স্ট্রিম প্রতিবেদক
জুলাই মাসজুড়ে দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)৷ কর্মসূচি হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় পথসভা করেছে দলটি৷ বিভিন্ন জেলায় পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র না দেয়, তাহলে ৩ আগস্ট ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি।
রাত পেরোলেই ৩ আগস্ট, রোববার৷ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক একদফা ঘোষণার দিন৷ এদিন বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ করবে এনসিপি৷ তবে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে ‘বিবেচনার’ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় স্ট্রিমকে বলেন, ‘আর ২৪ ঘণ্টা সময় বাকি আছে, সরকার যদি এর মধ্যে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা না দেয় তাহলে ৩ তারিখ আমাদের ঘোষিত প্রোগ্রাম, ঘোষিত শিরোনামেই হবে৷ এদিন আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র, এনসিপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি এবং পার্টির ইশতেহার ডিক্লেয়ার করব৷’
তবে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ‘দ্বিধার’ কথাও জানিয়েছেন অনিক৷ তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এর আগে দুই দুইবার জুলাই ঘোষণাপত্রের তারিখ দিয়ে পিছিয়েছে সরকার৷ আগামী ৫ আগস্ট বড় প্রোগ্রাম করবে সরকার৷ তবে ৩ তারিখের আগে সরকার যদি ক্লিয়ারলি ঘোষণা করে, জুলাই ঘোষণাপত্র কবে পাস হবে, সেটা ৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে জানাবে৷ তাহলে আমরা সেটা মানব৷ সেক্ষেত্রে ৩ তারিখ ঘোষণাপত্র দেওয়ার বিষয়টাও আমরা বিবেচনা করব৷’
এনসিপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আরশাদ। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘৩ আগস্ট একটা ঐতিহাসিক দিন৷ এই দিন একদফা ঘোষণা করা হয়েছিল৷ ওইটা আমাদের জন্য একটা আইডেন্টিক্যাল প্রোগ্রাম৷ ফলে আগামী ৩ তারিখ আমরা প্রোগ্রামটা করব৷ এর আগে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না আসে, তাহলে আমরা হার্ড লাইনে যাব৷’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কি এনসিপির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে, এমন প্রশ্নে আরশাদ বলেন, ‘তিন তারিখ প্রোগ্রামটা হবে৷ আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি আছে৷ তবে ঘোষণাটা দেওয়া হবে কিনা, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ডিপেন্ড করছে৷’
এদিকে ৩ আগস্টের সমাবেশে সারা দেশের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাঁর বরাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ‘আগামী ৩ আগস্ট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। তাই ৬৪ জেলা থেকে এনসিপির নেতাকর্মীদেরও সেদিন উপস্থিত থাকার আহ্বান রইল। প্রতিটি জেলা, উপজেলার সমন্বয় কমিটিকে নিজ নিজ অঞ্চল তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ঐতিহাসিক প্রোগ্রামটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন।’
তবে এনসিপির এই ফেসবুক পোস্টেও জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘২০২৪ এর ৩ আগস্ট যেখানে এক দফার ঘোষণা হয়েছিল। সেই শহীদ মিনারেই আগামী ৩ আগস্ট, রোজ রবিবার এক দফার ঘোষক নাহিদ ইসলাম আসছেন এনসিপিকে নিয়ে। সেখানেই তুলে ধরবেন বিগত একমাস ধরে পাওয়া এদেশের নাগরিকদের ভাবনাগুলো, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনসিপির প্রতিশ্রুতিগুলো এবং ঘোষণা করবেন জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘আগামী ৩ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু আসছে। দেখা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সন্ধিক্ষণে।’
বিভিন্ন মহল থেকে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগস্ট মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে এ ঘোষণা ৫ আগস্টের আগেই দেওয়ার দাবিতে গত কয়েকদিন রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিল আহত জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন। এরই মধ্যে গত ৩১ জুলাই তিনটি রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির কাছে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৬ দফা খসড়া পাঠিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে দলগুলো তাদের সংশোধিত মতামত সরকারকে পাঠিয়েছে।
সবশেষ শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের মধ্যে আসছে কাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র।
শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও নির্দিষ্ট করে জানান, আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জাতির সামনে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট, ২০২৫ বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সকল পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অবিলম্বে ঘোষণা করা হবে।'
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৩ আগস্ট) শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শুরুতে এনসিপি ও ছাত্রদল- উভয়েই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার কথা জানায়। তবে শেষ পর্যন্ত ‘এনসিপির অনুরোধে’ স্থান পরিবর্তন করার কথা জানায় ছাত্রদল।
গত বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমরা যেহেতু ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচিটি প্রথম ঘোষণা করি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিও লাভ করি, তাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার আমরাই একমাত্র বৈধ দাবিদার। তারপরও আমরা এনসিপির অনুরোধকে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ছাত্র সমাবেশের স্থানটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ৩ আগস্টে সমাবেশ সেদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পরিবর্তে শাহবাগে অনুষ্ঠিত হবে।’
একান্তই ‘উদারনৈতিক রাজনৈতিক অবস্থানের’ উদাহরণ হিসেবে এই স্থান পরিবর্তন বলেও জানান ছাত্রদলের এই নেতা। তবে এরফলে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে যদি কোনও ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়, সেজন্য নগরবাসীর কাছে আগেই দুঃখপ্রকাশ করেন রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, তারা এই দিনটির তাৎপর্য ও আমাদের স্থান পরিবর্তনকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন।‘
জুলাই মাসজুড়ে দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)৷ কর্মসূচি হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় পথসভা করেছে দলটি৷ বিভিন্ন জেলায় পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার যদি জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র না দেয়, তাহলে ৩ আগস্ট ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি।
রাত পেরোলেই ৩ আগস্ট, রোববার৷ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক একদফা ঘোষণার দিন৷ এদিন বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সমাবেশ করবে এনসিপি৷ তবে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে ‘বিবেচনার’ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় স্ট্রিমকে বলেন, ‘আর ২৪ ঘণ্টা সময় বাকি আছে, সরকার যদি এর মধ্যে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা না দেয় তাহলে ৩ তারিখ আমাদের ঘোষিত প্রোগ্রাম, ঘোষিত শিরোনামেই হবে৷ এদিন আমরা জুলাই ঘোষণাপত্র, এনসিপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচি এবং পার্টির ইশতেহার ডিক্লেয়ার করব৷’
তবে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ‘দ্বিধার’ কথাও জানিয়েছেন অনিক৷ তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘এর আগে দুই দুইবার জুলাই ঘোষণাপত্রের তারিখ দিয়ে পিছিয়েছে সরকার৷ আগামী ৫ আগস্ট বড় প্রোগ্রাম করবে সরকার৷ তবে ৩ তারিখের আগে সরকার যদি ক্লিয়ারলি ঘোষণা করে, জুলাই ঘোষণাপত্র কবে পাস হবে, সেটা ৫ আগস্টের অনুষ্ঠানে জানাবে৷ তাহলে আমরা সেটা মানব৷ সেক্ষেত্রে ৩ তারিখ ঘোষণাপত্র দেওয়ার বিষয়টাও আমরা বিবেচনা করব৷’
এনসিপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আরশাদ। তিনি স্ট্রিমকে বলেন, ‘৩ আগস্ট একটা ঐতিহাসিক দিন৷ এই দিন একদফা ঘোষণা করা হয়েছিল৷ ওইটা আমাদের জন্য একটা আইডেন্টিক্যাল প্রোগ্রাম৷ ফলে আগামী ৩ তারিখ আমরা প্রোগ্রামটা করব৷ এর আগে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দিকনির্দেশনা না আসে, তাহলে আমরা হার্ড লাইনে যাব৷’
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে কি এনসিপির সিদ্ধান্তে পরিবর্তন এসেছে, এমন প্রশ্নে আরশাদ বলেন, ‘তিন তারিখ প্রোগ্রামটা হবে৷ আমাদের জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি আছে৷ তবে ঘোষণাটা দেওয়া হবে কিনা, সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ডিপেন্ড করছে৷’
এদিকে ৩ আগস্টের সমাবেশে সারা দেশের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তাঁর বরাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়, ‘আগামী ৩ আগস্ট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। তাই ৬৪ জেলা থেকে এনসিপির নেতাকর্মীদেরও সেদিন উপস্থিত থাকার আহ্বান রইল। প্রতিটি জেলা, উপজেলার সমন্বয় কমিটিকে নিজ নিজ অঞ্চল তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে সমন্বয় করে এই ঐতিহাসিক প্রোগ্রামটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন এনসিপির সদস্য সচিব জনাব আখতার হোসেন।’
