স্ট্রিম প্রতিবেদক
সকাল সাতটায় কেরানীগঞ্জ থেকে হোসেনি দালানে আসেন আছিয়া বেগম। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে প্রথমেই ইমাম হুসাইনের সমাধির আদলে নির্মিত ‘তাজিয়া’ ছুঁয়ে প্রার্থনা করেন। লাল-সবুজ তিন কোণা নিশানা নিয়ে মিছিলে শামিল হওয়ার অপেক্ষায় তিনি। মিছিলে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই কালো পোশাক পরা, খালি পা। চোখেমুখে বেদনার চিহ্ন।
সকাল ১০টায় মিছিলটি বের হয়। সব বয়সী মানুষের ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। বুকে আঘাত করতে করতে মিছিলটি বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডির দিকে চলে যায়।
আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। আশুরা নামে পরিচিত দিনটি সারা বিশ্বে নানাভাবে পালিত হয়। ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নবীদৌহিত্র ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রা.) সপরিবার নিহত হন। তাঁর শাহাদতের স্মরণে দিনটিতে শোক পালন করা হয়। পুরান ঢাকার হোসেনি দালানসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়।
রবিবার সকালে চানখারপুল মোড় থেকে নাজিমুদ্দিন রোড ধরে এগিয়ে পশ্চিমে পাওয়া যায় সরু গলি। এ গলিতেই হোসেনি দালান ইমামবাড়া। ছয় বিঘা আয়তনের ইমামবাড়ার প্রবেশপথে পাওয়া যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য। নিরাপত্তা তল্লাশি ফটক পেরিয়ে ভেতরে গেলে কালো পোশাকে নগ্ন পায়ে মানুষের যাতায়াত চোখে পড়ে। বেশিরভাগের হাতে লাল-সবুজ নিশান। অনেকে ফুল দিয়ে সাজাচ্ছিলেন পাকপাঞ্জা। বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে এক নারী নিয়ে এসেছেন বেশ বড়সড় একটি মোরগ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সেই নারীর স্বামী জানালেন, মোরগটি মানতের।
প্রবেশ ফটক ডিঙিয়ে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করলে বাঁ পাশে কয়েকটি ঘোড়াকে গোসল করিয়ে যত্ম নিতে দেখা যায়। এর ভেতর রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে নিশান, পাকপাঞ্জা, ফুল নিয়ে ছোট ছোট দল এসে সমবেত হতে থাকে। অনেকে অজু করে মূল ভবনে ইবাদতে মশগুল হয়ে পড়েন। পুকুরপাড়ে বড় ডেকচিতে তখন খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল। সাড়ে ৯টার পরে হোসেনি দালানের সামনে মাইকে শোকসঙ্গীত গাইতে থাকেন শিল্পীরা। সমবেত অনেকে গলা মেলান এসময়।
একজন সুর দিয়ে মাইকে ছোট কালেমা-বড় কালেমা পাঠ করেন। তার সঙ্গে অন্যরাও পাঠ করেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুন রাসুলুল্লাহ, আলিয়ুন ওলিয়ুল্লাহ’। ‘নূরে মুহাম্মদ ইমাম হুসেন, জান্নাতের চাবি আল্লাহ যাকে দিলেন’, ‘কিয়া খবর তুম না রহো, কিয়া খবর হাম না রহে’ গাইতে গাইতে মিছিলটি পথে নেমে আসে। মিছিল বা জুলুসে আরবিতে ‘ইয়া আলী’, ‘ইয়া ফাতিমা’, ‘ইয়া হোসাইন’, ‘ইয়া হাসান’, ‘ইয়া আব্বাস’, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ ইত্যাদি লেখা ঝালর দেওয়া লাল, কালো, সাদা, সবুজ নিশান দেখা যায়। উঁচু নিশান ও পাকপাঞ্জা অনেক কসরত করে বিদ্যুতের তার বাঁচিয়ে এগিয়ে যায় মিছিল।
তাজিয়া মিছিলে কিতাব দেখে একজন সুর করে বিভিন্ন বিয়োগান্তক ও শোকসঙ্গীত গাইতে থাকেন। ‘মিল কর কাহো মুমিনো, হর কওম কি হ্যায় সদা আপনা হ্যায় আপনা হুসেন’ বলতে বলতে সবাই বুকে আঘাত করে মাতম করতে থাকেন। মিছিলে তরবারির প্রতীক থাকলেও ধারালো কোনো বস্তুর ব্যবহার ছিল না। মিছিলে মাঝখানে থাকা ঘোড়ার পায়ে জায়গায় জায়গায় দুধ ঢালতে দেখা গেছে। এসময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক নারী দই, শরবত, পানি পান করিয়েছেন।
সকাল সাতটায় কেরানীগঞ্জ থেকে হোসেনি দালানে আসেন আছিয়া বেগম। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে প্রথমেই ইমাম হুসাইনের সমাধির আদলে নির্মিত ‘তাজিয়া’ ছুঁয়ে প্রার্থনা করেন। লাল-সবুজ তিন কোণা নিশানা নিয়ে মিছিলে শামিল হওয়ার অপেক্ষায় তিনি। মিছিলে অংশ নেওয়া প্রায় সবাই কালো পোশাক পরা, খালি পা। চোখেমুখে বেদনার চিহ্ন।
