চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যাকাণ্ড
স্ট্রিম প্রতিবেদক
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আদালতে এসেছিলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। সবার চোখের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এখনো এসব বিশ্বাস করতে পারেন না তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন।
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী আলিফকে। এ ঘটনার সাত মাস পর বুধবার (২ জুলাই) আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু এতে স্বস্তি নেই আলিফের বাবা জামাল উদ্দিনের। আলিফকে হারিয়ে মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আলিফ আমার আদরের সন্তান। ওকে হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছি, এখন কবরের পাশে বসে একা কাঁদি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে, হাত-পা কাঁপে। আলিফ বলত, “বাবা, তুমি এখন বিশ্রাম নাও। আমি দেখব।” সেই ছেলেই আজ নেই! আলিফের মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কথা বলার অবস্থায় নেই। সংসারে এখন কোনো আয় নেই।’
ছেলে হত্যার চার্জশিটের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলিফের মা হোসনে আরা।
আদরের ছেলের ছবি বুকে চেপে ধরে আলিফের মা বলেন, ‘চার্জশিট দিল শুনলাম, কিন্তু আমার বুকের খালি জায়গা তো আর পূরণ হল না। আলিফ আমার চোখের আলো ছিল। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলত না। আলিফ হত্যার বিচার চাই। তার চেয়েও বেশি চাই, আমার ছেলেকে যেন আল্লাহ তাঁর কাছে শান্তিতে রাখেন।’
মা হোসনে আরা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শহরে যাওয়ার আগে আমাকে বলে গেল, “আম্মা, বাড়িতে আবার ফিরেই তোমার জন্য ফল আনব।” কিন্তু আর ফিরল না, ফিরল কাফনের কাপড়ে। আমি আর কার জন্য খাবার রাঁধি? কার জন্য অপেক্ষা করি?’
চার্জশিটে ৩৮ জনের নাম আছে জেনে হতাশার সুরও ছিল তাঁর কণ্ঠে। ‘ওরা এতজন মিলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমার ছেলেকে কুপিয়ে মারতে কীভাবে তাদের হাত কাঁপেনি? ওরা তো কেউ না কেউয়ের সন্তান! একটা মাকে এত কষ্ট দিতেও কি তাদের বুক ফাটেনি?’
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় দেওয়া চার্জশিটে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রভাবশালীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাবে বলে শঙ্কা জামাল উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে তো খুন করেছে। কিন্তু আমি গরিব মানুষ। আমি শুধু চাই, দোষীরা শাস্তি পাক। যেন আর কোনো বাবাকে সন্তানের লাশ কাঁধে নিতে না হয়।’
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে চিন্ময় দাসসহ ২০ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি ১৮ জন এখনো পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আলিফ হত্যাকাণ্ডে প্রথমে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজকাপুর মেথরকে চার্জশিটে রাখা হয়নি। এ তিনজনের বিষয়ে চার্জশিটে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে এ তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে ২৮ জনের সঙ্গে চিন্ময় দাসসহ ১০ জনকে যুক্ত করে মোট ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে চিন্ময় দাশ অন্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হন চিন্ময় দাশ। গত বছরের ২৬ নভেম্বর তাঁকে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। সেদিন তাঁর জামিন নামঞ্জুর হলে আদা1লতপাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন তাঁর কয়েক শ অনুসারী-সমর্থক।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ইসকন কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন তাঁরা। এক পর্যায়ে ইসকন কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা আদালতপাড়ার অদূরের রঙ্গম হলের গলির মুখে চলে যান। এ সময় আদালতের শেষে বাসা ফেরার জন্য সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে মেথরপট্টির দিকে নিয়ে যান ৩০ থেকে ৪০ জন ইসকনকর্মী। সেখানে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় আসামিরা বঁটি, কিরিচ দিয়ে ঘাড়ে, পেটে, শরীরে কোপ মারেন। এতে নিথর হয়ে আসে আলিফের শরীর।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আদালতে এসেছিলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। সবার চোখের সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়। এখনো এসব বিশ্বাস করতে পারেন না তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন।
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় তরুণ আইনজীবী আলিফকে। এ ঘটনার সাত মাস পর বুধবার (২ জুলাই) আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এতে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু এতে স্বস্তি নেই আলিফের বাবা জামাল উদ্দিনের। আলিফকে হারিয়ে মানসিক ও আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আলিফ আমার আদরের সন্তান। ওকে হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছি, এখন কবরের পাশে বসে একা কাঁদি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে, হাত-পা কাঁপে। আলিফ বলত, “বাবা, তুমি এখন বিশ্রাম নাও। আমি দেখব।” সেই ছেলেই আজ নেই! আলিফের মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। কথা বলার অবস্থায় নেই। সংসারে এখন কোনো আয় নেই।’
ছেলে হত্যার চার্জশিটের খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন আলিফের মা হোসনে আরা।
আদরের ছেলের ছবি বুকে চেপে ধরে আলিফের মা বলেন, ‘চার্জশিট দিল শুনলাম, কিন্তু আমার বুকের খালি জায়গা তো আর পূরণ হল না। আলিফ আমার চোখের আলো ছিল। কারও সঙ্গে উচ্চস্বরে কথা বলত না। আলিফ হত্যার বিচার চাই। তার চেয়েও বেশি চাই, আমার ছেলেকে যেন আল্লাহ তাঁর কাছে শান্তিতে রাখেন।’
মা হোসনে আরা বলেন, ‘কয়েক দিন আগে শহরে যাওয়ার আগে আমাকে বলে গেল, “আম্মা, বাড়িতে আবার ফিরেই তোমার জন্য ফল আনব।” কিন্তু আর ফিরল না, ফিরল কাফনের কাপড়ে। আমি আর কার জন্য খাবার রাঁধি? কার জন্য অপেক্ষা করি?’
