leadT1ad

ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনে আবেদনের সময় বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক

স্ট্রিম প্রতিবেদক
ঢাকা
ডিজিটাল ব্যাংক। প্রতীকী ছবি

দেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক সাঈদা খানম এ তথ্য জানিয়েছেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গত ২৬ আগস্ট দেশের চারটি দৈনিক পত্রিকা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের আবেদন চাওয়া হয়েছিল। আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর। তবে আবেদনকারীদের পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি ও বিভিন্ন দলিলাদি সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনায় আবেদন গ্রহণের তারিখ আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক খাতে বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক খাতের দক্ষতা বাড়ানো, সেবার পরিসর বিস্তৃত করা আর ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসই) অর্থায়নের সুযোগ সহজ করাই এর লক্ষ্য।

এতে আরও বলা হয়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে এই উদ্যোগ। একই সঙ্গে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজে ঋণ পৌঁছে দিতে ডিজিটাল ব্যাংক একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

আবেদনকারীদের নির্ধারিত প্রস্তাবপত্রের সঙ্গে ৫ লাখ টাকা (অফেরতযোগ্য) ফি জমা দিতে হবে। এ টাকা যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে দিতে হবে। শর্ত পূরণ না করলে আবেদন বাতিল হবে। এ ছাড়া আবেদনপত্র সরাসরি জমা দেওয়ার পাশাপাশি ই-মেইলের মাধ্যমেও সব নথি জমা দেওয়া যাবে। বিস্তারিত নির্দেশনা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

মূলধন লাগবে ৩০০ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৩ সালের ১৪ জুন ডিজিটাল ব্যাংকের নীতিমালা করে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ছিল ১২৫ কোটি টাকা। যেখানে প্রচলিত ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে প্রয়োজন ৫০০ কোটি টাকা। তবে সম্প্রতি এই নীতিমালা পরিবর্তন করে মূলধনের সীমা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। গত রোববার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রদান করা হবে ১৯৯১ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায়। আর পেমেন্ট সার্ভিস পরিচালিত হবে ২০১৪ সালের বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশনের অধীনে।

কেমন হবে ডিজিটাল ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য প্রধান কার্যালয় থাকবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন। অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। ডিজিটাল ব্যাংকের নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই হবে অ্যাপ–নির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে।

একটি ডিজিটাল ব্যাংকে দিন–রাত ২৪ ঘণ্টাই সেবা মিলবে। গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। তবে লেনদেনের জন্য কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না। এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। বড় ও মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। তবে ছোট অংকের ঋণ দিতে পারবে।

Ad 300x250

সম্পর্কিত