সকাল ১০টায় মিছিলটি বের হয়। সব বয়সী মানুষের ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ। বুকে আঘাত করতে করতে মিছিলটি বকশীবাজার, উর্দু রোড, লালবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাব হয়ে ধানমন্ডির দিকে চলে যায়।
আজ ১০ মহররম। মুসলমানদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। আশুরা নামে পরিচিত দিনটি সারা বিশ্বে নানাভাবে পালিত হয়। ৬১ হিজরির ১০ মহররম কারবালার ময়দানে নবীদৌহিত্র ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রা.) সপরিবার নিহত হন। তাঁর শাহাদতের স্মরণে দিনটিতে শোক পালন করা হয়। পুরান ঢাকার হোসেনি দালানসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়।
রবিবার সকালে চানখারপুল মোড় থেকে নাজিমুদ্দিন রোড ধরে এগিয়ে পশ্চিমে পাওয়া যায় সরু গলি। এ গলিতেই হোসেনি দালান ইমামবাড়া। ছয় বিঘা আয়তনের ইমামবাড়ার প্রবেশপথে পাওয়া যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য। নিরাপত্তা তল্লাশি ফটক পেরিয়ে ভেতরে গেলে কালো পোশাকে নগ্ন পায়ে মানুষের যাতায়াত চোখে পড়ে। বেশিরভাগের হাতে লাল-সবুজ নিশান। অনেকে ফুল দিয়ে সাজাচ্ছিলেন পাকপাঞ্জা। বুড়িগঙ্গার ওপার থেকে এক নারী নিয়ে এসেছেন বেশ বড়সড় একটি মোরগ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সেই নারীর স্বামী জানালেন, মোরগটি মানতের।
প্রবেশ ফটক ডিঙিয়ে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করলে বাঁ পাশে কয়েকটি ঘোড়াকে গোসল করিয়ে যত্ম নিতে দেখা যায়। এর ভেতর রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে নিশান, পাকপাঞ্জা, ফুল নিয়ে ছোট ছোট দল এসে সমবেত হতে থাকে। অনেকে অজু করে মূল ভবনে ইবাদতে মশগুল হয়ে পড়েন। পুকুরপাড়ে বড় ডেকচিতে তখন খিচুড়ি রান্না হচ্ছিল। সাড়ে ৯টার পরে হোসেনি দালানের সামনে মাইকে শোকসঙ্গীত গাইতে থাকেন শিল্পীরা। সমবেত অনেকে গলা মেলান এসময়।
একজন সুর দিয়ে মাইকে ছোট কালেমা-বড় কালেমা পাঠ করেন। তার সঙ্গে অন্যরাও পাঠ করেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুন রাসুলুল্লাহ, আলিয়ুন ওলিয়ুল্লাহ’। ‘নূরে মুহাম্মদ ইমাম হুসেন, জান্নাতের চাবি আল্লাহ যাকে দিলেন’, ‘কিয়া খবর তুম না রহো, কিয়া খবর হাম না রহে’ গাইতে গাইতে মিছিলটি পথে নেমে আসে। মিছিল বা জুলুসে আরবিতে ‘ইয়া আলী’, ‘ইয়া ফাতিমা’, ‘ইয়া হোসাইন’, ‘ইয়া হাসান’, ‘ইয়া আব্বাস’, ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ ইত্যাদি লেখা ঝালর দেওয়া লাল, কালো, সাদা, সবুজ নিশান দেখা যায়। উঁচু নিশান ও পাকপাঞ্জা অনেক কসরত করে বিদ্যুতের তার বাঁচিয়ে এগিয়ে যায় মিছিল।
তাজিয়া মিছিলে কিতাব দেখে একজন সুর করে বিভিন্ন বিয়োগান্তক ও শোকসঙ্গীত গাইতে থাকেন। ‘মিল কর কাহো মুমিনো, হর কওম কি হ্যায় সদা আপনা হ্যায় আপনা হুসেন’ বলতে বলতে সবাই বুকে আঘাত করে মাতম করতে থাকেন। মিছিলে তরবারির প্রতীক থাকলেও ধারালো কোনো বস্তুর ব্যবহার ছিল না। মিছিলে মাঝখানে থাকা ঘোড়ার পায়ে জায়গায় জায়গায় দুধ ঢালতে দেখা গেছে। এসময় রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক নারী দই, শরবত, পানি পান করিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আড্ডাতেও। কেউ কেউ এই দেয়াললিখনকে বিখ্যাত সুবোধের সঙ্গে মেলাচ্ছেন। ‘হবেকি’র বিখ্যাত গ্রাফিতির সেই সুবোধ।
৪ ঘণ্টা আগেজরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
১০ ঘণ্টা আগেএদিন বিকেলে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে আবার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। বিকেল সাড়ে চারটা থেকে প্রায় একঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা। অবরোধ শেষে নাহিদ ইসলাম ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
১৫ ঘণ্টা আগেমহররমকে সামনে রেখে চলে নানা প্রস্তুতি। চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে শিয়া সম্প্রদায়ের শোক পালনের প্রথা। তাজিয়া মিছিলের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই আয়োজন।
১ দিন আগে