চার্জশিটে ৩৮ জনের নাম আছে জেনে হতাশার সুরও ছিল তাঁর কণ্ঠে। ‘ওরা এতজন মিলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলল। আমার ছেলেকে কুপিয়ে মারতে কীভাবে তাদের হাত কাঁপেনি? ওরা তো কেউ না কেউয়ের সন্তান! একটা মাকে এত কষ্ট দিতেও কি তাদের বুক ফাটেনি?’
সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় দেওয়া চার্জশিটে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসসহ ৩৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রভাবশালীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাবে বলে শঙ্কা জামাল উদ্দিনের। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে তো খুন করেছে। কিন্তু আমি গরিব মানুষ। আমি শুধু চাই, দোষীরা শাস্তি পাক। যেন আর কোনো বাবাকে সন্তানের লাশ কাঁধে নিতে না হয়।’
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে চিন্ময় দাসসহ ২০ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। বাকি ১৮ জন এখনো পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আলিফ হত্যাকাণ্ডে প্রথমে ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর মধ্যে গগন দাশ, বিশাল দাশ ও রাজকাপুর মেথরকে চার্জশিটে রাখা হয়নি। এ তিনজনের বিষয়ে চার্জশিটে বলা হয়েছে, ঘটনার সঙ্গে এ তিনজনের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে ২৮ জনের সঙ্গে চিন্ময় দাসসহ ১০ জনকে যুক্ত করে মোট ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে চিন্ময় দাশ অন্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হন চিন্ময় দাশ। গত বছরের ২৬ নভেম্বর তাঁকে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। সেদিন তাঁর জামিন নামঞ্জুর হলে আদা1লতপাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন তাঁর কয়েক শ অনুসারী-সমর্থক।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, ইসকন কর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন তাঁরা। এক পর্যায়ে ইসকন কর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা আদালতপাড়ার অদূরের রঙ্গম হলের গলির মুখে চলে যান। এ সময় আদালতের শেষে বাসা ফেরার জন্য সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। তাঁকে টেনেহিঁচড়ে মেথরপট্টির দিকে নিয়ে যান ৩০ থেকে ৪০ জন ইসকনকর্মী। সেখানে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় আসামিরা বঁটি, কিরিচ দিয়ে ঘাড়ে, পেটে, শরীরে কোপ মারেন। এতে নিথর হয়ে আসে আলিফের শরীর।
দেশে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ নির্বাচনের আগেই উদ্ধার হবে বলে আশাবাদী সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেরিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব ও বাসদ নেতা মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, কয়েকটা প্রতিষ্ঠানকে উৎপাদন-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন যদি একচেটিয়া মার্কেটিং করে নিজেদের লোকের হাতে উৎপাদন ক্ষমতা দেন, তাহলে এখানে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়।’
৭ ঘণ্টা আগেপরাজিত শক্তির রেখে যাওয়া পুরাতন বন্দোবস্ত পরিবর্তন করা ছাড়া কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবেনা। যত দ্রুত সংষ্কার হবে, তত তাড়াতাড়ি দেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। আমরা জুলাই পদযাত্রার মাধ্যমে যে সাড়া পাচ্ছি তাতে জনগণের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করেই ছাড়ব।
৮ ঘণ্টা আগেওসি মাহফুজুর রহমান জানান, মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল রোকসানা আক্তার রুবির পরিবারের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগ তুলে আজ সকালে রুবি ও তাঁর ছেলেমেয়েদের ‘গণপিটুনি’ দেয় এলাকার লোকজন।
১০ ঘণ্টা আগে