১৯২১ সালের আজকের দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এ যাত্রায় অনেকেই এর গায়ে ধর্মীয় পরিচয় লেপ্টে দিতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে পাড়ি দিতে হয়েছে বিচিত্র সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আর এর সবকিছুর প্রভাব পড়েছে মনোগ্রামে। এই মনোগ্রাম শুধু একটি প্রতীক নয় বরং সময়ের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের এক জীবন্ত দলিল।
কৌরিত্র পোদ্দার তীর্থ
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১০৪ বছরে পৌঁছেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯২১ সালের আজকের দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এ যাত্রায় অনেকেই এর গায়ে ধর্মীয় পরিচয় লেপ্টে দিতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে পাড়ি দিতে হয়েছে বিচিত্র সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আর এর সবকিছুর প্রভাব পড়েছে মনোগ্রামে। এই মনোগ্রাম শুধু একটি প্রতীক নয় বরং সময়ের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের এক জীবন্ত দলিল। কখনো এতে ছিল ধর্মীয় চিহ্ন, কখনো-বা সংগ্রামের প্রতীক। এসব প্রতীক কীভাবে বদলে গেছে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে, তারই গল্প উঠে এসেছে এই লেখায়।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর ‘ঢাকার কথা’ বইতে লিখছেন, ‘বঙ্গভঙ্গ রদ এবং নবগঠিত পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ বাতিলের ফলে এ অঞ্চলের মুসলমান জনসাধারণের মধ্যে যে হতাশা নেমে আসে, তাতে প্রলেপদানের জন্য ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়।’
ঢাকার তৎকালীন গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য লর্ড লিটন ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে এসে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ‘স্প্লেনডিড ইম্পেরিয়াল কমপেনসেশন’। অর্থাৎ এত দিন পূর্ববঙ্গের মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তরফ থেকে তার চমৎকার এক ক্ষতিপূরণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
মুসলমান জনসাধারণের হতাশা কাটাবার জন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে এ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলেও ‘সম্প্রদায়-ভিত্তিক’ বিশ্ববিদ্যালয় বানানো শাসকদের লক্ষ্য ছিল না। ১৯১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একদল লোক গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জের সঙ্গে দেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে স্মারকলিপি দেন। লর্ড হার্ডিঞ্জ তখন বলেন, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সেটি একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। কোনো মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে শুধু মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হবে না, তার প্রমাণ পাওয়া যায় শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে। এ সময় অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীই ছিলেন হিন্দু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় আরেকটি বিষয় থেকে–এর মনোগ্রাম। কেননা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর মনোগ্রামে নানা ধর্মের প্রতীকের দেখা মেলে।
এ সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে চারটি উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। স্বস্তিকা চিহ্ন, নতুন চাঁদ, ধর্মচক্র ও গোলাপ। এ গোলাপকে অনেকেই ব্রিটিশরাজের প্রতীক বলে মনে করেন। বাকিগুলো মূলত ধর্মীয় প্রতীক। গোলাপকেও অনেকে খ্রিস্টধর্মের প্রতীক হিসেবে দেখেন। কেননা বাইবেলে গোলাপকে সৌন্দর্য ও ঈশ্বরের সৃষ্টি হিসেবে দেখা হয়েছে।
উনিশ শতকে কলকাতায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু হিন্দুদের পড়াশোনার অধিকার ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে এদিক থেকে ব্যতিক্রম, এতে যে সবধর্মের সম্মিলন ঘটেছে, তা বোঝাতেই হয়তো এখানে এই প্রতীকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
এ সময় মনোগ্রামে লেখা ছিল, ‘ট্রুথ শ্যাল প্রিভেইল’- অর্থাৎ, সত্যের জয় হবেই।
তখন পাকিস্তান শাসনামল। এবারও শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় চর্চার প্রতিফলন ঘটে মনোগ্রামে। নতুন চাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয় তারা। স্বস্তিকা চিহ্ন, ধর্মচক্র ও গোলাপ বাদ পড়ে। তার জায়গায় যুক্ত হয় পবিত্র আল-কোরআন ও কোরআনের বাণী। বাংলার ভৌগোলিক পরিচিতি হিসেবে এ মনোগ্রামে জায়গা পায় নৌকা, ধান ও পাটের ছড়া।
