leadT1ad

গণসংহতির দশকপূর্তি

বাংলাদেশের নতুন যাত্রা ন্যায়বিচারের ওপর দাঁড়াতে হবে: জোনায়েদ সাকি

স্ট্রিম প্রতিবেদক
স্ট্রিম প্রতিবেদক

গণসংহতির দশকপূর্তি উপলক্ষে দলটির 'মাথাল র‍্যালি'। ছবি: সংগৃহীত

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্যই হবে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের ভিত্তি এবং দেশের পুনর্গঠন ও নতুন যাত্রাকে অবশ্যই ন্যায়বিচারের ওপর দাঁড়াতে হবে। এ কারণে তিনি ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বিচার সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখাকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক দল হিসেবে এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ ও দলীয় প্রতীক মাথাল সম্বলিত ‘র‍্যালি’-তে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেউ যাতে ঐক্যে কোনোভাবে ফাটল ধরাতে না পারে, তার জন্য আপনাদের সদা প্রস্তুত, সদা সতর্ক এবং সদা চেষ্টা করে যেতে হবে।’

দেশের বিদ্যমান সংকট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা এখনও বিপর্যয় কাটিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। আমাদের মৌলিক সংস্কার দরকার। সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার দরকার। এই সবকিছু থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে আমাদের গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন দরকার, যা একইসাথে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ফেব্রুয়ারির মধ্যে হতে হবে।’

ন্যায়বিচারের গুরুত্বারোপ করে সাকি আরও বলেন, ‘যে রাষ্ট্র ন্যায়বিচার দিতে পারে না, সেই রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না। সকল হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, সব ধরনের লুটপাট এবং ঘরে-বাইরে যত ধরনের অপরাধ হয়, মানুষ যাতে ন্যায়বিচার পায়, সেই রকম ব্যবস্থা আমাদের কায়েম করতে হবে।’

তিনি অভিযোগ করেন, একদল ঘৃণা, বিভাজন ও ট্যাগিংয়ের রাজনীতি করে আরেকটি জবরদস্তিমূলক শাসন কায়েম করতে চায়। তিনি বলেন, ‘এক ফ্যাসিবাদের বদলে অন্য কোনো জবরদস্তি বাংলাদেশের মানুষ সহ্য করবে না।’

সমাবেশে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ২০০২ সালে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে গণসংহতি আন্দোলন যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৫ সালে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

আবুল হাসান রুবেল জুলাই সনদের গণভোটের ধারাগুলো অস্পষ্ট উল্লেখ করে বলেন, ‘আদেশের প্রতিটি ধারার বিষয়ে জনগণকে পরিষ্কারভাবে জানানো এবং নির্বাচনের আগেই গণভোটের বিষয়বস্তু ও প্রক্রিয়া বিষয়ে জনগণকে অবহিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।’

দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণ না হলে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, শ্রমিকরা কাজ পাবে না।’ তিনি গত ১৫ বছরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের ইতিহাসকে অস্বীকার না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সমাবেশ শেষে বর্ণাঢ্য ‘মাথাল র‍্যালি’ অনুষ্ঠিত হয়। দলের নেতাকর্মীরা মাথায় মাথাল পরে, হাতে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে শাহবাগ, বাংলামোটর ও মগবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন অঞ্চলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Ad 300x250

সম্পর্কিত