন এই ঢেউ উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে যায়, তখন এর গতি কমে যায়। কিন্তু উচ্চতা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পায়। এর ফলে উপকূলে ঘটে ভয়াবহ সব ধ্বংসযজ্ঞ।
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলো হলো 'রিং অব ফায়ার'-এর অঞ্চল। রিং অব ফায়ার হলো টেকটনিক প্লেটগুলোকে ঘিরে গড়ে ওঠা একটি গোল আকৃতির সীমানা। এটি প্রশান্ত মহাসাগরকে ঘিরে থাকা একটি ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল। জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, চিলি, পেরু এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূল এই রিং অব ফায়ারের অংশ। এই অঞ্চলগুলো ভূমিকম্পপ্রবণ এবং এখানে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। রিং অব ফায়ারের অঞ্চলগুলোতে বিশ্বের প্রায় ৯০% ভূমিকম্প এবং ৮০% আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়ে থাকে। এই অঞ্চলে টেকটনিক প্লেটগুলো (যেমন ইউরেশীয় প্লেট, ফিলিপাইন সি প্লেট, ইন্দো-অস্ট্রেলীয় প্লেট) বেশিরভাগ সময় একে অপরের সাথে সংঘর্ষ ঘটায়। এর ফলে ঘনঘন ভূমিকম্প হয় আর তা থেকে হয় সুনামি।
পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অনেক গভীর সমুদ্র খাত (মারিয়ানা ট্রেঞ্চ) রয়েছে। যেখানে একটি টেকটনিক প্লেট অন্যটির নিচে চলে যায় (সাবডাকশন জোন)। এই সাবডাকশন জোনগুলোতে তৈরি ভূমিকম্পগুলো শক্তিশালী হয়। এগুলোই উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামির শঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
আজ আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। বাঘ যেমন আমাদের জীববৈচিত্র্যের প্রতীক, তেমনি একে বনাঞ্চলের রক্ষাকর্তাও বলা হয়। সুন্দরবনে এখন বাঘের সংখ্যা কত? বাঘ দিবসে তথ্য-উপাত্তসহ সে কথা জানাচ্ছেন দেশের শীর্ষ বাঘ-গবেষক।
২ দিন আগেঅভিযোগকারীর দাবি, মৃতদের অধিকাংশই ছিল নারী ও শিশু। তাদের শরীরে তিনি যৌন নির্যাতন ও আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন।
৪ দিন আগেবিশ্লেষকেরা বলছেন, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে বেশ খারাপের দিকে যাবে। আল-জাজিরা বলছে, উভয় দেশের বর্তমান নেতাদের পিতা তথা কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন এবং প্রাক্তন থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধ এই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার রাজনৈতিক খায়েশকে ইন্ধন জোগাবে
৫ দিন আগেবিমান দুর্ঘটনার সময় বা আশঙ্কা থাকলে জেট ফুয়েল পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে বিমানে জেট ফুয়েল ভরা হয়, দুর্ঘটনার সময় ফুয়েল কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং জেট ফুয়েলের আগুন নেভানোর পদ্ধতি নিয়েই এই লেখা।
৬ দিন আগে