পরিবর্তিত মনোগ্রামে আরবিতে ‘ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক’ লেখা ছিল। যার অর্থ, ‘পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ধারা মেনে দেশ স্বাধীনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে আসে আবার পরিবর্তন। ধর্মীয় সব চিহ্ন এখান থেকে সরে যায়। তার জায়গায় জাতীয় ফুল শাপলার দেখা মেলে, যা থেকে চারিদিকে আলো ছড়াচ্ছে। আগের দুটি মনোগ্রামে ইংরেজি ও আরবি লেখা থাকলেও বাংলা ছিল না। নতুন নকশায় প্রথমবারের মতো বাংলা হরফের দেখা মেলে। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখা হয় বাংলায়। সেইসঙ্গে নতুন স্লোগান ঠিক করা হয়, ‘শিক্ষাই আলো’।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মনোগ্রাম, তার নকশাকার শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কথায় এ নকশা তৈরি করেন তিনি।
নীলচে-বেগুনি রঙের এ মনোগ্রামের চারটি অংশ রয়েছে। সবার ওপরে একটি প্রদীপ জ্বলছে, যার ওপরে লেখা ‘শিক্ষাই আলো’। নিচে বাঁ পাশে ভাসমান শাপলা ফুল ও ডানপাশে একটি চোখ। চোখের মাঝখানে ‘অ’ লেখা। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতীক হিসেবে চোখের ছবি এসেছে। মনোগ্রামের একদম নিচে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম শুধু একটি চিহ্ন নয়, এটি ইতিহাসের আয়না। শুরুর ব্রিটিশ-সেক্যুলার পরিচয়, পাকিস্তান শাসনামলের রাজনৈতিক রং এবং স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের সন্ধান–সবই প্রতিফলিত হয়েছে এর প্রতীকী ভাষায়। শত বছরের পথচলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম যেমন বদলেছে, তেমনি বদলেছে দেশ, সমাজ আর আমাদের চেতনা।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১০৪ বছরে পৌঁছেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯২১ সালের আজকের দিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। এ যাত্রায় অনেকেই এর গায়ে ধর্মীয় পরিচয় লেপ্টে দিতে চেয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে পাড়ি দিতে হয়েছে বিচিত্র সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আর এর সবকিছুর প্রভাব পড়েছে মনোগ্রামে। এই মনোগ্রাম শুধু একটি প্রতীক নয় বরং সময়ের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের এক জীবন্ত দলিল। কখনো এতে ছিল ধর্মীয় চিহ্ন, কখনো-বা সংগ্রামের প্রতীক। এসব প্রতীক কীভাবে বদলে গেছে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে, তারই গল্প উঠে এসেছে এই লেখায়।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তাঁর ‘ঢাকার কথা’ বইতে লিখছেন, ‘বঙ্গভঙ্গ রদ এবং নবগঠিত পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশ বাতিলের ফলে এ অঞ্চলের মুসলমান জনসাধারণের মধ্যে যে হতাশা নেমে আসে, তাতে প্রলেপদানের জন্য ক্ষতিপূরণ স্বরূপ ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়।’
ঢাকার তৎকালীন গভর্নর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আচার্য লর্ড লিটন ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে এসে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ‘স্প্লেনডিড ইম্পেরিয়াল কমপেনসেশন’। অর্থাৎ এত দিন পূর্ববঙ্গের মানুষের যে ক্ষতি হয়েছে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের তরফ থেকে তার চমৎকার এক ক্ষতিপূরণ হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
মুসলমান জনসাধারণের হতাশা কাটাবার জন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে এ বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হলেও ‘সম্প্রদায়-ভিত্তিক’ বিশ্ববিদ্যালয় বানানো শাসকদের লক্ষ্য ছিল না। ১৯১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় রাসবিহারী ঘোষের নেতৃত্বে একদল লোক গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জের সঙ্গে দেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিপক্ষে স্মারকলিপি দেন। লর্ড হার্ডিঞ্জ তখন বলেন, ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সেটি একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় হবে। কোনো মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে শুধু মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় হবে না, তার প্রমাণ পাওয়া যায় শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে। এ সময় অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীই ছিলেন হিন্দু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় আরেকটি বিষয় থেকে–এর মনোগ্রাম। কেননা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুর মনোগ্রামে নানা ধর্মের প্রতীকের দেখা মেলে।