তবে এনসিপির এই ফেসবুক পোস্টেও জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা গেছে। ওই পোস্টে বলা হয়, ‘২০২৪ এর ৩ আগস্ট যেখানে এক দফার ঘোষণা হয়েছিল। সেই শহীদ মিনারেই আগামী ৩ আগস্ট, রোজ রবিবার এক দফার ঘোষক নাহিদ ইসলাম আসছেন এনসিপিকে নিয়ে। সেখানেই তুলে ধরবেন বিগত একমাস ধরে পাওয়া এদেশের নাগরিকদের ভাবনাগুলো, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এনসিপির প্রতিশ্রুতিগুলো এবং ঘোষণা করবেন জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচি।’
পোস্টে আরও বলা হয়, ‘আগামী ৩ আগস্ট বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু আসছে। দেখা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সন্ধিক্ষণে।’
বিভিন্ন মহল থেকে দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগস্ট মাসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে এ ঘোষণা ৫ আগস্টের আগেই দেওয়ার দাবিতে গত কয়েকদিন রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিল আহত জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন সংগঠন। এরই মধ্যে গত ৩১ জুলাই তিনটি রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির কাছে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২৬ দফা খসড়া পাঠিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে দলগুলো তাদের সংশোধিত মতামত সরকারকে পাঠিয়েছে।
সবশেষ শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের মধ্যে আসছে কাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র।
শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও নির্দিষ্ট করে জানান, আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জাতির সামনে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
পোস্টে শফিকুল আলম লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার, ৫ই আগস্ট, ২০২৫ বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সকল পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অবিলম্বে ঘোষণা করা হবে।'
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৩ আগস্ট) শাহবাগে ছাত্র সমাবেশ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শুরুতে এনসিপি ও ছাত্রদল- উভয়েই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার কথা জানায়। তবে শেষ পর্যন্ত ‘এনসিপির অনুরোধে’ স্থান পরিবর্তন করার কথা জানায় ছাত্রদল।
গত বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আমরা যেহেতু ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচিটি প্রথম ঘোষণা করি এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিও লাভ করি, তাই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার আমরাই একমাত্র বৈধ দাবিদার। তারপরও আমরা এনসিপির অনুরোধকে বিবেচনায় নিয়ে আমাদের ছাত্র সমাবেশের স্থানটি পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ৩ আগস্টে সমাবেশ সেদিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পরিবর্তে শাহবাগে অনুষ্ঠিত হবে।’
একান্তই ‘উদারনৈতিক রাজনৈতিক অবস্থানের’ উদাহরণ হিসেবে এই স্থান পরিবর্তন বলেও জানান ছাত্রদলের এই নেতা। তবে এরফলে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে যদি কোনও ধরনের ভোগান্তি তৈরি হয়, সেজন্য নগরবাসীর কাছে আগেই দুঃখপ্রকাশ করেন রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, তারা এই দিনটির তাৎপর্য ও আমাদের স্থান পরিবর্তনকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন।‘
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করার জন্য কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করছে এবং সেটি দৃশ্যমান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘এখানে আন্তর্জাতিক মহলও থাকতে পারে। দেশি-বিদেশি শক্তি সক্রিয়, সেটা আমরা অনুমান করতে পারি।’
২০ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামীকাল বুধবার থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। একই সময়ে আরও ছয়টি রাজনৈতিক দলও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বলে জানিয়েছে জামায়াত।
২১ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রাজনৈতিক দলগুলোর যৌক্তিক আন্দোলনের প্রতি সরকার হতাশাজনক উদাসীনতা দেখাচ্ছে জানিয়ে দাবি আদায়ের ২য় ধাপে ১১ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে তারা।
১ দিন আগেপ্রায় অভিন্ন দাবিতে নতুন কর্মসূচি নিয়ে আগামীকাল বুধবার থেকে আবারও মাঠে নামছে সাতটি রাজনৈতিক দল। দাবি আদায়ে গণসংযোগ ছাড়াও গোলটেবিল আলোচনা, মতবিনিময়, সেমিনার আয়োজনসহ গণমিছিল ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তারা।
১ দিন আগে