leadT1ad

দুর্যোগের আগাম বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দিতে ‘জাতীয় রোডম্যাপ’ প্রকাশ

স্ট্রিম ডেস্ক
স্ট্রিম ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৪
বিটিআরসি সম্মেলন কক্ষে 'সবার জন্য জাতীয় প্রাথমিক সতর্কতা ও রোড ম্যাপ প্রচার' শীর্ষক কর্মশালা। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘মাল্টি-হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস’ (এমএইচইডব্লিউএস) বিষয়ক জাতীয় রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে সময়মতো সতর্কবার্তা পৌঁছে দেওয়া।জাতিসংঘের ‘আর্লি ওয়ার্নিংস ফর অল’ (সবার জন্য জাতীয় প্রাথমিক সতর্কতা) উদ্যোগের আওতায় ২০২৭ সালের মধ্যে সবার জন্য কার্যকর সতর্কবার্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।

আজ রোববার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় এই রোডম্যাপের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেন, ‘এই রোডম্যাপ কেবল একটি কাগুজে পরিকল্পনা নয়। এটি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার। দুর্যোগকবলিত নাগরিকদের প্রাণহানি কমানো ও আমাদের সীমিত সম্পদ রক্ষা করাই এর মূল লক্ষ্য।’ তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাড়তে থাকা ঝুঁকি থেকে প্রতিটি নাগরিককে সুরক্ষিত রাখাই এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য।

প্রযুক্তির ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী বলেন, জীবন বাঁচাতে দ্রুত, নির্ভুল ও সহজলভ্য সতর্কবার্তা অপরিহার্য। বিটিআরসি মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ে নির্ভুল ও ব্যবহারবান্ধব উপায়ে এই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আর্লি ওয়ার্নিংস ফর অল’-এর ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে আগাম সতর্কবার্তাকে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেন, আগাম সতর্কবার্তা কেবল হাতিয়ার নয়, এটি মৌলিক অধিকার। প্রস্তুতি জীবন ও সম্পদ বাঁচায়। কার্যকর সতর্কবার্তা ব্যবস্থা মূলত মানুষের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য বড় বিনিয়োগ।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কবির মো. আশরাফ আলম বলেন, আমাদের লক্ষ্য অত্যন্ত স্পষ্ট—দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সময়মতো আগাম সতর্কবার্তা পায়। ১৯৭২ সাল থেকে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক নেটওয়ার্ক দুর্গম এলাকার মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে ও এই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং আবহাওয়া অধিদপ্তর, বিটিআরসি, রেড ক্রিসেন্ট ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রায় ১৪০ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কপ-২৭ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে আগাম সতর্কবার্তার আওতায় আনার যে বৈশ্বিক ডাক দিয়েছিলেন, তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এই রোডম্যাপ প্রণয়ন করল।

Ad 300x250

সম্পর্কিত