এ সময়ের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে চারটি উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। স্বস্তিকা চিহ্ন, নতুন চাঁদ, ধর্মচক্র ও গোলাপ। এ গোলাপকে অনেকেই ব্রিটিশরাজের প্রতীক বলে মনে করেন। বাকিগুলো মূলত ধর্মীয় প্রতীক। গোলাপকেও অনেকে খ্রিস্টধর্মের প্রতীক হিসেবে দেখেন। কেননা বাইবেলে গোলাপকে সৌন্দর্য ও ঈশ্বরের সৃষ্টি হিসেবে দেখা হয়েছে।
উনিশ শতকে কলকাতায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু হিন্দুদের পড়াশোনার অধিকার ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে এদিক থেকে ব্যতিক্রম, এতে যে সবধর্মের সম্মিলন ঘটেছে, তা বোঝাতেই হয়তো এখানে এই প্রতীকগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।
এ সময় মনোগ্রামে লেখা ছিল, ‘ট্রুথ শ্যাল প্রিভেইল’- অর্থাৎ, সত্যের জয় হবেই।
তখন পাকিস্তান শাসনামল। এবারও শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় চর্চার প্রতিফলন ঘটে মনোগ্রামে। নতুন চাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয় তারা। স্বস্তিকা চিহ্ন, ধর্মচক্র ও গোলাপ বাদ পড়ে। তার জায়গায় যুক্ত হয় পবিত্র আল-কোরআন ও কোরআনের বাণী। বাংলার ভৌগোলিক পরিচিতি হিসেবে এ মনোগ্রামে জায়গা পায় নৌকা, ধান ও পাটের ছড়া।
পরিবর্তিত মনোগ্রামে আরবিতে ‘ইকরা বিসমি রাব্বি কাল্লাজি খালাক’ লেখা ছিল। যার অর্থ, ‘পড় তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ধারা মেনে দেশ স্বাধীনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে আসে আবার পরিবর্তন। ধর্মীয় সব চিহ্ন এখান থেকে সরে যায়। তার জায়গায় জাতীয় ফুল শাপলার দেখা মেলে, যা থেকে চারিদিকে আলো ছড়াচ্ছে। আগের দুটি মনোগ্রামে ইংরেজি ও আরবি লেখা থাকলেও বাংলা ছিল না। নতুন নকশায় প্রথমবারের মতো বাংলা হরফের দেখা মেলে। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখা হয় বাংলায়। সেইসঙ্গে নতুন স্লোগান ঠিক করা হয়, ‘শিক্ষাই আলো’।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মনোগ্রাম, তার নকশাকার শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কথায় এ নকশা তৈরি করেন তিনি।
নীলচে-বেগুনি রঙের এ মনোগ্রামের চারটি অংশ রয়েছে। সবার ওপরে একটি প্রদীপ জ্বলছে, যার ওপরে লেখা ‘শিক্ষাই আলো’। নিচে বাঁ পাশে ভাসমান শাপলা ফুল ও ডানপাশে একটি চোখ। চোখের মাঝখানে ‘অ’ লেখা। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতীক হিসেবে চোখের ছবি এসেছে। মনোগ্রামের একদম নিচে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম শুধু একটি চিহ্ন নয়, এটি ইতিহাসের আয়না। শুরুর ব্রিটিশ-সেক্যুলার পরিচয়, পাকিস্তান শাসনামলের রাজনৈতিক রং এবং স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের সন্ধান–সবই প্রতিফলিত হয়েছে এর প্রতীকী ভাষায়। শত বছরের পথচলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম যেমন বদলেছে, তেমনি বদলেছে দেশ, সমাজ আর আমাদের চেতনা।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনী ব্যবস্থার আড়ালে আবার দেশের রাজনীতিতে ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের পথ সুগম করে দেয়া হচ্ছে কি-না, তা সবার গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার।
১৪ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলা করেছিল, সেই ফ্যাসিস্টরা এখনও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। গত ১৬ বছর শেখ হাসিনাসহ তার দোসররা দেশের মানুষের ওপর অন্যায়-অত্যাচার করেছে, তাদের বিচার আমরা অবশ্যই নিশ্চিত করব।
১৭ ঘণ্টা আগে১৬ জুলাই নিয়ে নাটক করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন।
২০ ঘণ্টা আগেবাঙালিরা কখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাস করতে শুরু করেন, সেই তথ্য ইতিহাসে পরিষ্কার নয়। তবে ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৭৬৩ সালে কিছু বাঙালি পয়লা গিয়েছিলেন মার্কিন দেশে। পূর্ব বাংলার চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল থেকে কিছু মানুষকে দাস বা চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক হিসেবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে।
২ দিন আগে