leadT1ad

পর্যটন দ্বীপে ফেরি ডুবি, নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন

ফেরি অপারেটর জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়ার আগে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, একজন সরকারি কর্মকর্তা ঘটনাটির জন্য ‘খারাপ আবহাওয়াকে’ দায়ী করেছেন।

স্ট্রিম ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৪৩
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৪৫
নিখোঁজদের স্বজনেরা অধীর আগ্রহে নতুন খবরের অপেক্ষায় রয়েছেন। ছবি: গেটি ইমেজ

ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ বালির কাছে একটি ফেরি ডুবির ঘটনায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনও অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল। খবর বিবিসির।

ফেরিটিতে ৫৩ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু সদস্য ছিল। বুধবার (২ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে (জিএমটি ১৫:৩৫) ফেরিটি জাভা দ্বীপের পূর্ব উপকূলের বানিউয়াংগি থেকে বালির উদ্দেশে যাত্রা করছিল। পথেই এটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৩১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

জাহাজটি কাত হতে শুরু করার তিন মিনিটের মধ্যেই উল্টে যায়। আমি তখনই লাফ দিতে পেরেছিলাম বেজো সান্তোসো, উদ্ধার হওয়া যাত্রী

ফেরি ডুবির কারণ তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ। ফেরি অপারেটর জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়ার আগে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, একজন সরকারি কর্মকর্তা ঘটনাটির জন্য ‘খারাপ আবহাওয়াকে’ দায়ী করেছেন।

উদ্ধার পাওয়া যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বানিউয়াংগি শহরের বাসিন্দা, তবে কিছু যাত্রী জাভা দ্বীপের আরো ভিতরের এলাকা থেকেও এসেছেন বলে যাত্রী তালিকা থেকে জানা গেছে।

বানিউয়াংগির বাসিন্দা ইমরোন বলেন, ফেরিটি হঠাৎ তিনবার কাত হয়ে যায়। তৃতীয়বার সাগরের পানি যাত্রী কেবিনে ঢুকে পড়ে।

তিনি জানান, ফেরিটি ডুবে যাওয়ার আগে তিনি সাগরে ঝাঁপ দেন। পরে একটি লাইফ জ্যাকেট পেয়ে তা ধরে ভেসে থাকেন। এরপর এক জেলে এসে তাকে উদ্ধার করেন।

আরেকজন যাত্রী বেজো সান্তোসো জানান, তিনি ফেরি কাত হতে শুরু করার পরপরই লাফ দেন এবং একটি লাইফ জ্যাকেট ধরতে সক্ষম হন।

ইন্দোনেশিয়ার আন্তারা সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, জাহাজটি কাত হতে শুরু করার তিন মিনিটের মধ্যেই উল্টে যায়। আমি তখনই লাফ দিতে পেরেছিলাম।

বর্তমানে সৌদি আরব সফরে থাকা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সুবিয়ান্তো এ ঘটনায় জরুরি উদ্ধার তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

ফেরিটি যে রুটে চলছিল তা ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত নৌপথ। জাভা ও বালির মধ্যকার এই রুট স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত।

আন্তারা সংবাদ সংস্থার প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে এবং অনেক মানুষ সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধার অভিযানে থেকে নতুন সংবাদের অপেক্ষায় আছেন।

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া প্রায় ১৭,০০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি বিশাল দ্বীপমালা, যেখানে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে। নিরাপত্তা বিধি প্রয়োগে ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে এসব দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এ বছরের মার্চ মাসেও বালির কাছে একটি নৌকাডুবিতে এক অস্ট্রেলীয় নারী নিহত হন। সেই নৌকাটিতে মোট ১৬ জন যাত্রী ছিলেন।

বিষয়:

দুর্ঘটনা
Ad 300x250

সম্পর্কিত