leadT1ad

নির্বাচন কমিশন একটি দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

স্ট্রিম প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২০: ১৮
আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৫, ২০: ৩৬
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে ও কার্যত একটি রাজনৈতিক দলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

আজ রোববার (২৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রোববার দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ওপর জমা হওয়া আবেদনের ওপর শুনানিকালে হট্টগলের ঘটনা ঘটে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সীমানা শুনানিতে অংশ নিতে গিয়ে রুমিন ফারহানা ও তাঁর সমর্থকদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন। আতাউল্লাহ বলেন, ‘আমাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। পরে শুনানির ভেতরে ঢুকলে রুমিন ফারহানা ধাক্কা দেন ও তাঁর সন্ত্রাসীরা আমাকে মাটিতে ফেলে মারধর করে। আমার সঙ্গে থাকা আরও দুজন নেতা-কর্মীকেও প্রহার করা হয়েছে। সিসিটিভিতে সবকিছু দেখা যাবে।’

এ ঘটনার বিচার চান আতাউল্লাহ। সেই সঙ্গে যদি বিচার না হয়, তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি জানায়, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা দেবে এবং কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

সম্মেলনে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে বলছেন চাইলে গুন্ডা নিয়ে আসতে পারতেন। বাইরে লাঠিসোটা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। কমিশনের অফিসের সামনে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে সারা দেশে তাঁরা কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করবে, সেটির টেস্ট ম্যাচ হয়ে গেল।

এ সময় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার কড়া সমালোচনা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রুমিন ফারহানা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ফ্ল্যাট নিয়েছেন, আবার আওয়ামী লীগের পতনে কষ্ট পেয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগপন্থী আচরণ করছেন। বিএনপির ভেতরে এমন অনেক নেতা আছেন যারা আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী।’

পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ দাবি করে হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেন, কমিশনের গেটে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ। আমাদের নেতা-কর্মীদের ঢুকতে বাধা দিয়েছে, অথচ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ফ্রি এক্সিট দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, নির্বাচন কমিশন এখন একটি দলের দপ্তরে পরিণত হয়েছে।

এ দিকে রোববার (২৪ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের জন্য শুনানিতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি কোনো গুন্ডা-বদমায়শের মেলা করি নাই। করতে চাইলে করতে পারতাম। গুন্ডা আনতে চাইলে গুন্ডা আনা যায়।’

রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব। আমি আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের যাঁরা আছেন তাঁরা নির্বাচন কমিশনে গুন্ডা-পাণ্ডা ঢুকাবে না।’

Ad 300x250

নামেই স্থায়ী ক্যাম্পাস, সব কাজ অস্থায়ীতে

৩৪ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল আসছে বৃহস্পতিবার

৭১ ইস্যুতে ইসহাক দারের মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘ভেজাল লাগাইয়া দিয়া যেভাবে নির্লিপ্ত আছেন, এটা আপনাকে সেভ করবে না’

জামায়াতের আমিরের সঙ্গে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

সম্পর্কিত